অপার্থিব ঘোর
দর্পণ কবীর
একটা জলপাই রঙ ছায়া প্রতিনিয়ত
আমাকে করে তাড়া। অচল পয়সার মত হারিয়ে যাওয়া একটা স্বপ্ন হঠাৎ
ফিরে এসে আজকাল ভীষণ দিশেহারা, আমাকে সপ্তলোকে নিয়ে জলপরীদের নাচ দেখাবে বলে। যে নত্রগুলো কপথে অভিমানী মেঘের মত হারিয়ে গেছে অঝোর বৃষ্টির নামকরণে, ঐ
নত্রগুলো আমার দু’পায়ের কাছে নতজানু হয়ে বসে থাকে পোষা বিড়াল হয়ে, আশ্চার্য বিহবলতায়! ওরা জানে, আমার ভেতরের অন্তর্যামী কতটা গেছে য়ে! কতটা রণ এখনো যাচ্ছে বয়ে! আমি
নায়াগ্রার জলপ্রপাতের কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাসকে রঙধনু বানিয়ে, সেই কবেই
ঝুলিয়ে দিয়েছি আকাশ-ক্যানভাসে, সে কথা ওরা জানে না। ওরা
হতে চায় আমার কষ্টের দীর্ঘশ্বাস! আমি বিনম্র লাজুকতায় ভাষামূক, অপার্থিব আয়োজনে!
একটি অদৃশ্য মুখ, দৃশ্যমান হতে চেয়ে
বারবার ফিরে আসে কল্পনার ককপিঠে। আমাকে ঈশ্বর বানিয়ে সে হতে চায়
কামনার মানসী! ঈশ্বর কি নিছক মূর্তি, নিরাকার বা ব¯ত্তুবাদ? আমি জানি, ঈশ্বর হলেও
তোমার সৌন্দর্যকে উপো করার শক্তি আামার নেই। ছায়া, স্বপ্ন, নত্র, মেঘ.... যে কোন অস্থিত্বে
তুমি থাকো, তোমার মুখোমুখি আমি সত্যিই হারাই খেই। জানি, তোমার পথ
অন্যপথে , আমিও অনেক দূরে,তবু কেন পথ খুঁজে ফিরি, তোমাকে ছোঁয়ার গোপন স্পর্ধায়,
নির্লজ্জভাবে, নির্দ্বিধায়? জানি, এই না বলা কথা সূর্যাস্তের মত ঠিকই যাবে
ডুবে, ফিরবে না কাঁচা ভোরে। আমি সাত জন্মে ও থাকবো তোমাকে দেখার ঘোরে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।