আমি একা। খুব একা । আমার কেউ নেই। অথবা আমি আপনকে চিনিনা। অথবা আপন আমাকে চেনেনা।
শরীফ হোসাইন মৌন/////
কাশফুল হাওয়ায় উড়ে প্রিয়তমার শুভ্র শাড়িটির মতো। তার তুলতুলে নরম গা কেবলই স্পর্শ পাবার বাসনা জাগায়। কদাচিত স্পর্শে লজ্জায় আটখান হয়ে শরীরে লাগিয়ে দেয় তার কচি কিশলয়,যেন রেখে যেতে চায় তার স্মৃতিময় সুর। নদীর কিনার কিংবা দূর নিভৃত নির্জনতায় তার বাধাহীন বিস্তৃতিআকাশ ছুয়ে ফেলে। তার যত হিংসা কেবল শরতের ঐ ধবধবে সাদা মেঘের পাহাড়কে।
কাশফুল যেন মেঘকে ডেকে বলে আমি ঢের তোমার চেয়ে ফর্সা। মেঘ বলে আমি তো স্বাধীন। ইচ্ছে হলেই পাড়ি দেই দেশ-বিদেশ। এমনকি তোমার ঐ তুলতুলে নরম গালটিকেও ছুয়ে যাই। কাশফুল বলে হিংসে করোনা আমি তো নদীর কুমারী কন্যা।
জল নিযে খেলি। তুমি কি তা পারো?
উভয়েরই বাকযুদ্ধ আর আক্ষেপ সমঝোতায় আসে। মেঘ কিংবা কাশফুল কেউ কাউকে ছেড়ে যাবেনা। প্রেয়সীর সান্নিধ্যের মতোই পরস্পরে বিলীন হবে পরস্পরে। পৃথিবী দেখবে সেই সৌন্দর্য্যর মিলনমেলা।
মেঘ আর কাশফুল। মিলেমিশে একাকার।
কাশফুল কখনো কখনোযেন এক বিপ্লবী পুরুষ। জিহাদী মহাত্না। নিভৃত একাকী বসে ধ্যানমগ্নতা তাকে মানায়না।
তাই সে লক্ লক্ করে বেড়ে উঠে আসমান সমান। যাবতীয় অসঙ্গতি,প্রেমহীন অসুরের মুন্ডুপাতকরে তার মায়াবী তরবারি লক্ লক্ করে বাতাসে ভাসে। বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘোষনায় সদলবলে এগিয়ে চলে এক সফেদ সাহসী কাফেলা। সে কখনো নিরব থাকেনা। বাতাসের তালে লয়ে এভাবেই এগোয় তার কুচকাওয়াজ খুনের নেশায়।
এভাবেই কাশফুল কখনো নারী কখনো যোদ্ধা। কখনো প্রেম কখনো রক্ত।
আজ দিন,দুপুর বিকেল অবিরাম ঘড়ির কাটায়
কাশফুলে মন ছুটে স্বপ্নের নাটাই
জঙ্গ ধরা মন বাচে স্বপ্ন আশে
এমনিতো সুখ ছিল দূর পরবাসে
কল্পনা ধরা দেয় অবেলা আকাশ
আজ আমি পেয়েছি প্রান ভরা শ্বাস।
২৯/০৯/২০০৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।