আত্মবিশ্বাসহীনতায় প্রকট হচ্ছে আত্মার দেউলিয়াত্ব, তবুও বিশ্বাস আগের মতই নিশ্চল..
শুরুতেই এ ধরনের টুকরো গল্পের ফরম্যাট সম্পর্কে ধারণা দেয়া প্রয়োজন বোধ করছি:
১. গল্পটি ৫টি বর্ণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। এক্ষেত্রে যেকোন ৫টি বর্ণই নির্বাচন করা যেতে পারে । ধরা যাক ৫টি বর্ণ যথাক্রমে ক, ব,ম,র, এবং স।
২. গল্পে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দে নির্ধারিত ৫টি বর্ণের ন্যুনতম ১টি অবশ্যই থাকতে হবে।
৩. গল্পের শব্দসংখ্যা হবে, বর্ণগুলোর অবস্থানের যোগফলের সমান।
যদি গল্পের নির্ধারিত বর্ণগুলো হয় অ, ক, খ, চ এবং জ, সেক্ষেত্রে শব্দসংখ্যা হবে ১+১২+১৩+১৭+১৯=৬২। ( যেহেতু অ, প্রথম বর্ণ এবং অনুরূপভাবে ক, খ এর অবস্থান ১২ ও ১৩তম)
আলোচ্য গল্পের নির্ধারিত বর্ণগুলি হচ্ছে যথাক্রমে ক, ব,ম,র, এবং স। সুতরাং, টুকরো গল্পের মোট শব্দসংখ্যা হবে ১২+৩৪+৩৬+৩৮+৪২=১৬২। ।
অন্তরক
আমার রুমমেট ফাহিমের কথাই ধরা যাক।
একই রুমে থাকলেও তার সঙ্গে কথা বলি কদাচিৎ; সিনিয়র-জুনিয়র দূরত্বের থেকেও আমাদের মানসিক বিষমতাই সম্ভবত মূল কারণ এক্ষেত্রে- আমার লাগামহীন বোহেমিয়ান জীবন যাপনের বিপরীতে সে স্ত্রৈণ পুরুষের মতই অসহনীয় পর্যায়ের কেতাদুরস্ত, সুতরাং ঘনিষ্ঠতার অবকাশ সামান্যই।
তবুও রাত বারোটায় সে কেন রংপুর মেডিকেলে কল করে, তার কম্পিউটারে কত গিগাবাইট প্রাপ্তবয়স্ক মুভিক্লিপ সংরক্ষিত, টিউশনির ছাত্রীর অক্ষিগোলকে স্বল্পবসনা সালমা হায়েক সমুদ্রস্নান করছে কিনা, এধরনের বিষয়গুলো জানতাম। অবশ্য অধিকাংশ তথ্যসূত্রই বায়বীয় মাধ্যম। পক্ষান্তরে আমি কী করলাম...!
একদম কাকডাকা ভোরে আমার মোবাইলে কলটা এসেছিল; ফোনের অপরপ্রান্তে একটি বিপণ্ন কন্ঠস্বর শুনেছিলাম- আমাকে সে অনুরোধ করেছিল, তার প্রিয়জনকে একটা দু:সংবাদ জানানোর, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে আমি নিদারুণ নিস্পৃহে ফোনের সুইচ বন্ধ করে ঘুমটাকেই আকড়ে ধরেছিলাম। অতএব, ফাহিমের বাবার ধুরন্ধর নি:শ্বাসটা সুযোগ পাওয়ামাত্রই মৃত্যুকে মিত্র করেছে, সেই কথাটা তাকে বলার ন্যুনতম সময়টুকু মেলেনি আমার!
ফাহিম কোথায়?
হয়ত ক্লাশ করছে, কিংবা ক্লেদাক্ত মনে খুলনার বাস ধরেছে এতক্ষণে।
কিন্তু, আমার কী তাতে? আমি বরং ঘুমাই আরও কিছুক্ষণ, আর স্বপ্নের ভ্রাম্যমাণ বাজারে অবিরাম দরদাম করি প্রাত্যহিক খুচরো অপরাধবোধের....!!
কৃতজ্ঞতা: ছন্নছাড়ার পেন্সিল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।