আমরা যারা হাদীস কোরআন না পড়ে না জেনে বাপ-দাদা বা মসজিদের ইমামের কথার উপর ভিত্তি করে নামায এবং অন্যান্য দ্বীনের কাজ করি তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা-
আপনারা ডঃ জাকির নায়েকের ডিভিডি গুলো দেখবেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন যে, যদি কারো কথা আল্- কোরআন এবং সহীহ হাদীস মোতাবেক হয়ে তাহলে আমরা তা মেনে নিব আর যদি তাহা এই দুইটার বিপরীত হয়ে তাহলে বর্জন করব। পৃথীবেতে আল্লাহ্ পাক তার দ্বীন অপূর্ন রাখেননি যে নতুন নতুন ফতোয়া তৈরী করতে হবে। হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) আমাদের সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে গেছেন। তাই নতুন করে কিছু তৈরী করার দরকার নাই। আসুন আমরা নিজেরা পড়ি, বুঝি, যাচাই করি এবং অন্ধ ঘোড়া হুজুর যারা বাসায় বাসায় গিয়ে মিলাদ পড়িয়ে পয়সা কামায় এবং বেশী বেশী ফায়দার কথা বলে বেদাত কাজে শরীক করায় তাদের প্রত্যাহার করি।
১. ইমাম আবু হানীফা (রঃ)
প্রথমে ইমাম আবু হানীফা (রঃ) সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। তাঁর সাথী-সঙ্গীরা তাঁর বহু কথা বর্ণনা করেছেন। সেগুলোর মূল সুর একটা। সেটা হচ্ছে, হাদীস আঁকড়ে ধরা ওয়াজিব এবং ইমামদের যে সকল রায় হাদীস বিরোধী তা প্রত্যাখ্যান করা জরুরী। তিনি বলেছেনঃ
[১. হাদীস সহীহ হলে সেটাই আমার মাযহাব।
(ইবনে আবেদীন ’আল – হাশিয়া’ কিতাবের ১ম খন্ডের ৬৩ পৃষ্ঠা এবং তার ’রাসমূল মুফতী’ কিতাবের ১ম খন্ডের ৪র্থ পৃষ্ঠায় একথা উল্লেখ করেছেনঃ মাযহাবের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ হাদীস পাওয়া গেলে এর ওপরই আমল করতে হবে এবং সেটাই আমার মাযহাব। এর ফলে সে হানাফী মাযহাবের অনুসারী হওয়া থেকে বাদ যাবে না। ’ ]
[২. আমরা কোথা থেকে মাসআলা গ্রহণ করেছি, তা জানার আগ পর্যন্ত আমাদের বক্তব্য গ্রহণ করা কারোর জন্য জায়েয নয়। (ইবনু আবদিল বার, ১৪৫পৃঃ, আবনুল কাইয়েম, ২য় খন্ড, ৩০৯ পৃঃ, আশ-শা’রানী, ১ম খন্ড, ৫৫ পৃঃ ইত্যাদি গ্রন্থ)। ]
[৩. আমার কোন কথা বা বক্তব্য যদি কোরআন ও হাদীসের বিপরীত হয়, তাহলে আমার বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করো।
(আল ইকায-আল ফোলানী, ৫০ পৃঃ তিনি এটাকে ইমাম মোহাম্মদের বক্তব্য হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, একথা মোজতাহিদের চাইতে মোকাল্লিদের জন্য বেশী প্রযোজ্য। আমি বলি, এই কথার ওপর ভিত্তি করে শা’রানী মীযান গ্রন্থের ১ম খন্ডের ২৬ পৃঃ লিখেছেনঃ যদি কেউ বলে, আমার ইমামের মৃত্যুর পর সহীহ হাদীস পেলে তা দিয়ে আমি কি করবো? এর জওয়াব হচ্ছে, তার উচিত সহীহ হাদীস মোতাবেক আমল করা। কেননা, ইমাম জীবিত থাকলে তাকে তাই আদেশ করতেন। )
পর্ব-০১
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।