নবীন বিশেষজ্ঞ ও প্রবীণ বিশেষজ্ঞের মধ্যে পার্থক্য
নবীন বিশেষজ্ঞ ও প্রবীণ বিশেষজ্ঞের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: নবীন বিশেষজ্ঞ কাজ জানে না আর প্রবীণ বিশেষজ্ঞ কাজ করে না।
উকিলঃ আপনার জন্ম দিন কবে?
সাক্ষীঃ ১৫ জুলাই।
উকিলঃ কোন বছর?
সাক্ষীঃ প্রতিবছর।
অদ্ভুদ রোগ
দিন এক রোগী ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলল, “ডাক্তার সাব, আমার একটা অদ্ভুদ রোগ হয়েছে। ”
ডাক্তার বললেন, “কি রকমভ”
রোগী বলল, “আমি অল্পতেই রেগে যাই।
গালাগালি করি”
ডাক্তার বলল, “ব্যাপারটা একটু খুলে বলুন তো। ”
রোগী বলল, “হারামজাদা, কয়বার খুলে বলব!!!”
১০০ বছর বাঁচবেন
জ্যোতিষী : আপনি নিশ্চিত ১০০ বছর বাঁচবেন।
ভদ্রলোক : যদি এর আগে মরে যাই?
জ্যোতিষী : তাহলে মূল্য ফেরত নিয়ে আমায় জুতোপেটা করবেন!
]এ রাম তুমি ন্যাংটো পুটো
তিনজন লোক।
একজন আমেরিকার, একজন ইংল্যান্ডের আর একজন বাংলাদেশের। একসাথে ঘুরতে বেরিয়েছে।
কে কাকে কিভাবে টেক্কা দেবে তা নিয়ে প্রত্যেকেই ব্যতিব্যস্ত।
হঠাত আমেরিকার লোকটা বলে উঠল- জানো, আমরা কী রকম বীর? কোন বাঘ যদি আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায় তাহলে তার দিকে শুধু বন্দুকটা তাক করলেই কেল্লা ফতে! গুল্লি-র কোনো দরকার নাই!
এই কথা শুনে ব্রিটিশ লোকটা বলল, এ আর এমন কি? আমাদের এমন সাহস যে বন্দুক বেরই করতে হয় না….ঝোলার ভেতর থেকে বন্দুকের নলটা যদি কোনভাবে বাঘ ব্রাদারের নজরে পড়েছে বা কোনমতে টের পেইয়েচে তাইলে সেইখানেই তার হার্ট আ্যাটাক!!
এই দুইজনের কতা শুনে বাংলাদেশের লোকটা ভাবতেসে আমার তো প্রেস্টিজের ব্যাপার। তাই সে চট করে বলল-
আরে ধুরো মিয়ারা! তোমরা কোন জমানায় আছো? আমাদের তো বন্দুক-ফন্দুক কিসসু লাগে না! ওই সব আমাদের সাহসের কাছে ফালতু জিনিস, ফাও প্যাচাল!
কথা শুনে আমেরিকান আর ব্রিটিশ তো জব্বর টাসকি খায়া গেল। জিগাইল-তাইলে তোমরা বাঘরে মারো ক্যামনে?
বাংলাদেশের পাবলিক তখন কয়- আরে মিয়া এইডা কোনো ব্যাপার? কোনো বাঘ আমাদের সামনে আইলে তার সামনে গিয়া আমরা শুধু কই-
” এ রাআআ…..ম ! তুমি ন্যাংটো-পুটো? ”
বাঘটা তখন লজ্জাতেই মারা যায়!
আইপিএল মানে কী?
কেউ বলছে ‘ইন্ডিয়ান প্রবলেম লিগ’, আবার কেউ বলছেন ‘ইন্ডিয়ান পলিউশন লিগ’। আরও এক ধাপ এগিয়ে কেউ কেউ বলছে ‘ইন্ডিয়ান পাওয়ার লিগ’ (বিশ্বাস করুন, এই পাওয়ার মানে শক্তি, শারদ পাওয়ার নন)!
‘প্রবলেম’ই হোক আর ‘পলিউশন’, জিনিসটা আর ঠিক ইন্ডিয়ান নেই।
পুরো ব্যাপারটা তালগোল পাকিয়ে এখন ‘ইন্টারন্যাশনাল’ হয়ে গেছে। নামে আইপিএল, মানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। অথচ সেটা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়, খেলছেন শেন ওয়ার্ন থেকে শুরু করে জয়াসুরিয়া, হেইডেনদের মতো অভারতীয়রাও! এ যেন হনুলুলুতে ভালো বগুড়ার দই তৈরি করার বিজ্ঞাপন।
তালগোল পাকিয়ে ফেলা শুরু করেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ জন বুকানন। এবারের লিগ শুরুর আগেই অস্ট্রেলীয় ভদ্রলোক ঘোষণা দিলেন, তাঁর দলে এখন আর একজন অধিনায়ক থাকবেন না, নিদেনপক্ষে অধিনায়ক থাকবেন চারজন।
কেউ ফিল্ডিং সাজাবেন, কেউ বোলিং পরিবর্তন করবেন, কেউ ব্যাটিং ঠিক করবেন আবার কেউ পরিকল্পনা করবেন। শেন ওয়ার্ন শুনে মুচকি হেসে প্রশ্ন করেছেন, ‘বাকি সাতজনকে আর বাদ রাখলেন কেন! সবাইকে ক্যাপ্টেন করে দিলেই হয়!’ তাতে সমস্যা একটাই, সবাই আবার যার যার মতো খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে একসঙ্গে তিন-চারজন ব্যাট করতে নেমে না যান!
বলা হচ্ছে, আইপিএল নাকি আসলে খেলাই না, পুরো ব্যাপারটাই নাকি ব্যবসা। এই যে খেলার মধ্যে ১০ মিনিট অতিরিক্ত বিরতি দেওয়া হচ্ছে, একেও লোকজন বিজ্ঞাপন প্রচারের কৌশল হিসেবে দেখছে। এসব কথা বিশ্বাস করবেন না। নিন্দুকের অপপ্রচার।
লোলিত মোদি সাহেব বলেছেন, এটা কৌশল-বিরতি; এই সময়ে খেলার বাকিটুকু নিয়ে অধিনায়কেরা ভাববেন। চার-পাঁচজন অধিনায়ক থাকলে তাঁদের ভাবার জন্য আলাদা সময় লাগবে না?
তা সময় নানাভাবেই আসছে। ‘কৌশল-বিরতি’ ছাড়াও আইপিএলের খেলা নানা রকম বিচিত্র বিরতি পাচ্ছে। বৃষ্টি-বিরতি, ফ্লাডলাইট-বিভ্রাটের বিরতি তো আছেই। এক ম্যাচে দেখা গেল, মাঠে একটা কুকুর ঢুকে পড়ায় মিনিট এগারো পায়চারি করার জন্য বিরতি হলো খেলায়।
বিরতি হয়েছে ওভারের মাঝখানে বিনা নোটিশে বিকট শব্দে স্টেডিয়াম জুড়ে বাজনা বেজে ওঠায়। খেলোয়াড়েরা সব বিভ্রান্ত হয়ে খেলা বন্ধ করে এমন বাজনার উৎস খুঁজছিলেন। পরে জানা গেল, ভুলে বাজনা বেজে উঠেছে। ভুল, নাকি কৌশল?
বিরতির সবচেয়ে উৎকট চেহারাটা দেখেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইশান্ত শর্মা আর ডেকান চার্জার্সের অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। কেপটাউনের নিউল্যান্ডস ভেন্যুতে একটু বেশি কেরদানি করে একটা বিশেষ ধরনের ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
গ্রান্ড স্ট্যান্ডের ওপর প্রায় ২০ মিটার উঁচু করে সামনে-পেছনে এগোতে পারে এমন একটা ক্যামেরা, যার নড়াচড়া দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। উদ্দেশ্য, খেলা চলাকালে বেশ ওপর থেকে মাঠের দৃশ্য দেখানো।
ওই ক্যামেরাই সেদিন তালগোল পাকাল। ইশান্ত বল করতে এলেন, তাঁকে ওপর থেকে অনুসরণ করল ক্যামেরা। স্ট্যান্ডের ওপর অমন নড়াচড়ায় ব্যাটসম্যান গিলক্রিস্ট উইকেট ছেড়ে সরে দাঁড়ালেন।
আম্পায়ার সেবারের মতো ক্যামেরাওয়ালাদের নিষেধ করে বন্ধ করলেন।
পরের বল, ইশান্ত দৌড় শুরু করলেন, গিলক্রিস্ট উইকেট ছেড়ে সরে দাঁড়ালেন। এবার কী? চিয়ার লিডাররা বিনা কারণে নাচানাচি শুরু করেছেন। এদেরও প্রবোধ দিয়ে ঠান্ডা করা হলো। টেক থ্রি-ইশান্ত দৌড় দিলেন, আবার গিলক্রিস্ট সরে গেলেন! আবার কী রে ভাই? আবার সেই ক্যামেরার উৎপাত!
ও আচ্ছা, কেউ কেউ আইপিএলকে ‘ইন্ডিয়ান পেইন লিগ’ বলেও ডাকছে।
অংকের টিউটর
বাবাঃ আজ স্কুলের টিচার কী বললেন?
ছেলেঃ বলেন তোমার জন্য একজন ভালো অংকের টিউটর রাখতে।
বাবাঃ মানে?
ছেলেঃ মানে তুমি হোমওয়ার্কের যে অংকগুলো করে দিয়েছিলে সব ভুল ছিল।
সবকিছুই বড় বড়
একবার এক অন্ধ সিদ্ধান্ত নিল সে টেক্সাস যাবে। ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের একজন তাকে হাত ধরে বিমানের সিটে বসিয়ে দিল।
বসেই সে বলল, “বাহ! কত বড় সিট!”
পাশের সিটের যাত্রী বলল, “টেক্সাসে সবকিছুই বড়।
”
ফোর্ট ওয়ার্থ বিমানবন্দরে নামবার পর তার তৃষ্ণা লাগল। রেস্তরাঁয় খাবারের অর্ডার দিল। ধরে বুঝল যে বার্গারটি বিশাল বড় আর পানীয় মগটি তার ধারণার চেয়েও অনেক বড়।
বিস্মিত স্বরে সে বলল, “কী বিরাট বার্গার আর মগ!”
পাশের একজন বলল, “টেক্সাসে সবকিছুই বড়। ”
কিছুক্ষণ পর তার টয়লেটে যাবার প্রয়োজন পড়ল।
একজনকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল, “বাঁদিকের দ্বিতীয় দরজা। ” লাঠি ঠুকে ঠুকে সে দরজার সন্ধানে বের হয়। কিন্তু দরজাটি ভুলে পেরিয়ে সে তৃতীয় দরজায় উপস্থিত হয়। তৃতীয় দরজার পরই সুইমিং পুল। সেখানে পড়ে গিয়েই সে চেঁচিয়ে উঠল, “ফ্ল্যাশ করবেন না, ফ্ল্যাশ করবেন না।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।