ধাক্কা দিবেন না,পিছনে ইঞ্জিন
কাঠাল ফলটা আমার তেমন পছন্দ না, এইজন্য কাঠাল কখনো কেনাও হয় না আমার । কিন্তু কালকে চিপায় পইরা কাঠাল কিনতে বাধ্য হইছি । ওই কাহিনীটাই বলতে চাইতেছি...............
আমাদের অফিস ভিজিটে ৩ জন জাপানী ডেলিগেটস আসছেন ২দিন হলো । ওনাদের আসা উপলক্ষে আমরা যারপরনাই ব্যস্ত কিভাবে তাহাদের খুশি করা যায়,কিভাবে তেল মারা যায় । ওনারা উঠছেন হোটেল রেডিসন এ ।
ওখান থেকে আসার পথে রাস্তায় দেখছে কাঠাল,দেইখা পুরা টাশকি খায়া কয় এইডা কি,এইডা কেমনে খায়,আমাদেরকে এইটা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করো । অফিসে ঢুইকাই আমার বসেরে কয় আমরা ওনলি কাঠাল খামু অন্য কিছু না । পিওনরে কইলাম কাঠাল নিয়া আসো ভালো দেইখা একটা,পিওনে কয় এত বড় রিস্ক আমি নিতে পারুম না, কাঠাল খারাপ হইলে সবাই ঝারি মারবে আমারে আমার সাথে অন্য কাউরে দেন । কি আর করা কইলাম চল আমি ই যাই । জিগাতলা গেলাম কাঠাল আনতে,এক ভ্যানে দেখি কাঠাল বেচতাছে ।
ভ্যান ওয়ালারে কইলাম ভাইরে দ্যাশের মান ইজ্জত তোর উপরে,বিদেশী লোক কাঠাল খাইতে চাইছে এখন যদি কাঠাল খারাপ হয় দেশের মানইজ্জত যাইবো । তুই দাম যা চাবি তাই দিমু আমারে ভালো একটা কাঠাল দে । ওই বেটায় কয় বিপদে ফালাইয়া দিলেন ভাই ।
যাই হোক বাইছা ছোট একটা কাঠাল দিলো আমারে, দাম নিলো ৭০ টাকা । ওইটা অফিসে আইনা ভালো কইরা ধুইয়া মুইছা সামনে দিলাম ।
এখন কয় এইটা কেমনে খামু? কাঠাল ভাংলাম । ভাইংগা আমি মহাখুশি কাঠালটা এত সুন্দর হইছে........... এত সুন্দর কাঠাল অনেকদিন দেখি নাই আমি । এক একজনে ৮-১০টা কইরা রোয়া খাইলো । খাইয়া তো মহাখুশি । কয় আমারে যাওয়ার সময় ২টা কাঠাল কিনে দিবা আমি জাপান নিয়া যামু ।
আমি কইলাম আইচ্ছা ।
কাঠাল ওয়ালার উপরে আমার শ্রদ্ধা চলে আসছে কাঠালটা দেইখা । ওই লোক কাঠাল বিক্রী করে অথচ দেশের আমি লগে লগে পিওন রে দিয়া আরো ১০০ টাকা পাঠাইয়া দিছি বখশিশ হিসাবে । আরো কাঠাল লাগবো আজকে জাপান পাঠানোর লাইগা ওইটাও কইয়া দিছি । আজকের গুলা ভালো দিলেই হয় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।