আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আরবে ইহুদি নাচ

লড়াই করে জিততে চাই

ইসরাইলী-আমেরিকান সেনারা প্রস্তুতি নিচ্ছে আরববিশ্বের আমেরিকান সেনাঘাঁটিগুলোতে। জর্ডান, তুরস্ক, সৌদিআরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত! কোথায় নেই আমেরিকান সেনা ঘাঁটি! তাহলে কি ইহুদি-মুসলমানের যুদ্ধটা হবে এবার? অবশ্যই না! ইহুদি-মুসলমান-খৃষ্টান মিলে-মিশে সব একাকার। আমেরিকা-ইসরাইল-ফ্রান্স এখন জোট বেঁধেছে। সাথে পা চাটতে ব্যস্ত সৌদিআরব, তুরস্ক, আরব আমিরাত, জর্ডানসহ ইসলামের ধ্বজ্বাধারীরা। আসাদকে উতখাত না করতে পারলে মধ্যপ্রাচ্য তাদের পদানত হবে না।

এত চেষ্টার পরও সিরিয়ায় এসে থেমে গেছে আরব বসন্ত । ওবামা এবার সিরিয়ায় আরব বসন্তের ফুল ফোঁটাবেই ফোঁটাবে। আর একবার বসন্তের ফুল ফোঁটাতে পারলেই সিরিয়া মিশরের মতোই বুঝতে পারবে আরব বসন্ত কাহাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি! সংকট আসবে, সংকট যাবে! পুঁজিবাদের সংকট গভীর থেকে গভীরতর হবে! পুঁজিবাদকে অক্ষুন্ন রাখতে যুদ্ধের দামামা আবার বাজবে! বলতে বলতেই ওবামা ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে। যুদ্ধ তাদের করতেই হবে। শুধু তেলের জন্য নয়! তাদের সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদ টিকেয়ে রাখার স্বার্থেই যুদ্ধ।

বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে অস্ত্র তৈরী করে রেখেছে! অথচ কি আজব! অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগই নেই। তাই আবার যুদ্ধ! সবকুল রক্ষা হবে এতে! রাশিকৃত অস্ত্র যেমন ব্যবহার করা যাবে, তেমনি বিশ্ববাজারে অস্ত্রের চাহিদা, প্রযুক্তির চাহিদা বেড়ে যাবে! আর চাহিদা বাড়লে বিক্রিও বাড়বে! নতুন নতুন অস্ত্রের বাজার যেমন হাতে আসবে তেমনি দেশে নতুন অস্ত্রের জন্য গবেষণাগার ও কারখানা তৈরী করে বেকারত্বের সমস্যার কিছুটা সমাধানও করা যাবে। আর আজ হোক, কাল হোক তেলের টাকা দিয়ে যুদ্ধের খরচটা তো উসুল করা হবেই। লাখ লাখ আর্মি বসে বসে সম্পদ ধ্বংস করছে! বেকার বসে থাকার চেয়ে কাজ করে ভাত খাওয়া উত্তম। সিরিয়ায় গিয়ে কেরামতি দেখাও! তারপর হাঁটু গেড়ে বসে যাও সিরিয়ার ঘাড়ের উপর।

খাওয়া-পরা তো ওরাই চালাবে! আর ইন্স্যূরেন্স পলিসির মতো বছর দশেকের মধ্যে যুদ্ধের খরচও সব ঘরে চলে আসবে। তারপর শুধুই লাভ! আর ধ্বংসের পরে তো পুননির্মাণের প্রশ্ন! সেখানেও ব্যবসা জমবে। নির্মাণ সামগ্রি, প্রযুক্তি! এমনকি লোকবলেরও একটা অংশ এখান থেকে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। হ্যা! নিজেদের কিছু মানুষ শহীদ হবে! কিন্তু তাদের তো বীরের সম্মান দিয়ে অমর করে রাখা হবে। বড় কিছু পেতে গেলে ক্ষুদ্র কিছু তো হারাতেই হবে।

আমেরিকান কংগ্রেস যুদ্ধের অনুমতি তো দিবেই! অনুমতি না দিলেও প্রেসিডেন্টর বিশেষ ক্ষমতা বলে যুদ্ধ করে লাভের অংকটা তাদের হাতে নাতে দেখিয়ে দিলেই চলবে। আর আমেরিকান জনগণের বড় অংশই তো যুদ্ধের পক্ষে। বুশকে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত করে তারা সেটা প্রমাণ করেছে অনেক আগেই। ইসরাইল অনেক আগে থেকেই যুদ্ধ যুদ্ধ বলে লাফাচ্ছে! এই সুযোগে তারা ইরানকেও একটা চটকানা হয়তো দিতে পারবে! মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে, তেলের ব্যবসাকে অক্ষুন্ন রাখতে, গুদামে পড়ে থাকা অস্ত্রের জং রোধ করতে, সর্বপরি আমেরিকান আধিপত্যকে অটুট রাখতে সিরিয়া আক্রমণ তাই এখন অনিবার্য। আর ওবামার ঘোষণার সাথে সাথে আরববিশ্বে শুরু হয়ে গেছে ইহুদি নাচ! মুসলমানেরাও ঈমান পরীক্ষা করতে হাত ধরাধরি করে নাচছে ইহুদিদের সাথে।

বারাক হোসেন ওবামাকে এবার প্রমাণ করেই ছাড়বে, তিনি বুশের চেয়েও অনেকগুণ খাঁটি আমেরিকান যুদ্ধবাজ খৃষ্টান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.