দুঃখিত এটা কোন নতুন লেখা না, কোন নতুন বিষয় নিয়েও না, কমাস আগে একটা বিষয়ের অবতারনা করেছিলাম, তাই ভাবলাম ইতিটা টানা উচিৎ। গল্পটা মোটামুটি এইরকম, বিলেত ফেরত এক বালক নিজ গ্রাম পরিদর্শন করিতে গিয়া এক স্বাধীন তরুণকে উচ্চশিক্ষার লোভ দেখাইয়া পুনরায় কলেজমুখী করিতে উৎসাহিত করিতে সক্ষম হয়। অতঃপর বালক বিলেত ফেরত চলিয়া যায়, আর তরুণ উচ্চশিক্ষার নাগপাশে আবদ্ধ হইয়া নানা দুঃখকষ্টের মাঝে বেদনার জীবন যাপন করিতে থাকে।
গতকাল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের পরে থেকেই চিন্তায় ছিলাম, ছোকরার কি হল। অনেক ভেবেচিন্তে এক নিকটাত্মীয়কে মেইলালাম।
দিন পেরুবার আগেই মেইলের তড়িৎ জবাব। ছোকরা পাশ করিয়াছে, এবং জিপিএ ৪.১ পাইয়াই পাশ করিয়াছে। মনে মনে স্বস্তির হাঁফ ছাড়লাম, কারণ একঃ বেচারার এক বছর তাহলে ফাও নষ্ট হয় নাই। হয় কিছু শিখেছে আর নাহয় ইফেক্টিভ নকল পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে (উভয় গুণাবলিই জীবনে সাফল্যের জন্য যথেষ্ট উপকারী)। আর দ্বিতীয় কারণ হল, ব্লগের সবাইরে জানানোর পরে প্রোজেক্ট এইভাবে ফেল মারলে তো পুরো কেলেঙ্কারী হয়ে যেত।
কমার্স থেকে হাজার হাজার এ+ এর যুগে হয়তো আহামরি কোন রেজাল্ট না, তবুও হয়তো কিছুটা উপকার করলাম কারো।
এখন ভাবছি, এই কাহিনীকে এখনই গোরস্থ করব নাকি আরেকটু আগিয়ে নেয়া যায় কিনা তার চেষ্টা করব। আমি নিজেও এখনো ধাতস্থ হতে পারিনি। তবে মনে হয়, আমাদের অনেকেই নিজেদের ব্যাক্তিগত বিলাসিতা (যেগুলোকে হয়ত আমরা এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকার হিসেবে মেনে নিয়েছি) থেকে প্রতি মাসে কিছু আলাদা করার অভ্যাস করতে পারি, বহু অসামর্থ্যের ফাঁদে পড়া প্রতিভাকে বের করে আনা সম্ভব। কি করা উচিৎ ওর? গ্র্যাজুয়েশনের প্রস্তুতি, না জীবন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মাইন্ডসেট?
যারা প্রথম প্যারা থেকে বেশী কিছু উদ্ধার করতে পারেননি, তাদের জন্য ফ্ল্যাশব্যাক
জিপিএ ৪.০.১
জিপিএ ৪.০.২
জিপিএ ৪.০.৩
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।