দুঃখিত, নীতিমালা ভঙ্গের কারণে আপনাকে কমেন্ট ব্যান করা হয়েছে । পোস্ট আর কমেন্ট ব্যানওয়ালা ব্লগে স্বাগতম
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি শুক্রবারের দৈনিক পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় চোখ রাখলেই যে কমন শিরোনামগুলো তরকারিতে তেল ভাসার মত পত্রিকা পাঠকের চোখের সামনে ভেসে উঠে সেগুলো হচ্ছে 'ভোজ্য তেলের তেলেসমাতি বেড়েই চলছে'; 'প্রতি লিটারে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ৪/৫টাকা'; ' লাগামহীন ভোজ্য তেল আর গ্যাস সংকটে গৃহিনীরা দিশেহারা'ইত্যাদি ইত্যাদি। অন্য সরকারগুলোর আমলে তেলের উর্দ্ধগতির মাঝেও মাঝে মাঝে ২/৩টাকা কমলেও ডিজিটাল আমলে প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে কিন্তু কোন সপ্তাহেই কমেনি। তাই প্রতি সপ্তাহের বাজার ধর নিয়ে সংবাদপত্র আর ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদের কমন দু'টি শব্দ ভোজ্যতেল। সংবাদপত্র আর ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় গত কয়েক মাসে ভোজ্যতেল নিয়ে যত শিরোনাম হয়েছে অন্য কোন পন্য নিয়ে এত শিরোনাম হয়েছে কিনা এই অধমের জানা নেই।
পাঠককূলের কারও জানা থাকলে আওয়াজ দিয়েন। প্রমিজ করছি আগামি সপ্তাহের ভিমরুলে আপনার আওয়াজিত পন্যটি নিয়েই ফিচার লিখব।
ভোজ্য তেলের তেলেসমাতিতে ডিজিটাল দেশ সেবকদের হর্তাকর্তা থেকে শুরু করে এলিট সমাজ,সুশীল (?)বুদ্ধিজীবিদের চর্বিযুক্ত মাখনের মত নরম শরীর যাপিত জীবনে দৌড়ের উপর না থাকলেও আমার মত আমজনতারা ঠিকই দৌড়ের উপর আছে। চরম গরমে পান করা পানি ঘাম দিয়ে বিসর্জন দিয়ে মাস শেষে ভাইয়া কয়েক লিটার তেল ভাবীর হাতে তুলে দিয়ে মিনমিন করে বলে ,'তরকারিতে তেল একটু কম দিও '। ভাইয়ার কথায় সায় দিয়ে কিচেনে গিয়ে ভাবী কাজের বুয়ার হাতে তেল ধরিয়ে দিয়ে ভাইয়ার মতই নরম সুরে বলবে,'তরকারিতে তেল একটু কম দিয়ে ভাল করে রান্না করিও'।
কাজের বুয়াও ভাবীর কথায় সায় দেয় ঠিকই কিন্তু মাসের মধ্যে ২৫দিনই দুপুর আর রাতে তেল ভাসা অর্ধেক সিদ্ধ অর্ধেক কাঁচা রান্না করা তরকারি কাজের বুয়া নিজেও গিলছে আমাদেরও গিলাচ্ছে। এত কষ্টের টাকা দিয়ে আনা তেল অর্ধেক সিদ্ধ অর্ধেক কাঁচা তরকারির সাথে না মিশে তরকারির উপর ভাসে কেন এমন প্রশ্ন করায় বুয়া রেগে গিয়ে ভাইয়াকে সেদিন বলল'ভাইজান,এত কষ্ট করি রান্ধি কোনহানে একটু তেল মাইরা কথা কইবেন তা না হত্যেকদিন (প্রত্যেকদিন) খালি এক কথা তরকারি সিদ্ধ হয় না ক্যান?তরকারীর উপর তেল ভাসে ক্যান?অর্ধেক রান্নার সময় গ্যাস না থাকলে আমি কি করুম?সিদ্ধ আর তেল না ভাসা তরকারি কি আমার শরীরে আগুন লাগায়া সে আগুনে রাইন্ধা খাওয়ামু? '
ভোজ্য তেলের তেলেসমাতির সাথে যুদ্ধ করে আমজনতা কিচেনে তেল আনতে পারলেও ডিজিটাল সরকার আর গ্যাস প্রতিষ্টানের হর্তাকর্তাদের তেল মেরে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের নিশ্চিয়তা পাওয়ার তেলেসমাতি জানেনা আমজনতা। হর্তকর্তারা কথার তেলেসমাতিতে মন্ত্রী/এমপিদের তেল মারতে ব্যস্ত আর আর মন্ত্রী/এমপিরা তেল মারতে ব্যস্ত তাদের ডিজিটাল নেত্রীকে।
তেল মারায় ব্যস্ত থেকেও যদি আমজনতার কথা একটু হলেও ভাবত তাহলে সিলেটে প্রতিদিন ১০লাখ টাকার গ্যাস পুড়ে বাতাসে মিলিয়ে যেতনা। চরম গ্যাস সংকটের এই সময়ে মাত্র ছোট্র একটি সিদ্ধান্তের অভাবে সিলেট গ্যাস ফিল্ডে প্রতিদিন ১০লাখ টাকার গ্যাস পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।
গ্যাসের বাজারের সাথে মিল রেখে ৮৫০টাকা থেকে দাম কমিয়ে ৭৫০টাকা নির্ধারন না করতে পারার সরকারী ব্যর্থতার কারনেই ১লা জুন ২০০৯ পর্যন্ত প্রায় ১২কোটি টাকার গ্যাস পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। গ্যাসের অভাবে আমজনতার তেলে ভাসা অর্ধেক সিদ্ধ অর্ধেক কাঁচা তেলে ভাসা তরকারি খাচ্ছে আর ডিজিটাল সেবকরা সবকিছুতেই বিরোধীদল আর জঙ্গি খুজে ডিজিটাল নেত্রী আর তাদের বিদেশী দাদাদের তেল মেরে খুশি রাখতে ব্যস্ত। ডিজিটাল দেশ পাওয়ার স্বপ্নে মাতাল হয়ে ভোট দেওয়ার অপরাধে ইদানিং কাউকে মন থেকে প্রশংসা করলেই শুনতে হচ্ছে ,আমি নাকি ডিজিটাল সেবকদের কাছ থেকে তেল মারা ভালই শিখেছি।
এই সেই গ্যাস যার জন্য হরতাল ঢেকেছে আর সেই হরতালের যৌক্তিকতা নিয়ে ন্যায়-অন্যায়ের প্রশ্ন উঠাচ্ছে আমাদের বিবেক !!!! হায় সেলুকাস কি বিচিএ এই দেশ কি বিচিত্র আমাদের এই বিবেক !!!!!!!!
মাস খানেক আগে আমার দেশের ভিমরুলে তেল সমাচার শিরোনামে লিখেছিলাম । কিছুক্ষন আগে পোস্ট করেছিলাম ।
এডিট করতে গিয়ে মুছে গিয়েছে ২ বার
ভিমরুলের লিংক
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।