মনের জানালায় দাঁড়িয়ে ভাবনাগুলোর মিলিয়ে যাওয়া দেখি। গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ হয়ে, ঐ দূর দিগন্ত পানে...
যদিও আমার এই মুহুর্তে বইয়ের মধ্যে ঘুজে থাকবার কথা (কদিন বাদেই পরীক্ষা) কিন্তু মন পড়া ছাড়া আর যে কোন কিছু করতে রাজি আছে। সময় অসময়ে নিদ্রা দেবীর ডাকে সারা দেয়া হচ্ছে। আয়েশ করে দেশ বিদেশের মুভি দেখা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ নিয়ে ঘাটাঁ হচ্ছে।
সত্যজিৎ পড়া হচ্ছে কিন্তু কাজের কাজটায় হচ্ছে না। অথচ কাজ থেকে ছুটি নিয়েছি এই পরীক্ষার জন্যই।
সে যাক, পড়া ফাঁকি দিয়ে কি কি মুভি দেখেছি এ কদিন সে কথাই বলি। ভালো লেগেছে বা সময় নষ্ট টাইপের বাইরে বেশি কিছু বলার মতো দর্শক আমি নয়। মুভি দেখি মূলত ভিন্ন দেশের সংস্কৃতি এবং সিনেমার প্রতি দূর্বলতা আছে বলেই।
সবকটাই এখানকার পাবলিক লাইব্রেরী থেকে আনা। আমি মূলত বেশি দেখি ইরানী ছবি। যে তিনটা দেখেছি এই কদিনে সেগুলো হলোঃ Siavash, Letters in the wind আর White Dream
Siavash - এক রক সঙ্গীত শিল্পী, তার জীবন এবং এক জার্নালিষ্ট কে ঘিরেই মুলত ছবির কাহিনী। ছবিটা যদিও ইরানে নিষিদ্ধ হয়েছে রক সঙ্গীত এবং অপরিচিত নারী-পুরুষের মাঝে বেশ কিছু কথোপকথনের দৃশ্য থাকায়। আজব দুনিয়া।
জার্নালিষ্ট এবং এই রক শিল্পী পার্কে বশে গল্প করছিল হথাৎ তাদের উপর একজন হামলা করে শিল্পী কে রক্তার্ত করে কিন্ত পুলিশ এসে তাদের দুজনকেই আরেষ্ট করে পার্কে বসে গল্প করার দায়ে। ... মুভিটা মুলত আনি ছবির কভারে Hediyeh Tehrani কে দেখেই।
Letters in the wind - ইরানে প্রায় সব পুরুষ কেই কিছু সময়ের জন্য আর্মিতে সার্ভ করতে হয়। বাধ্যতামূলক। তারি উপর ভিত্তি করে এই মুভিটা।
White Dream - অসাধারণ একটা ছবি। bridal Shop-এ কাজ করা mentally challenged এক কর্মচারীকে ঘিড়েই মূলত ছবির কাহিনী। নানান সময় bridal dress বিক্রি করতে করতে দোকানের display-তে রাখা doll দের নিয়ে তার একটা জগৎ তৈরী হয়ে যায়। সেও ভাবে একসময় সেও বিয়ে করবে। একদিন দোকানে আসা এক সুন্দরী রমণীকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যায়।
রমণীকে তার এতোই ভালো লেগে যায় যে সে যখন জিজ্ঞেস করে তাঁর জিনিসপত্তর গাড়িতে তুলে দিবে কিনা রমণী মিষ্টি হেসে ধন্যবাদ দিয়ে বলে "no dear" (অবশ্যই ফারসীতে), আর তাতেই তার মনে হয় যে রমণীও তার প্রেমে পড়েছে। আর এভাবেই ছবির কাহিনী এগোতে থাকে।
এই তিনটা ছাড়াও দেখেছি Gaza Strip - ফিলিস্তিনীদের নির্যাতিত হওয়ার উপর অসাধারণ একটা ডকুমেন্টারী। Smoke বোম্ব এর নামে ইস্রায়েলীরা যে chemical বোম্ব ফেলছে, তাদের ঘরবাড়ি ঘুড়িয়ে দিচ্ছে, ট্যাঙ্কের গোলার জবাবে পাথর ছুড়া অগুনিত শিশুদের যে প্রতিদিন-এ মেরে ফেলছে তার উপর শিওরে ঊঠার মত একটা ছবি। ফিলিস্তিনীদের তাদের মাতৃভূমি কে রক্ষা করার দৃঢ়তা দেখে শিহরত হয়েছি।
ছেলেপুলেরাতো আছে এমনকি তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা দাদা-দাদী রাও পর্যন্ত বলছে, মড়তে যদি হয় তবে নিজ ভূমিতেই মরবো তাও ইস্রায়েলীদের নিজিদের ভূখন্ড ছেড়ে দিব না।
কাল রাতে দেখছিলাম Daughter of Keltoum - আলজেরীয়ার ছবি। এটিও অসাধারণ একটা ছবি। সুইজারল্যান্ডে বড় হওয়া এক আলজেরীয় তরুনী তার মা-বাবার পরিচয় জানার জন্য নিজ দেশে ফিরে আসে। দুর্গম মরুভূমিতে পাহারের উপর থাকে তার পরিবার।
পানির কষ্ট সইতে না পেরে তার জন্ম হওয়ার পরপরি তার মা তাকে এক সুইস দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেয়। সে ফিরে এসেছে তার মা-বাবার কাছে সেই প্রশ্নেরি উত্তর জানতে। কিন্তু নানা ঘটনার পর দিয়ে সে যখন তার মার সাথে দেখা করে তখন জানতে পারে সে তার আসল মা নয়।
আজ সকালে দেখছিলাম ফিলিফাইনের একটা মুভি। Crying ladies - Professional mourners দের নিয়ে কমডে ধাচের কাহিনী।
খুব একটা ভালো লাগেনি।
এছাড়াও মঙ্গলিয়ান, থাই, তুর্কিশ আর তাজিকিস্তানের চারটা মুভি এখনো দেখা বাকি আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।