এসএসসিতে জিপিএ ৩ দশমিক ৬৩ নিয়ে কুমিল্লা কমার্স কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয় সাইফুল ইসলাম। সদ্য প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। আরেকজন এমরান হোসেন কুমিল্লা কমার্স কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয় ৪.৩৮ নিয়ে। সেও পেয়েছে জিপিএ-৫। সাইফুল-এমরানের মতো এরকম বহু শিক্ষার্থীর ফল বদলে দেওয়ার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা কমার্স কলেজ।
প্রতিষ্ঠানটি এবার কুমিল্লা বোর্ডের সেরা ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮তম স্থান অর্জন করে।
ফলাফল প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবীর মাসউদ বলেন, শুধু জিপিএ-৫ নয়, শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের মেধা-মান বাড়ানোর অবিরাম চেষ্টা আমাদের লক্ষ্য এবং বৈশিষ্ট্য। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কলেজ পরিচলনা পর্ষদ ও অভিভাবকদের নিরলস পরিশ্রম এবং কলেজের অভ্যন্তরীণ নিয়ম শৃঙ্খলা ভালো ফলাফলের নেপথ্য কারণ বলে জানান তিনি। অধ্যক্ষ বলেন, দেশের নামিদামি কলেজগুলো যেখানে ভালো মানের জিপিএ দেখে ভর্তি করায়, সেখানে কুমিল্লা কমার্স কলেজে জিপিএ ৩ মানের শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে তাদের জিপিএ-৫ মানে উনি্নত করে। কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোস্তফা কামাল জানান, কলেজটি ২০১২ সালেও ১৮ তম স্থান অর্জন করেছিল।
এর আগে ২০০৯ সালে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের শীর্ষ দশের তালিকায় ৪র্থ স্থান অর্জন করে এবং ২০০৮ সালে অর্জন করে ৬ষ্ঠ স্থান। এছাড়াও ২০০৭ ও ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ পাসের শীর্ষত্ব ধরে রাখে। তিনি বলেন, একটি মৌলিক বিশ্বাস থেকেই আমরা শিক্ষার্থীদের পরিচালিত করি। তা হলো প্রত্যেকেই মেধাবী। কেউই মেধাহীন নয়।
শিক্ষার্থীদের এ মেধার বিকাশ ও চর্চা নিশ্চিতের কাজটি করেন কুমিল্লা কমার্স কলেজের শিক্ষকরা। যার অনিবার্য এবং ধারাবাহিক ভালো ফলাফল আমরা প্রতি বছরই পাচ্ছি। *শিক্ষা প্রতিবেদক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।