(একটি গবেষণাধর্মি পোস্ট)
পূর্বকথাঃ এই পোস্টটি লিখতে আমাকে রীতিমত গবেষণা করতে হয়েছে। সাক্ষাৎকার নিতে হয়েছে প্রায় ডজন খানেক রমনীর। এজন্য করেছি অনলাইনে গুতাগুতি এবং ব্যাপক হারে ফিল্ডওয়ার্ক। ফিল্ড ওয়ার্ক না বলে ক্যান্টিন ওয়ার্ক বললেই মনে হয় ভালো হয়। ব্যাপারটা একটু ব্যখ্যা করি।
হয়তো ক্যান্টিনে আমাদের ক্লাসের কোন মেয়ে বসে আছে। আমি হাসি মুখে মেয়েটাকে একটা প্রশ্নপত্র ধরিয়ে দিলাম। মেয়েটা প্রশ্নপত্র পড়ে আমার দিকে বিচিত্র ভংগি তে তাকালো। তাকানোর ভংগিটার সমার্থক বাক্য সম্ভবত এটা, “৬ ফুটি গাধা তো এর আগে কোন দিন দেখিনি”!!”
গাধা ভাবুক আর যাই ভাবুক, আমাকে অবাক করে দিয়ে সবাই আমার প্রশ্নপত্রটির নিচে বেশ সুন্দর করেই উত্তর লিখে দিয়েছে।
আগেই বলেছি যাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি তাদেরকে একটি প্রশ্নপত্র ধরিয়ে দিয়েছিলাম।
কি ছিলো সেই প্রশ্নপত্রে? আসুন দেখি,
১) ছেলেদের কোন গুণ গুলো আপনাকে মুগ্ধ করে?
২) ছেলেদের কোন কোন ব্যাপারগুলো আপনাকে বিরক্ত করে?
৩) কিভাবে অফার করলে আপনি পটে যাবেন বলে আপনার ধারণা?
এবার আসুন উত্তর গুলো দেখা যাক।
প্রথম প্রশ্ন ছিলো, ছেলেদের কোন গুণগুলো আপনাকে মুগ্ধ করে? উত্তরে পাওয়া গেছে বেশ কিছু ব্যাপার।
১) সততা
২) দায়ীত্ববোধ।
৩) ব্যাক্তিত্ব
৩) চমৎকার হাসি।
৪) রিক্সা খোজে দেওয়া।
৫) যে মেয়ে ও ছেলের মধ্যে পার্থক্য না করা।
৬) ইভ টিজিং-এ বাধা দেওয়া।
৭) সাবলীলতা।
৮) স্মার্টনেস।
৯) একাগ্র চিত্তে মনযোগের সাথে গল্প শোনার ক্ষমতা।
১০) কেয়ার করা।
১১) ভালো যত্ন নেয়া।
১২) সহজে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা।
১৩) অনেক কথা বলা(!)।
১৪) প্রানবন্ততা।
১৫) বুদ্ধিদিপ্ততা
১৬) প্রগতিশিল মানষিকতা।
১৭) পরোপকারী মনোভাব।
১৮) অন্যের বিপদে ঝাপিয়ে পড়ার মানষিকতা।
১৯) আশেপাশের মানুষদের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া।
২০) কথায় কাজে মিল থাকা।
২১) মন গলানোর জন্য পাগলামো করা।
২২) দায়িত্বশীলতা
২৩) বুদ্ধিমত্তা
২৪) পরিমিতবোধ এর মাঝে কিছু আজব টাইপের ব্যাপারওপাওয়া গেছে। যেমনঃ
-মোটরসাইকেল কিনে দিতে হবে।
-নিয়মিত মাইর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। )
-মশারী টাঙ্গানোর ব্যাপারে পারদর্শী হতে হবে।
(কথাগুলো যিনি বলেছেন তারবয়ফ্রেন্ডের ভাগ্য নিয়ে আমি শংকিত)
দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিলো, ছেলেদের কোন কোন ব্যাপারগুলো আপনাকে বিরক্ত করে? । এর উত্তরেও পাওয়া গেছে বেশ কিছু ব্যাপার।
১) মিথ্যা বলার প্রবণতা।
২) অসততা।
৩) ক্রমাগত বিরক্ত করা।
৪) সিরিয়াস ব্যাপারে সিরিয়াস না থাকা।
৫) আতলামী
৬) চাপা স্বভাব।
৭) অকারণে বসিং।
৮) নারি বিদ্ধেষী মনোভাব।
৯) নিজেকে হালকা ভাবে প্রেজেন্ট করা।
১০) নাভির নিচে প্যান্ট পরে কিছক্ষন পর পর উঠানোরচেস্টা করলে।
১১) বেশী কথা বলা। ছেলেরা বুঝেনা বেশী কথা বলে নিজেরাই নিজেদের ওয়েট টা কমিয়ে ফেলে
১২) সামনে বসে হাই কাটা,নাক খুচানো,একটু পর পর চুলে হাত দেওয়া । (অনেক ছেলেরে দেখি কোমরে হাত দিয়ে আঁকা-বাঁকা হয়ে স্প্রিং এর মত দাড়িয়ে থাকে)
আমার শেষ প্রশ্ন ছিলো কিভাবে অফার করলে আপনি পটে যাবেন বলে আপনার ধারণা???
এর উত্তরে পাওয়া গেছে বেশকিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। মোটামোটি যাদেরকেই জিজ্ঞাস করেছি সবাই আলাদা আলাদা উত্তর দিয়েছেন।
কেউ কেউ উত্তর দিতে চান নি। যাই হোক, নিচে সেগুলো তাদের জবানীতে দেয়ার চেস্টা করলামঃ
১) রেস্টুরেন্টে নিয়ে মধুরমধুর কথার সাথে বেশ ভালো কিছু খাওয়াতে হবে। এর ফাকে আস্তে করে হাতে গোলাপ ধরিয়ে দিতে হবে। তখন আমি যা বোঝার বুঝে নিবো"
২) কোন রকম ভনিতা না করে সহজভাবে বলতে হবে "I love you”
৩)কোন বাংলা সিনেমার পোস্টার-এর লেখা দেখিয়ে বলতে হবে "মন দিয়েছি তোমাকে" কিংবা "প্রেমে পড়েছি"”
৪) মন গলানোর পর ভদ্রভাবে করুণ সূরে অফার করলে। "
৫) প্রথমে বন্ধু হতে হবে, আমাকে ভালোভাবে বুঝতে হবে, এরপরে ইন্টারেকশন খুব ভালো পর্যায়ে গেলে আমাকে তার ভালো লাগার কথাবলতে পারে, ঝামেলা করবোনা খুব একটা।
"
৬) অনেকদিন আমরা একা হেঠেছি, অনেকটা পথ, এসো এবার বাকিটা পথ হাত ধরে হাঠি বললে"
৭) পটে যাবো মনে হয়খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলে, নিজেকে বড় প্রমান করতে গিয়ে অন্যকে ছোট না করে, সহজভাবে আমাকে বললে"
৮) পটানোর মানসিকতা চাইনা। কিছু বলার ও দরকার নাই ভালো আন্ডারস্ট্যাডিং থাকলে (হয়তো) বুঝতে পারবো কি বলতে চায়। "
৯) ওরে শয়তান!! এইটা তরে বলব কেনো!!!!”
১০) ওই ফাজিল!!!! এটা বলা যাবে না"
রসায়নিক ভালোবাসাঃ
দুইজন ভালোবাসার দুটা সমীকরণ দিয়েছেন, সেগুলো তুলে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা।
১)শ্রদ্ধা+বিশ্বাস+অনুভূতি=ভালোবাসা।
২) ঝগড়া+মিটমাট+অনুভূতি=ভালোবাসা।
এখানকার সবকিছু নেট থেকে সংগ্রিহত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।