আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওয়াদা রক্ষা

কোন একদিন.. এদেশের আকাশে... কালেমার পতাকা দুলবে, সেদিন সবাই ... খোদায়ী বিধান পেয়ে দু:খ বেদনা ভুলবে..

তখন হযরত ওমর (রা) ইসলামী বিশ্বের খলীফা ছিলেন। তাঁর নির্দেশে মুসলিম বাহিনী সিরিয়ার দামেশক শহর ঘেরাও করে রেখেছে। শহরের দুপ্রান্তের বাহিনীর দু অংশের এক প্রান্তের নের্তৃত্বে ছিলেন সিপাহসালার আবু ওবায়দা বিন জাররাহ (রা) এবং অন্য প্রান্তে নের্তৃত্ব দিচ্ছিলেন খালিদ বিন ওয়ালীদ (রা)। খৃস্টানরা অবরোধের নিরসনের জন্য আবু ওবায়দা বিন জাররাহর (রা) সাথে সন্ধি করল এবং শহর মুসলমানদের অধীনস্ত হল। অপর দিকে খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা) এ ঘটনা জানতেননা।

তিনি যুদ্ধ করতে করতে জয়ী হয়ে অন্যপ্রান্ত দিয়ে শহরে ঢুকলেন এবং শহর দখল করলেন। শহরের মাঝখানে এই দুই কমান্ডারের দেখা হল। তারা পারস্পরিক আলাপের মাধ্যমে ঘটে যাওয়া দুটি ভিন্ন অবস্থা সম্বন্ধে জানলেন। জেনেশুনে এখন দুজনেই পড়লেন বিরাট বিপাকে। কি করা যায় এই শহরকে নিয়ে।

একসময় তাঁরা সিদ্ধান্তে এলেন যে, খৃস্টানদের সাথে সন্ধির প্রতি সম্মান দেখিয়ে শহরকে দুভাগে ভাগ করা হবে। জয়ী অংশে ইসলামী আইন বাস্তবায়িত হবে এবং সন্ধির অংশে খৃস্টীয় আইন বলবত থাকবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবার কিছুদিন অতিবাহিত হবার পর দেখা গেলো যে অংশে ইসলামী আইন চালু হয়েছে সেখানে ন্যায়বিচার ও ভ্রাতৃত্বের বিকাশ ঘটেছে এবং তার পুরো সমাজ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে সন্ধিকৃত অংশের চেয়ে অনেক বেশি ভাল অবস্থানে থাকল। পরবর্তি সময়ে খৃস্টানদের অনুমতিতেই বাকি অংশকেও ইসলামী আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।