আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জলিলের বক্তব্য আমাদের কথা সত্য প্রমাণ করেছে: দেলোয়ার) মাথা ঘুরাইতাছে জলিল এগুলান কি কইতাছে,

সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,

অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিয়ে আবদুল জলিলের বক্তব্যে বিএনপির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। 'সত্য ভাষণ'র জন্য আওয়ামী লীগের সাবেক সাবেক সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদও জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। জলিল কয়েকদিন আগে যুক্তরাজ্যে বাঙালিদের টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, গত নির্বাচনে এক ধরনের সমঝোতার মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপি নির্বাচনের পর থেকেই এ অভিযোগ করে আসছিল। দেলোয়ার রোববার সাংবাদিকদের বলেন, "সাজানো ও পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে সমঝোতা করে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে- জলিল সাহেবের এ বক্তব্য আমাদের কথার সত্যতা প্রমাণ করেছে।

"এ রকম সত্য কথা বলার সাহস অর্জনের জন্য দেশবাসী তাকে ধন্যবাদ জানাবে। আমরাও ধন্যবাদ জানাই। " বিএনপি মহাসচিব বলেন, "আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ২৯ ডিসেম্বর একটি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ ও সরকার গঠন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সেই সময়ের সিটিং সাধারণ সম্পাদক জলিল সাহেব সত্য কথা বলেছেন। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জাতির সামনে সত্য উপস্থাপন করে মানুষের গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।

" যুক্তরাজ্যে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জলিল আরও বলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভার ৯০ শতাংশ সদস্য 'সংস্কারপন্থী'। হাসিনার বোন শেখ রেহানা ও আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সমালোচনাও করেন তিনি। সাংসদ জলিলের এ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগে তোলপাড় চলছে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী রোববার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জলিলের বিষয়ে আগামী ৩ অক্টোবর দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেলোয়ার বলেন, "উনার (জলিল) কথাকে বিবেচনায় আনতে হবে।

কারণ, তিনি সংসদেও অবৈধ ও অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। " বিএনপি মহাসচিব সংবিধান সংশোধনে আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনাও করেন। সংসদে ফেরার বিষয়ে তিনি বলেন, সংসদের ভেতরে-বাইরে সুস্থ পরিবেশ তৈরি করা হলে বিএনপি সংসদে ফিরবে। দেলোয়ার বলেন, "জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র নিতে সরকার সংবিধান সংশোধন করতে চায়। বিএনপি সংবিধানে যে কোনও প্রকার পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধনের বিরুদ্ধে।

" কী সংশোধন করতে চান তারা- এ প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, "১৯৭২ সালের সংবিধানে প্রথম হাত দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সংবিধান সংশোধন করে '৭৫ সালে তারাই গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য তারাই আন্দোলন করেছে। এখন তারাই (আওয়ামী লীগ) আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার উদ্যোগ নিচ্ছে। " আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ গত বৃহস্পতিবার জানান, সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই আইন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার প্রয়াস থেকে সংবিধান সংশোধনের পদক্ষেপ নিচ্ছে অভিযোগ করে দেলোয়ার বলেন, "নিজেরাই ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করবে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে। এটা দিবাস্বপ্নই থেকে যাবে; দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। " আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, "গত নয় মাসে দেশের অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে! বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে, অত্যাচার-নির্যাতন চলছে। এ সরকারের প্রতি জনগণের আর সমর্থন নেই। " রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দেলোয়ারের সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান, দপ্তর সম্পাদক রিজভী আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, য্বু দলের সহ-সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/এমআই/১৭১৫ ঘ.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.