'যারা মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না, তারা এদেশের নাগরিক হতে পারে না এবং তাদের দ্বারা এদেশের সার্বভৌম্ত্ব নিরাপদ নয়। অথচ আমাদের ট্রাজেডি--বিভিন্ন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও দুর্বলতার কারণে এইসব মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি আজ সমাজের বিভিন্ন স্তরে জায়গা করে নিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে আঘাত হানতে শুরু করেছে। পরাজিত শক্তি মাথা তুলে দাঁড় হতে পারলে নতুন কৌশলে নতুন শক্তির স্পর্ধায় ছোবল মারে, সে অভিজ্ঞতা আজ বাঙালি অনুভব করছে সহজেই। এ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আমরা লক্ষ করছি-- মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির হাতে এসে উপস্থিত হয়েছে গণমাধ্যম, দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকীর মত অস্ত্র। এসব অস্ত্র যে আঘাত হানবে--তা স্বাভাবিক।
মুক্তিযদ্ধের সময় যেমন ইসলামের নামে, ইসলামের নিম্নতম নৈতিকতা ধারণ না করে পাশবিক উল্লাসে মানুষকে হত্যা করেছে--নৈতিকতাহীন যে শত্রুরা; সেই শত্রুরা পত্র-পত্রিকা হাতে পেয়ে কোনো সুস্থ স্বাভাবিক ও মানবিক ভূমিকা পালন করবে না, সেটাই বাস্তব। এই অস্বাবিকতার মধ্যে দিয়ে আজ সাংবাদিকতার একটি ধারা চোরাস্রোতে এসে হাবুডুবু খাচ্ছে। শুধুমাত্র পেশাগতভাবে কোনো সাংবাদিক এ বিষয়টি যদি মেনে নেন, তাহলে মহান মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদাকে খাটো করা হবে। যেসব সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতিও অশ্রদ্ধা করা হবে।
বিকৃত খবর পরিবেশন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করা এবং তা দিয়ে ঘোলাজলে মাছ শিকার করা যাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, তারা খুব আয়েসে ঢেকুর তুলতে পারে, কিন্তু সবাই তা পারে না, আর সবাই পারে না বলেই আজ যূথবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অনৈতিক ও সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি বিরোধী অসৎ শক্তির হাত থেকে সাংবাদিকতার প্রধান ও সুস্থধারাকে রক্ষা করতে হবে।
’
গোলাম কিবরিয়া পিনু লিখিত কলামের অংশবিশেষ । ১ আষাঢ় ১৪০১, আজকের কাগজ । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।