আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার জলাবদ্ধতা: প্রধান মন্ত্রীর চলাচল: যানজট



দুপুরে ঘন্টাদুয়েক বৃষ্টি হতেই ঢাকা শহর পানিতে সয়লাব। সোহানা মাহবুব আপনি বৃষ্টি দুখতে চান। আর বৃষ্টি দেখার দরকার নেই। যেখানে আছেন ভাল আছেন। ঢাকা শহরের যে অবস্থা তাতে ঢাকা শহরে এসে বৃষ্টি দেখার চিন্তা করা ঠিক হবে না।

আজ দুপুরে পল্টন এলাকায় ছিলাম। বৃষ্টি শেষে রাস্তাঢ বেড় হয়ে দেখি পানি আর পানি। মটর সাইকেল পানিতে পরে আছে। উঠে চালানোর অবস্থা নেই। একজনকে দিয়ে মটর সাইকেলটি বিল্ডিং এর ভিতরে এনে চালিয়ে বেড় হলাম।

মতিঝিলের দিকে এগিয়ে দেখি সব রাস্তায় পানি। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে দাড়িয়ে পানির একটি ছবি তুলতে গেলাম অমনি একটি বাস সজোরে এসে আমার গায়ে পানি ছিটিয়ে দিল। এরপর মতিঝিলের দিকে না গিয়ে মতিঝিল বালক স্কুলের সামনে দিয়ে রাজারবাগের দিকে এগুতেই দেখি রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সামনের রাস্তায় পানি। মালিবাগের দিকে যাওয়া কঠিন। রাজারবাগ মোড় থেকে বায়ে চলে এলাম।

আবার কাকরাইল হয়ে মিন্টু রোড হয়ে শেরাটনের সামনে দিয়ে ফার্মগেটের দিকে যেতে চাইলাম। কিন্তু শেরাটন সিগন্যাল থেকে বাংলামটরের দিকে যতদুর চোখ যায় গাড়ি আর গাড়ি। পরিবাগ থেকে বায়ে মোর নিয়ে মোতালেব প্লাজার পিছন থেকে বাংলামটর লিংক থেকে সোনারগাও রোড ধরে সার্ক ফোয়ারা আসতেই দেখি রাস্তা সব দিক বন্ধ। শুধু ফার্মগেট এর দিক খোলা। ঘড়ির কাটায় তখন বিকাল পাঁচটা।

তার মানে প্রধান মন্ত্রী তেজগাঁও কার্যালয় থেকে হেয়ার রোডের বাসায় আসবেন। রাস্তার দুধারে অসংখ্য পুলিশ। ট্রাফিক সার্জেন্ট আর টিআইদের ব্যস্ততা দেখে মনে হলো এই বুঝি চাকরিটা চলে গেলো। প্রধানমন্ত্রী আসছেন। রাস্তা ক্লিয়ার রাখতে হবে।

নইলে কাল সকালে চাকরী নাও থাকতে পারে। তাই প্রাণপণ চাকরী বাচানোর চেষ্টা চলছে। আমি একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম। সোনারগাও সার্ক ফোয়ারা মোড় থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত পুরো ফাঁকা পেয়ে গেলাম। ফার্মগেটের আগেই প্রধান মন্ত্রী আমাদের ক্রস করলেন।

ইন্দিরা রোডের উত্তর দিকটা হয়তো দশ মিনিট আগেই বন্ধ রাখা হয়েছে। আমি দক্ষিণ দিক থেকে ফাঁকা পেয়ে একটানে মানিক মিয়া এভিনিউ। উত্তর দিকের যানজট তখন ন্যাম ভবন পর্যন্ত চলে এসেছে। আমি আড়ং এর সামনে দিয়ে আসাদগেট হয়ে ইকবাল রোডে প্রবেশ করলাম। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় অফিসে ঢুকে সামুতে হাত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।