পরিবর্তনে বিশ্বাসী
আমার লেখা সবকিছুই আমার জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা। । একটু হাস্যকর বটে। আমিতো আর লেখক নই। তবুও লিখি মনের আবেগগুলো।
যাক একদিন আমার এক বন্ধু আমাকে বললো, চল এক জায়গায় যাবো। কোথায় যাবি? সে উত্তরে বললো, গেলেই দেখবি। আমিও চললাম। গিয়ে দেখি, একটা মেয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে। ইশারা দিয়ে বললাম, কেরে? পরে বলবো।
একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। আমাকে নাস্তা করিয়ে বিধায় দিয়ে দিল।
আমি জানতাম না তার এত মেয়ে বন্ধু। আর এক দিন আর একটার সাথে দেখা। বললাম এটা আবার কে? একই কথা পরে বলবো।
পরে জানতে পারলাম প্রায়ই একদিন একটা মেয়ের সাথে রাত কাটায়। ঢাকায় আসার পর তার সাথে আমার পরিচয় হয় ইউনির্ভাসিটিতে। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানতো তাই বড় লোকে ছেলে মেয়েই বেশি। প্রথম কয়েকটা দিন তার সাথে চলি। আমার পিছনে খুব খরচ করতো তাই মেলামেশাটা কমিয়ে দেই।
কিন্তু যখন জানতে পারলাম চরিত্র বলতে কিছুই নেই, আর কোন দিন তার সাথে কোথাও যাইনি। পরে সে বুঝতে পারে আমি তাকে এড়িয়ে চলছি। আমার সাথেও আর মিশেনি। গত পাঁচ বছরে এমন অনেক ঘটনা দেখেছি। আধুনিকতার নামে কি নোংরা সংস্কৃতি আমাদের সমাজটাকে শেষ করে দিচ্ছে।
সবাই এখন ফ্রি হতে চায়। মন যখন যা চায় তাই করতে হবে। না হয় স্বাধীনতার বড়খেলাপ হবে। আচ্ছা আমরা স্বাধীনতা বলতে কি বুঝি? ছেলে মেয়ে অবাধে চলাফেরা? ছি!! এখন ভাল বন্ধু পাওয়া খুব কঠিন। ভাল মানে চরিত্রবান।
সবার ভিতর আধুনিকতা। । । ।
এই অধুনিকতাকে আমি ঘৃনা করি।
আমি শিক্ষিত হবো সভ্য হওয়ার জন্য। অসভ্য হওয়ার জন্য নয়। এখন দেখি যত বেশি শিক্ষিত তত বেশি অসভ্য। সবাইকে বলছিনা। ভাল করে চিন্তা করলে বুঝা যাবে আমাদের বাংলা সংস্কৃতি কত ভাল।
এখন সব উল্টো হয়ে গেছে। আগে দেখতাম বাবা-মা ছেলে-মেয়ে পছন্দ করে বিয়ে দিত। আর এখন ছেলে-মেয়ে পছন্দ করে বাবা-মাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। ভাবতে অবাক লাগে। এর ফলে কি হচ্ছে? ডির্ভোস এর পরিমান বাড়ছে।
যাক আর বলতে ইচ্ছে করছে না। শুধু বলবো আমার বাংলা সংস্কৃতি আমার কাছে খাঁটি সোনা। আমার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। । ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।