মনে করুন আপনার বাড়ীতে[গভীর রাতে একদল সংঘবদ্ধ ডাকাত হানা দিয়েছে। আপনি যে কোন উপায়ে সাহায্যের জন্য থানায় খবর জানালেন। থানা কর্তৃপক্ষ অনেক সময় ব্যয় করে একদল পুলিশ পাঠালো। তাও আবার অনেক সময় অস্ত্রবিহীন সিপাহীর দল। এরা সরকারী গাড়ি হাঁকিয়ে এসে আপনার বাড়ী থেকে আধমাইল দুর থেকেই সাইরেন ও হুইসেল বাজাতে শুরু করলো যাতে এইফাঁকে অপরাধীরা সরে যেতে পারে।
এইভাবে অপরাধীদের সাহায্য করে অপরদিকে কিছু নিরীহ লোকের কোমড়ে দড়ি পরিয়ে সবার সুমুখ দিয়েই এদের টেনে হেঁচড়ে নিয়ে চললো, সাথে চললো এদের প্রতি অশ্রাব্য নোংরা ভাষার কিস্তি। এমনসব নিরীহ লোকদের ধরে নিতে পুলিশ সবসময়ই এক পা বাড়িয়ে আছে যাদের কোমড়ে দড়ি পরানোর ভয় দেখালে আত্মসম্মানের ভয়ে তারা পুলিশের পকেট ভারী করতে পারে। পুলিশ প্রায় জায়গাতেই এমন ধরণের অপকর্ম করে যাচ্ছে স্থানীয় সাংসদদের নির্লিপ্ততার কারণে। কারণ সাংসদ মহোদয় ব্যস্ত আছেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সম্বর্ধনা গ্রহণে, বৃক্ষরোপণ উদ্বোধনে আর টি আর-এর চাল বিতরণে যা প্রায় ক্ষেত্রেই অজায়গায় বরাদ্দ হচ্ছে। শুনা যায় কোন কোন পাতিনেতা এ ধরণের চালের বিনিময়ে নিজের বাসার নালা পরিস্কার করছেন।
আবার কোন কোন জায়গায় উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে সাংসদ মহোদয়ের বনিবনা না থাকায় উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবার জন্য এমন একজন ব্যক্তির উপর উপজেলার আইন-শৃঙ্খলার পর্যবেক্ষণের ভার দেওয়া হয়েছে যে ব্যক্তিটি তার অতীতের নানা গুণপনার জন্য অধিকাংশ লোকের নাপছন্দ। এরই মধ্যে চলেছে অসহায় জনগণের দিনকাল। দিনবদল হতে বুঝি আর বেশী দেরী নেই। ৎ
নানক সেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।