সবকিছুই চুকিয়ে গেছে গালিব! বাকি আছে শুধু মৃত্যু!!
বৃন্দাবনে প্রিয়তমা রাঁধার কাছ থেকে বিদায় নেয়ার সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে কথা দিয়েছিলেন প্রতি রাত্রে অন্তত একবার তিনি তাঁকে স্বপ্নে দেখা দিবেন। ভগবান কি তাঁর কথা রেখেছিলেন? আমি জানিনা। মহাঋষি বেদব্যাস হয়তো জানতে পারেন। তবে ভগবান কথা না রাখলেও তাঁকে দোষার কিছু নেই। কতজন-কে কত কথাইতো তিনি দেন।
সব কথা কি রাখতে হয়? তাছাড়া ভগবান কথা রাখলেও সেটা লীলা, না রাখলেও লীলা। তিনি ন্যায় প্রতিষ্ঠা করলেও সেটা লীলা। আবার কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করলেও তা লীলা। তার লীলা অপরিসীম। মানুষের বুঝের উর্ধ্বে।
এনিয়ে প্রশ্ন করা যাবেনা, ভাবা যাবেনা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নাকি বলেছেন, তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা কেড়ে নেন। ক্ষমা চেয়ে বলি, আমি ধর্মবিশারদ নই। কাজেই কেউ যদি এ আয়াতের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এবং রেফারেন্স চান তবে আমি তা দেখাতে পারব না। মাঝেমধ্যে মুফতী, মৌলানাদের কথাটা আওড়াতে দেখি।
আমার জানার উৎস ওটাই। আয়াতটির সততা নিয়ে যদি প্রশ্ন থেকেও থাকে তবে এর প্রায়োগ অথবা বাস্তবতা এবং চর্চা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এটাতো কেউ অস্বীকার করবেন না যে, খেয়ালের বশে আল্লাহই বুশ এবং হিটলার নামক জানোয়ারদের হাতে ক্ষমতা দিয়েছিলেন এবং তাদের মাধ্যমে হাজার হাজার নিষ্পাপ নারী ও শিশুর জান কবজ করেছিলেন। কেন আল্লাহ এমনটা করেছিলেন? আমি জানিনা। মুফতী, মৌলানারা হয়তো জানতে পারেন।
কিন্তু এসব নিয়ে ভাববার মতো পর্যাপ্ত সময়তো তাদের নেই। তারা এখন গ্রেনেডের বারুদ সংগ্রহে ব্যস্ত।
তবে যে কারণেই আল্লাহ তা করে থাকেন না কেন এগুলো নিয়ে তাকে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা। অবনত মস্তকে বলে যেতে হবে তার লীলা তিনিই বুঝেন। তার করুণা অপার, তিনি অসীম।
তাকে প্রশ্ন না করে সদা তার কাছে নিজেকে সপে দিতে হবে।
খেয়ালের বশে মাঝেমধ্যে তিনি প্রেরিত পুরুষ প্রেরণ করবেন। সেই পুরুষ-কে মেনে নিতে হবে বিনা প্রশ্নে। তার ব্যক্তিগত কর্মকান্ড, জীবনাচারণ এবং ভোগবাদীতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলা যাবেনা। তিনি যা করেন তাই সঠিক।
তাকে না মেনে বা তার নির্দেশিত পথে না চলে ঈশ্বরের কাছে যাওয়া যাবে না। কখনই বলা যাবেনা যে এই ব্যক্তিকেও ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন, আমাকেও ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন। যদি তাই হয় তবে কেন ঈশ্বর-কে পেতে তারই এক সৃষ্টিকে মাধ্যম হিসেবে ধরতে হবে? কেন ঐ ব্যক্তি-কে বাদ দিয়ে ঈশ্বরকে পাওয়া যাবেনা? সরাসরি মহান ঈশ্বরের প্রার্থনা করা যাবেনা? ঈশ্বরতো সৃষ্টির সময়ে আমাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। আমাকে সৃষ্টির জন্যতো অন্য কাউকে কন্ট্রাক্ট দেননি।
আসল কথা, ঈশ্বরের কাছে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা।
তার প্রেরিত স্বৈরশাসকদের নিয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা। তার প্রেরিত পুরুষদের কর্মকান্ড নিয়েও কোন প্রশ্ন তুলা যাবেনা। সব মেনে নিতে অবনত মস্তকে। আমি জানি, আপনি হয়তো আমার কথা বিশ্বাস করছেন না। ঠিক আছে, মহান ঈশ্বর-কে এখনই প্রশ্ন করে দেখুন।
আপনার উত্তর পেয়েছেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।