এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ, যারা দারিদ্র আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় দীর্ণ, তাদের দিকে তাকাচ্ছে না ধনী দেশগুলি। তারা সাহায্যের হাত ক্রমশ গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশ্বখাদ্য দিবসে জানা গেল এই মর্মান্তিক তথ্য।
এই ২০০৯ সালে গোটা বিশ্ব জুড়ে ক্ষুধার কষ্টে কাতর অভুক্ত মানুষের সংখ্যাটা পৌঁছে যাবে একশো কোটিতে। শুধু তাই নয়, তার চেয়ে ছাপিয়েও যাবে।
তার মানে বিশ্বের একদিকে যখন ধনী দেশগুলিতে মানুষের কাছে প্রচুর উদ্বৃত্ত খাদ্য, যেখানে খাদ্যের বিপুল অপচয় এবং অখিদে, সেই একই গ্রহের অন্য অংশে তখন খাদ্য নেই। মা সন্তানের মুখে খাদ্য তুলে দিতে পারেন না, অনাহারে অপুষ্টিতে শত শত শিশু রোগাক্রান্ত। তাদের বাড়বৃদ্ধি হয় না ঠিকমত। তাদের ভবিষ্যত জরাগ্রস্ত কিংবা অসুস্থ। তাদের জন্য অপেক্ষমান মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই নয়।
এই তথ্য জানিয়ে ‘অ্যাকশন এইড' নামের এনজিও-র বক্তব্য, ধনী দেশগুলোর কাছে, জাতিসংঘের কাছে, সব খবরই আছে। তারা নানা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ক্ষুধিত মানুষের কষ্ট দূর করার অনেক প্রতিশ্রুতিও বিলিয়ে যায়. কিন্তু, তারপর সেই বিলিয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে তারা আর কাজ করে না সবসময়। অথবা গড়িমসি করতে থাকে৷ কারণটা স্বাভাবিক। এই দরিদ্র, ক্ষুধার্ত মানুষকে সাহায্য করে আলাদা কোন নাম তো আর মেলে না। এর মাধ্যমে নেই কোন মুনাফার সম্ভাবনাও।
যেমন গতমাসের শেষে অ্যামেরিকার পিটসবার্গে আয়োজিত জি টোয়েন্টি সম্মেলন। সেই সম্মেলনে ধনী দেশগুলিকে ক্ষুধার্ত বিশ্বের খাদ্যসমস্যা দূর করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত করার আর্জি জানায় জাতিসংঘ। জি টোয়েন্টিতে যোগদানকারী প্রথম সারির দেশগুলি তখন কথা দেয় শুধু খাদ্য সাহায্যই নয়, অনুন্নত দেশগুলিকে কৃষিকাজে উন্নত করার জন্য তারা ত্রিশ বিলিয়ন ডলার সাহায্য করবে।
কিন্তু ওই প্রতিশ্রুতিই সার। কবে কখন কীভাবে দেওয়া হবে এই অর্থ তার কোন রূপরেখা কিন্তু স্থির করে নি কেউই, বা করা হয় নি কোনপক্ষ থেকেই।
‘অ্যাকশন এইড' বিশ্ব খাদ্য দিবসে প্রকাশিত তাদের রিপোর্টে এই তথ্য ছাড়াও তুলে ধরেছে অতীতের এরকম প্রতিশ্রুতি ভুলে যাওয়ার বহু ঘটনার উদাহরণ।
প্রথম বিশ্বের কোন দেশগুলির রয়েছে এরকম মানসিকতা? ‘অ্যাকশন এইড' বলেছে, গ্রীস, পোর্তুগাল, ইটালি, নিউজিল্যান্ড আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম। জি এইট সম্মেলনে গত জুনে ইটালিতে এই দেশগুলো এমন অনেক প্রতিশ্রুতিই বিলিয়েছিল, যা পালন করতে তাদের উত্সাহে বেশ ঘাটতি রয়েছে।
সুতরাং, ক্ষুধিত বিশ্বের ক্ষুধা আরও বাড়ছে। কারণ, ওদের দিকে ফিরে তাকানোর কেউই নেই।
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।