যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
লীনার "এইসব পুলিশি জীবন " পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার বন্ধু রমনের কথা মনে পড়ে গেলো। এভাবে লিখলে নৈর্ব্যক্তিক একটা ঢঙ স্পষ্ট হতে পারে। সেজন্য বলছি এই মনে পড়ার সাথে তীব্র একটা কষ্ট জড়িত; যা প্রকাশ করাই মূলত আমার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। লীনার পোস্ট পড়ে প্রথমত "পুলিশ" পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু প্রিয় মানুষের অবর্ণনীয় যন্ত্রনার স্মৃতি মনে পড়ে গেলেও - আমি ক্ষোভটা প্রশমিত করতে পারছিলাম না। ফলে না পারছিলাম লিখতে, না পারছিলাম মাথা থেকে তাড়াতে রমনের কথা।
আমাদের দলের সবচেয়ে স্ম্যার্ট ছেলেটা পুলিশের ইনস্পেক্টর হলো - যা সবার জন্যই ছিল অপ্রত্যাশিত। যে ছিল তুখোর আড্ডাবাজ, কাউকে না পাওয়া গেলেও সবার যেকোন প্রয়োজনে যে ছুটে যেত সবার আগে - সে চলে গেলো ট্রেনিংএ। এরপরে এই দীর্ঘ৯ বৎসর ওর সাথে ৯বারও মনে হয় দেখা হয়নি। ফোনে কথা হয় সম্ভবত বৎসরে দুইবার। এটা যে বন্ধু বলে হচ্ছে তা নয়, ওর স্ত্রী-পরিবারের অবস্থাও বেশী সুবিধার নয়।
যেমনটি বললো লীনা। সন্তান হয়েছে ওর অনুপস্থিতিতে, মা-এর জটিল অপারেশন হয়েছে ওর অনুপস্থিতিতে।
মাঝেমাঝে মনে হয় বাংলাদেশের পুলিশ যতটা না দূর্ণীতিবাজ তারচেয়েও বেশী তাদের অসহায়ত্ব। দূর্ণীতিতে তাদের ডুবিয়ে রাখা হয়েছে অকার্যকর করার জন্য। নইলে এত কম বেতন, কম ছুটি, কম সুযোগ-সুবিধা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বরাদ্দ থাকতে পারে না।
কোন জব সিকিউরিটি নাই, যেকোন মুহূর্তে চাকুরীর খোয়ানোর আশংকা থাকে সর্বক্ষণই।
পুলিশের কোন পরিবার নাই। সৎ হিসাবে জীবন-যাপন করতে চাইলে সেই পুলিশের মত শত্রু বোধহয় সমাজে দ্বিতীয়টি নেই। রাস্তায় একজন ট্রাফিক পুলিশ ন্যুনতম স্যালারীতে দিবারাত্রি যে শারিরীক পরিশ্রমটা করে - ভাষায় প্রকাশ অসাধ্য। আমি সিম্পলী শ্রদ্ধা করি এই দিবারাত্রি খেটে যাওয়া মানুষদের।
এদের দূর্ণীতি আমাদের সরকারের অর্পিত ও বাধ্যকৃত - পুলিশের দোষ দেবার কোন মানে দেখি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।