মনের জানালায় দাঁড়িয়ে ভাবনাগুলোর মিলিয়ে যাওয়া দেখি। গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ হয়ে, ঐ দূর দিগন্ত পানে...
মিথিলা
কোথা হতে যে শুরু করি ভেবে পাচ্ছিনা। আমার সমস্ত চিন্তাভাবনা যে উলটপালট হয়ে গিয়েছে। ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়ছে প্রভাতের সেই মুহূর্তটির কথা। বনলতার সাথে আজ অনেকদিন বাদে আবার যখন পথে দেখা হয়ে গেল।
মনে হচ্ছিল আমি ঠিক ঠিক হাজার বছর ধরে পথ হেটে আসছিলাম শুধু তাকে দুচোখের দেখা দেখার জন্যে। আমার সমস্ত চিত্ত উড়ে উড়ে ফিরে পেতে চাইছে সেই মুহূর্তটি। আমার দুচোখ যে তাকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে ছিল সেটি বেশ বুঝতে পারছিলাম। তার উপর থেকে চোখ সরাতেই পারছিলাম না। পলকের জন্য সেও মুখ তুলে চেয়েছিল।
চোখের ভাষা দিয়ে প্রশ্ন রেখেছিলাম, "কেমন আছ? তোমাকে এদ্দিন যে দেখিনি"
ঘুম জড়ানো অভিব্যক্তিহীন সে চোখের ভাষা। আমার প্রশ্নের কোন উত্তর পেলাম না। শুধু সেই চাহনী দমকা হাওয়ার মতো এসে আমার মনের সব দুয়ার এলোমেলো করে দিয়ে গেল।
ইচ্ছে হল বলি -
"রে অচেনা, মোর মুষ্টি ছাড়াবি কি করে
যতক্ষণ চিনিনাই তোরে?
কোন্ অন্ধক্ষণে
বিজড়িত তন্দ্রা-জাগরণে
রাত্রি যবে সবে হয় ভোর,
মুখ দেখিলাম তোর।
চক্ষু 'পরে চক্ষু রাখিয়া শুধালেম, কোথা সংগোপনে
আছ আত্মবিসৃতির কোণে।
হে অচেনা,
দিন যায়, সন্ধ্যা হয়, সময় রবে না,
তীব্র আকস্মিক
বাধা বন্ধ ছিন্ন করি দিক,
তোমারে চেনার অগ্নি দীপ্তশিখা উঠুক উজ্জ্বলি,
দিব তাহে জীবন অঞ্জলি। "
হায়! মনের ভাষা অব্যক্তই রয়ে গেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।