পরাজিত হতে হতে আমি উঠে দাড়িয়েছি এবার ফিরে যাবো না খালি হাতে, স্তব্ধতা আর সৌন্দর্যের পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই যে কবি সে কখনো খালি হাতে ফিরে যেতে পারে না ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মোশতাক-চাষী আর পুজির নষ্ট সঙ্গমে কিংবা ফারুক-রশিদ-ডালিম-নুরের ক্যুতে সপরিবারে নিহত হন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । প্রায় ২১ বৎসর পর রুজুকৃত মামলায় প্রাপ্ত মৌখিক, দালিলিক, তথ্যগত ও অবস্থানগত সাক্ষ্য এবং আলামত এবং আসামিদের পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও বিচার-বিশ্লেষণ করে বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১. লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ২. লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান ৩. লে. কর্নেল মুহিউদ্দিন আহমদ (আর্টিলারি) ৪. পলাতক লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ ৫. মেজর বজলুল হুদা ৬. পলাতক লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম ৭. পলাতক মেজর আহমদ শরফুল হোসেন ৮. পলাতক লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী ৯. লে. কর্নেল একেএম মুহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার) ১০. পলাতক লে. কর্নেল এসএইচএমটি নূর চৌধুরী ১১. পলাতক লে. কর্নেল আবদুল আজিজ পাশা ১২. পলাতক ক্যাপ্টেন মোঃ কিসমত হাশেম ১৩. পলাতক ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন আনসার ১৪. পলাতক ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ ১৫. পলাতক রিসালদার মোসলেম উদ্দিনকে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সব সন্দেহের ঊর্ধ্বে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘাতকদের সর্বোচ্চ সাজা ফাসি দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ফারুক, হুদা, দুই মহিউদ্দিন , শাহরিয়ার প্রমুখ কারাগারে ।
বাকিরা পলাতক । এই
সামুব্লগেই দাবি করেছিলাম “খুনি নুর-ডালিম-রশিদ গংদের দ্রুত গ্রেফতার করে দেশে এনে আদালতে হাজির করা হোক । ” যাহোক , আমরা খুনিদের দণ্ড কার্যকর দেখার প্রতীক্ষায়।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে রয়েছে অনেক ষড়যন্ত্র, অনেক নেপথ্য নায়ক। ফৌজদারি আইনে শুধু হত্যার বিচারই হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের পূর্বাপর প্রেক্ষাপট ও কারণ বিশ্লেষণ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের শনাক্ত করে বিস্তৃত দলিল প্রকাশে এখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , পাকিস্তান, ভারত ও চীনের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার । বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে বাংলাদেশের পাকিস্তানপন্থী ও চীনপন্থি বামদের কোনো ভূমিকা ছিল কি-না সেটাও ভেবে দেখা দরকার। ১৫ আগস্টের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখাও জরুরি । বাংলাদেশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই'র ভূমিকাও খতিয়ে দেখা দরকার ( ১৫ আগস্টের পরপরই এবিএস সফদারকে ডিজি হিসেবে নিয়োগ দেন মোশতাক !)
সেই সময় সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা সেনাপ্রধান জেনারেল সফিউল্লাহ, ডেপুটি চিফ জেনারেল জিয়াউর রহমান, সিজিএস খালেদ মোশাররফ ও ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার সাফায়াত জামিলের ভূমিকার ব্যাপারে শেখ সেলিমের প্রশ্ন ও তাদের কোর্ট মার্শালে বিচারের দাবিকেও আমলে নেয়া দরকার ।
বঙ্গবন্ধু হত্যার আদ্যোপান্ত তদন্তে একটি কমিশন গঠন জরুরি। তাই আমাদের দাবি , বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিশন গঠন করা হোক ।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জেল হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী সময়ে সব হত্যাকাণ্ডসহ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হত্যাকাণ্ডকে সঠিক বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রতিটি ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন করে সঠিক বিচার করতে হবে। এগুলো করা গেলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
গণতন্ত্র সুসংহত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।