সত্তুর ছুঁই ছুঁই আমার বাবাকে ছোঁয়া হয় না অনেক দিন। সেই কবে একবার যখন তার খুব অসুখ হয়েছিল। তখন বলেছিল তুই বুকে একটু হাতটা চেপে ধরে রাখ। আমি স্কুল থেকে সবেমাত্র এসেছিলাম কিচ্ছু খাওয়া হয়নি তখনও, তবুও তার বুকে হাত দিয়ে রেখেছিলাম অনেকক্ষন। বিশ্বাস করুন আমার কোনো কষ্ট হয়নি সে জন্য।
পাশা-পড়শিরা জানালা দিয়ে দেখেছিল সেই দৃশ্য-আমার বাবা ব্যথায় কাতরাচ্ছেন, আমি বুকে হাত দিয়ে রেখেছি তার ব্যথা কমার আশায়।
আমাদের স্কুল আজকালকার শহরের স্কুলের মতো ছিল না। সেই সকাল ১০টায় ভাত খেয়ে বের হতাম দুই/আড়াই মাইল দুরের স্কুলের উদ্দেশ্যে আর বিকেল ৫টায় স্কুল ছুটি হলে এসে আবার ভাত খেতাম। মাঝখানে টিফিনে দুই টাকার বেলা বিস্কুট অথবা সেরকম কিছু।
সারাজীবন কষ্ট করে গেছেন, এখনও করে যাচ্ছেন।
এই বয়সেও তার পরিশ্রম দেখে অবাক হয়ে হয়ে যাই। নাতনির আব্দার রক্ষা করতে এখনও তাকে বাড়ির গাছের কাঠাল, পেয়ারা, আম নিয়ে অবলীলায় চলে আসেন।
মুখোমুখি বসে খাওয়া করি। তিনি যখন খান, আমি তখন চুপি চুপি তার দিকে তাকাই। তার শরীরের প্রতিটি শিরা-উপশিরা লক্ষ করি।
এ যেন পুরাকালের কোনো বটগাছের শিকড়।
আমার ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছা করে। কিন্তু এখন আর কেন যেন দেয়াল ডিঙ্গাতে পারি না। একদিন ঠিকই পারব আমি।
কিভাবে আগলে রাখেন আমাদেরকে এইসব বাবারা।
তা না হলে ছবি দেখে কান্না আসছে কেন।
কৃতজ্ঞতা: ফোকাস বাংলা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।