আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেলে আসা স্মৃতিময় দিনগুলি - ১

গর্ব করার মত এখন কিছুই চোখে পড়েনা। মাঝে মাঝে মনে হয়, প্রয়োজন আর একটি বিপ্লব

অনেক দিন পর আবার ব্লগ লিখতে বসলাম । আগেই বোধহয় বলেছিলাম লেখালিখির প্রতি আমার অনভ্যাসের কথা । তার উপর গুছিয়ে লেখা তো আমার দ্বারা একপ্রকার অসম্ভব-ই । এমনিতেই জানতাম আমার ব্লগ কেউ কোনোদিন পড়বেও না তবুও লিখতে যখন ইচ্ছা করছেই তখন কেউ পড়ুক আর নাই বা পড়ুক আমিতো লিখবই ।

নাহ, আজ আর কোন রহস্যময় প্রবন্ধ বা কাল্পনিক গল্প নয় । আজ আমি নিজের কথাই বলব। আমার জন্ম খুলনাতে । আর দশটা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মত পরিবারেই আমার জন্ম । ছোটবেলার অনেক বড় একটা সময় কেটেছে ভাড়াবাড়িতে।

আমার যখন জন্ম হয় তখন আমরা মিয়াপাড়াতে থাকতাম । সেই বাসার খুব সামান্য স্মৃতিই আমার মনে আছে । মাত্র তিন বছর বয়সে আবার বাসা-বদল । এবার আমরা চলে এলাম রায়পাড়ায় । রায়পাড়ার বাসাটির অনেক স্মৃতি আমার আজও মনে আছে ।

চার বছর বয়সেই আমার স্কুলজীবনের শুরু । স্থানীয় একটা স্কুলে নার্সারী থেকে প্রথম শ্রেণী পর্যন্ত কেটেছে আমার। ছোটবেলায় আমি যে কি দুষ্টু ছিলাম, সেটা এখন নিজেরই বিশ্বাস হতে চায় না । পড়াশুনায় কিছুটা ভালো হওয়ার সুবাদে শিক্ষকরা তেমন কিছু বলতেন না বিধায় হয়ত একটু বেশিই দুষ্টামি করতাম । ক্লাস চলাকালীন সময়ে পিছনের বেঞ্চের ছেলেদের জুতোর ফিতে খুলে দিতে আমি অনেক এক্সপার্ট ছিলাম ।

আর আমার একটা বন্ধুও ছিল । ওর নাম ছিল রাজা, বয়সে ক্লাসের অন্য সবার চেয়ে ন্যুনতম তিন-চার বছরের বড় তো হবেই । দেখতেও বড়সড় ধরণের । এমন দশাসই বন্ধু থাকতে আর চিন্তা-কি! ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস-ই করত না । তবে একবার একটা সাংঘাতিক কান্ড করে ধরাও খেয়েছিলাম ।

ইরেজার দিচ্ছিল না বলে একটা মেয়ের হাতে খুব জোরে ব্যথাও দিয়েছিলাম । হাত নাড়াতেই পারছিল না বেচারী । পরে এই নিয়ে স্কুল জুড়ে হইচই । এ ঘটনার জন্য শিক্ষিকার হাতের ডাস্টারের বাড়িও খেতে হয়েছিল আমার । আর বাসাতেও আমার দুষ্টামির কমতি ছিল না ।

সারাদিন হইচই আর দৌড়াদৌড়ি । খেলার সাথী আমার ফ্রেন্ড আর মৌ আপুরা । মৌ আপু আমার শৈশবকালের প্রথম খেলার সাথী । যদিও আমরা একই ক্লাসে পড়তাম তবুও বয়সে কিছুটা বড় হওয়ার সুবাদে আপু বলেই ডাকতাম । মৌ আপুরা ছিলেন পাঁচ ভাই-বোন ।

সুতরাং প্রিয় পাঠক, বুঝতেই পারছেন সারাদিন ছিল খেলাধুলার মৌসুম । পুতুল-পুতুল খেলা, জবা ফুলের মধু খাওয়া, বরই গাছে তীর ছোঁড়া (খেলনা তীর-ধনুক ব্যবহার করে) ছাড়াও আর-ও কত কি ! ও হ্যাঁ, আর যার কথা বলতে ভুলেই যাচ্ছিলাম সেই মানুষটি হল আমার ফ্রেন্ড, আমার প্রাণপ্রিয় বড় ভাই । ও-ই আমাকে ছোটবেলা থেকে শিখিয়েছিল 'ফ্রেন্ড' বলে ডাকতে । সেই থেকে আজ অবধি আমরা দু-ভাই দুজন দুজনের ফ্রেন্ড । ওর কাজ ছিল বিকালে বাসার ছাদে ঘুড়ি উড়ানো ।

আর আমি ছিলাম এসিস্টেন্ট । ফ্রেন্ড এখন অনেক দূরে । আজও খুব মিস করি ও-কে। আজ আর নয় । অনেক লিখেছি, এখন একটু রেস্ট নেওয়া দরকার ।

সবাইকে ঈদ ও পূজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি । [ জানি, এই লেখাও কেউ পড়েও দেখবে না তবুও লিখলাম । অন্তত আমিতো পড়ব । ]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।