জমে উঠেছে মধু মাসের মৌসুমী ফল শ্রীমঙ্গলে কাঁঠালের বাজার। প্রতি বছরের মত মধু মাসের ফল কাঁঠাল ক্রয় করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ক্রেতারা শ্রীমঙ্গলে আসছেন। শ্রীমঙ্গলের পুরান বাজার, নতুনবাজার এলাকার আড়ত ছাড়াও খোলা বাজারে বিপুল পরিমান কাঁঠাল কেনা বেচা হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে পাহাড়ী এলাকার কাঁঠালের বাগান থেকে জীপ, ঠেলা ও সাইকেলে করে কাঁঠাল নিয়ে আসে বিক্রেতারা। বাগান মালিকরাও নিজ উদ্যোগে কাঁঠাল প্রতি দিন বাজারে নিয়ে আসছেন।
এপ্রিলের ১ম সপ্তাহ থেকে কাঁঠাল বাজারে উঠতে শুরু করলেও এতদিন বাজার তেমন জমেনি। চলতি এক সপ্তাহ জমে উঠেছে কাঁঠালের বাজার। আনারস আর চায়ের রাজধানী হলেও শ্রীমঙ্গলের উৎপাদিত কাঁঠাল মৌলভীবাজার, শেরপুর, মোকামবাজার, সরকার বাজার, তাজপুর, বিয়ানিবাজার, সিলেট, চট্টগ্রাম, বগুড়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ট্রাক ভর্তি করে পাইকারী ক্রেতারা নিয়ে যাচ্ছেন। কাঁঠালের বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের বাগান গুলোতে কাঁঠালের উৎপাদন হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গত বছরের চেয়ে কিছু কম উৎপাদন হয়েছে।
ফলে কাঁঠালের বাজার বেশ চড়া। কাঁঠালের দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বাগান মালিকরা। তাদের মতে শ্রীমঙ্গলের প্রায় অর্ধ শতাধিক কাঁঠালের বাগানে পর্যাপ্ত ফল এসেছিল। এবছরে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কাঁঠালের মুচি গাছেই পঁচে পড়ে গেছে। এসময় কিছু বৃষ্টিপাত হলেও গত বছরেরও চেয়ে বেশী ফল পাওয়া যেতো।
তাছাড়া অন্যান্য বছর পার্শবর্তী দেশ ভারত থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমান কাঠাল শ্রীমঙ্গলের বাজারে আসতো। এবার ভারতেও আশানুরুপ কাঁঠাল উৎপাদন না হওয়ায় ভারতের কাঁঠাল আসার সম্ভাবনা নেই। ফলে শ্রীমঙ্গলের বাগানগুলো ও ব্যক্তিগত গাছের কাঁঠাল ছাড়া উৎপাদনের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় কাঁঠালের দাম ২৫/-টাকা থেকে ২’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি। এরপরেও শ্রীমঙ্গলের বাজারে ক্রেতাদের প্রচুর ভীড়। সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কাঁঠাল বাজারে সাধারণ মানুষের হাটা চলা মুস্কিল।
অতিরিক্ত ভীড়ের কারণে অনেকের পকেটের টাকা অন্যের পকেটেও চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। কাঁঠালের বাজার চলবে আরও ২ মাস। তবে পর্যাপ্ত ফল কেনা বেচার এখনই উপযুক্ত সময়। আগামী মাস থেকে শুরু হবে আনারসের জমজমাট বাজার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।