আমি বেশ চুপচাপ!! আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হচ্ছে নিয়মিত ট্রানজিট। আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর ব্যবহার করে নৌ-প্রটোকলের আওতায় এ ট্রানজিট শুরু হচ্ছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কাষ্টমস কমিশনারের কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আখাউড়া শুল্ক বিভাগে এসে পৌঁছেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে ট্রানজিট থেকে বাংলাদেশ আপাতত কিছুই পাচ্ছেনা। বরং বিভিন্ন কারনেই লোকসান আর ভর্তুকি দিতে হবে বাংলাদেশকে।
পুরোদমে ট্রানজিট চালু হওয়ার পর এখন আবার আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট হিসেবে ভারতের ত্রিপুরায় পণ্য পরিবহন শুরু হয়। এর আওতায় ইতিমধ্যেই ৭০০ টন পণ্য ভারতে গেছে। আরো ৩০০টন পণ্য ভারতে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। নিয়মিত ট্রানজিটের আওতায় বুধবার ৯টি ট্রাকে করে প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন পণ্য ভারতে যাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু কাগজ পত্র প্রস্তুত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। প্রথম চালানে মোট ৬২১টন এমএসইনগার্ড (কাঁচা লোহা) পণ্য সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে এমভি নীলকন্ঠ নামের একটি জাহাজে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই পণ্যগুলো আশুগঞ্জ নৌবন্দরে এসে পৌঁছায়। গত বৃহস্পতিবার সেখান থেকে ওইসব পণ্যগুলো আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছে।
এদিকে ট্রানজিট পরীক্ষামূলক নাকি নিয়মিত এ নিয়ে লোকুচুরি খেলছেন কাস্টমস সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিয়ে তারা মুখ খুলতে চাইছে না। ট্রনাজিটের পণ্য পরিবহনে সড়কের ক্ষতিরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব বিষয়েও এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ভারতীয় মালামাল বাংলাদেশের ট্রাকে যাওয়ার বিপরীতে সাধারণ পন্য পরিবহনের ভাড়া দিচ্ছে। এতে করে তেলে দেওয়া সরকারের ভুতুর্কিও পেয়ে যাচ্ছে ভারত!
মালামাল পরিবহনকারি প্রতিষ্ঠান ইন্দোবাংলা শিপিং লাইন্স লিমিটেডের ম্যানেজার মো. নজীব মঙ্গলবার থেকে নিয়মিত ট্রানজিট চালুর বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন।
তিনি পরীক্ষামূলক ট্রানজিটের বাইরে মোট ৬২১ টন মাল যাবে বলে জানান। একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলোর বিপরীতে প্রায় ২৭ লাখ টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। কাঁচা লোহা নিয়ে ট্রাক সরাসরি ভারতে চলে যাবে বলে স্থল শুল্ক কর্মকর্তা সোমবার সন্ধ্যায় আমাকে জানিয়েছেন।
তবে স্থল শুল্ক কর্মকর্তা সুবাস চন্দ্র কুন্ডু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, পরীক্ষামূলক ট্রানজিট বলে আমাদের কোনো কাগজে কখনো লেখা ছিল না। তাছাড়া আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারেই ভারতে যাওয়া পণ্যের কেনো শুল্ক আদায় করা হচ্ছে না।
তবে তিনি জানান, আগে আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে ভারতীয় ট্রাক এসে মালামাল নিয়ে গেলেও এখন ট্রাক সরাসরি চলে যাবে ভারতে। নিয়মিত ট্রানজিটের কোন চিঠি তিনি পাননি বলে জানান।
স্থলবন্দরের ষ্টেশন সুপারনিটেনডেন্ট মো. হামিদুর রহমান বলেন, শুল্ক বিভাগে নিয়মিত ট্রানজিটের একটি চিঠি এসেছে। বিষয়টি আমাদেরকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। আগে পরীক্ষামূলক চালানের পণ্য বন্দরে ঢুকলে প্রবেশ ফি, অবস্থান ফিসহ বিভিন্ন চার্জ নেওয়া হতো।
প্রথম চালন থেকে প্রায় ১৯ হাজার টাকা আদায় হয়েছে। তবে এখন ট্রাক সরাসরি গেলে এ চার্জও পাওয়া যাবে না।
আখাউড়া স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল বলেন, নিয়মিত ট্রানজিটের বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানিয়েছেন। এভাবে ট্রানজিটের মাধ্যমে মালামাল গেলে আমাদের ব্যবসায় ধ্বস নামবে।
// আখাউড়া, ১৮ অক্টোবর (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম) // এফ.আর //
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।