আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওয়াদা ভঙ্গের দ্বারা শুরু হলো নতুন সংসদ অধিবেশন/sb]



দিন বদলের সনদের মূলা ঝুলিয়ে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে। সবাই আশা করেছিল অন্তত এবার রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটবে। তারা যে সব ওয়াদা দিয়েছিল তা বাস্তবায়িত হবে। জনগনের আশা আকাঙ্খাকে তোয়াক্কা না করে একের পর এক ওয়াদার খেলাপ করা শরু করেছে দলটি। প্রথম দিকে দশটাকা সের চাল ও বিনা মূল্যের সারের কথা অস্স্বীকার করেন দুই মন্ত্রী।

এটা যেহেতু ইশতেহার নামক অকেজো কাগজে লিখা নেই তাই সেটা না হয় অস্বীকার করে আইনত পার পেয়ে যাবে। কিন্তু যেগুলো ইশতেহারে লেখা আছে সে গুলোর কি হবে?। প্রথম ইশতেহারের বরখেলাপকৃত কাজ হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে দলীয়করণ করা। ইশতেহারে ছিল যে, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দলীয় করণ করবে না আওয়ামীলীগ। ঢাবিতে প্রথম তিনটি পদ দলীয় লোক বসিয়ে সেই ইশতেহারের কথাকে মূল্যেহীন করলো।

এবার আসা যাক ডেপুটি স্পীকারের কথায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করে বললেন যে বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পীকার করা হবে। এটা সবাই জানে। এবং পত্র পত্রিকায় আজকেও দিয়েছে এ খবর। তার পরও জাতি দেখলো যে আওয়ামীলীগ কিভাবে তার ওয়াদার বরখেলাপ করছে।

প্রথম অধিবেশনেই স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার করেছেন আওয়ামীলীগ থেকে। তরুন প্রজেন্মর ভোটে নাকি মহাজোট ক্ষমতায় এসেছে। তরুন প্রজন্ম এখন কি ভাববে দলটি সম্পর্কে? এটা কি আওয়ামীলীগ নেতৃবুন্দ ভেবে দেখলেন না? নাকি ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী ভেবে বসলেন? চারদলীয় জোটের উদাহরণ তো আপনাদের সামনে আছেই। তার পরও কেন আপনারা এ থেকে শিক্ষা নিলেন না বা নিচ্ছেন না?? এভাবে কি আওয়ামীলীগের নব্য সচেতন সমর্থকদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা ঠিক হচ্ছে??

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।