কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
সংবিধান, নামকরন এবং অধিকার
কি নামে ডাকি তাহারে?
কি আমার পরিচয়?
ক্ষুদ্র পাহাড়ী জাতী গোষ্ঠি সম্প্রদায় আমাদের সমাজে অঙ্গাঙ্গীভাবে মিশে আছে। যা বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ।
তাদের সম্মান মর্যাদা শিক্ষার অধিকার ভূমির অধিকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকারের নির্যাতিত শোষন নীতির কারণে তারা অবহেলিত এবং বঞ্চিত হয়েছে তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে।
৯আগষ্ট বিশ্ব আদি বাসি দিবস
অনাড়ম্ভর অনষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়েছে।
পাহাড়ী বাঙ্গালী সবাই মিলিত হয়েছে এই উৎসবে।
আদি বাসি দিবস এখন একটি উৎসবের নাম।
তাদের এই আদি বাসি নামকরণ কি যুক্তি সঙ্গত। তাতে কি তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে।
আমাদের দেশের প্যাটার্নে এই নামকরণ কি হওয়া উচিত।
তাদের ভূমির অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে ভূমি আইন পরিবর্তন করা দরকার।
এই পাহাড়ী জনগোষ্ঠি বনকে রক্ষা করে। বনকে তার স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠার সূযোগ তৈরী করে দেয়। তারা বনকে মনে করে দেবতা আর পাহাড়ী ঝর্নাকে মা মনে করে। তাদের জীবন প্রণালীতে একেবারে নুন্যতমভাবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই বনের সুবিধা ভোগ করে।
এই কৃত্রিম সভ্যতার বিলাসিতায় অবয়ব থেকে বেড়িয়ে এসে এই পাহাড়ী আদিবাসি জনগোষ্ঠির কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছূ।
আমরা বাংলাদেশের অধিবাসিরা নিজেকে গর্বিত বাঙ্গালী মনে করি। কিন্তু মনে রাখা দরকার আমরা সেই দিনই প্রকৃত বাঙ্গালী হতে পারবো যেদিন নিজেকে প্রকৃতির সাথে মানিয়ে নিয়ে প্রকৃতির অফুরন্ত দান থেকে নিজের প্রয়োজনের জন্য যা , তা নিয়ে আবার প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রেখে পাহাড়ীদের জীবন যাপনের মতো নিজেকে আদি বাসি মনে করবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।