কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস
আমাকে সে
আমাদের বারান্দায় একটা ভাঙা আয়না আছে । ছোটভাইয়া একদিন রাগ করে শোকেসের আয়না ভেঙে ফেলার পর, ফেলে না দিয়ে কি কারণে যেন ঐটা বারান্দায় ফুলের টবগুলার পাশে রেখে দেয়া হয় । কদিন আগে ঘটলো এক অদ্ভুত ঘটনা । দুইটা চড়ুই পাখি দেখলাম একদিন সকালে এসে বসলো আয়নাটার সামনে । বসার পর থেকে আর ঐ দুইটা ঐখান থেকে নড়েনা ।
কেউ গেলে উড়ে গিয়ে গ্রিলের উপরে বসে । তারপর আবার ফুড়ুৎ করে এসে আয়নার সামনে বসে থাকে । টানা তিনদিন ওরা এভাবে ছিলো । খাবার দিয়েছিলাম । সেইদিকে তেমন মনোযোগ নাই ।
এখন ওরা আমাদের বারান্দায় বাসা বানিয়েছে । পাখি দুইটা মনে হয় তোমার মত নিজের প্রেমে পড়ে গেছে ।
তাকে আমি
তুমুল বৃষ্টিতে রিকশায় কৈরা নারায়ণগন্জ গেলাম যে ঐদিনের কথা খেয়াল আছে ? ঐযে, কয়েকঘন্টার জন্য রিকশা ঠিক করলাম । এমনিতেই মেঘলা দিন আছিলো । নারায়ণগন্জ রোড ধৈরা কিছুদূর যাওনের পরই শুরু হৈল মারাত্নক বৃষ্টি ।
আমারতো শীত সহ্যই হৈতো না । হুড নামাইয়া দিয়াও কোন লাভ হয়না দেইখা শেষে হুড উঠাইয়াই দিলাম । শিরশির কৈরা কাঁপতেছিলাম আমি । বেচারা রিকশাঅলার জন্যও খারাপ লাগতাছিলো । বৃষ্টি শেষে আসার পথে ফতুল্লাতে রিকশার চেন গেলো ছিড়্যা ।
ঐখানেরই একটা গ্যারেজে ঠিক করতে নিয়া গেলে কৈলো নতুন চেন লাগবো । পরে তোমার আর আমার দুইজনের পকেট , ব্যাগ হাতড়াইয়া যা টাকা আছিলো সব দিয়া খালি দশ টাকা নিয়া বাসে চৈড়া ফিরবো বৈলা ঠিক করলাম দুইজনে । বাসে উঠলেই তোমার মাথা ঘুরাইতো তারপরও রাজি হৈলা । এতগুলা মাইনষের মধ্যে পুরাটা পথ আমার কান্ধে মাথা দিয়া বেহুশের মত ঘুমাইলা । পাশের সিটের এক পুলার লগে আমার দুস্তালিও হৈয়া গেলো ।
গুলিস্তানে তার দোকানে যাওনের দাওয়াত কবুল করলেও , যাওয়া হৈলো না আর কখনো ।
দুইদিন ধৈরা এইখানে টিপটিপ ফাউল বৃষ্টি পড়তাছে । কালকে ক্লাস শেষে বৃষ্টির মধ্যেই ভিজতে ভিজতে স্টেশনের পথে হাঁটতেছিলাম । কিছুক্ষণ পরে একটা বার্মিজ মেয়ে একটা ছাতা আগাইয়া দিলো । ইংরেজি বুঝে না ।
আমি জাপানিজ বুঝি না । জিগাইতে চাইছিলাম ছাতা থাকলে ভিজতে ভিজতে হাঁটতেছিলো কেন । বুঝছে কি বুঝে নাই বুঝলাম না । তবে মনে হৈল ওরও তোমার মত বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে । তখন হঠাৎ সেই নারায়ণগন্জ ট্যুরের কথা মনে হৈলো ।
নিজের উপর একটু তৃপ্তি থাকতে হয় । নাইলে বড় পৃথিবীতে বাঁইচা থাকা যায় না । এইটারে আত্নপ্রেম বলার কোন কারণ নাই ।
আমাকে সে
স্মৃতির রোমন্থনে ভালো লাগে যখন সামনে আলো থাকে ততক্ষণ । আলো নিভে যাওয়ার পর স্মৃতি সেটা যত সুখেরই হোক কেবল দুঃখ খুঁড়ে তোলার মত ।
আনন্দ হবার বদলে আরো হাহাকার করে উঠে মন । তুমি একদিন বলেছিলে যে বৃদ্ধ বয়সে জাবর কাটার জন্য স্মৃতি জমা করে যাওয়াই মূলত্ জীবন উপভোগ করে যাওয়া । কিন্তু অল্প যেকদিন তুমি দয়া করে আমাকে কিছু ভালো সময় দিয়ছো তার মধ্যে খুঁজে খুঁজে অনেক ভালো মূহুর্ত পেলেও, সামনে অন্ধকারের কালিতে সেগুলো কাঁদায় আরো বেশি । এ কমাসের বিচ্ছেদে যত তোমার কথা মনে পড়ছে , এটা চিরবিচ্ছেদ না হলে হয়তো এই মনেপড়াগুলোকে অত নির্মম মনে হতো না । প্রথম তোমার চলে যাবার খবর শোনার পর নিজেকে বোঝাতাম তোমার বিতৃষ্ণা কাটানোর জন্য এটা যদি ভালো হয় তবে তাই হোক ।
কিন্তু এখন মনে হয় আসলে নিজে থেকে তোমাকে বাঁধা দিই নাই এইটা কেবলি স্বান্তনা । আসলে সেই পরিমাণ অধিকার বল, গ্রহনযোগ্যতা বলো আমি অর্জন করতে পারি নাই । প্রাণপনে কেবল চেষ্টা করে গেছি তোমার বিন্দুমাত্র অস্বস্তি হয় এমন কোন দাবী যেন তোমার কাছে না করি ।
মারাত্নক গরমেও বারান্দার যে কোনটা থেকে দাঁড়ালে , রাস্তা দিয়ে চলে যাবার সময় তোমাকে দেখা যেত সেই কোনায় আমি দাঁড়াই না ।
তাকে আমি
বিচ্ছেদের যন্ত্রণাগুলা সব সমানই হবার কথা ।
আমাদের অতি উচ্চাভিলাসী আশাগুলাই যন্ত্রণার মধ্যে আপেক্ষিক গুরুত্ব যোগ করে । কাঠফাটা রইদে হাঁটার মধ্যে এমন কোন চার্ম নাই । তাও আজকাল আমার সেইটার বিচ্ছেদে খারাপ লাগার কারণ বোধহয় কেবল হেঁটেই জীবন পার করে দেয়া যাইবো, এমন একটা রোমান্টিক ধারণা একটা বয়সে মনের মধ্যে আছিলো বৈলাই । শীত চৈলা আসছে এইখানে । গুমোট আবহাওয়া সপ্তার পর সপ্তা ।
রইদ যাও উঠে , দশদিনে একবার একঘন্টার জন্য ।
তোমার জন্য খারাপ লাগার জায়গা এখনো তৈরী হয় নাই । হয়তো প্রথম থাইকাই জানতাম এইটা চিরদিনের কোন প্ল্যান না । আমার ভিতরের শূণ্যতার গহ্বর আমি নিজেই আগলাইয়া রাখতাম । ঐখানে কাউরে ঢুকতে দেইনাই নিজের ইচ্ছাতেই ।
তোমার অযোগ্যতার জন্য না ।
আমাকে সে
খুব ছোটকালে একবার । আমি তখন সেভেনে পড়ি সম্ভবত । বড় আপার এক দেবর আমাকে বলেছিলো, ভালোবাসি । আমি তেমন গুরুত্ব দিয়া কখনো ভাবি নাই ।
আরেকটু বড় হওয়ার পরে ওনার ইশারাইঙিত বোঝা শুরু করলে ধীরে ধীরে ভালো লাগাও শুরু হয় । নিজের অনেকটা অজান্তেই অপেক্ষাও করতে থাকি দেখার দিনের জন্য । ওনার আসার সময়ের জন্য । কিন্তু কিছু বলার আগেই একদিন তিনি আমাকে ভালো করে বুঝিয়ে বলেন আসলে সেইসব ছোটকালের ছেলেমি চিন্তা । স্থায়ী কিছু না ।
আমিও বুঝ মেনে চলে আসি । সেইবার একরাত মাত্র খুব কেঁদেছিলাম । কয়েক মাসের মাথায় উনি যখন খুব সুন্দরী একটা মেয়েক বিয়ে করলেন তখন মনে হয়েছিলো আসলে আমার নিজের অযোগ্যতার জন্যই তিনি সরে গেছেন । যদিও তোমার অতিসামান্য মনভালোর দিনের একটাতে তুমি বুঝিয়েছিলে যোগ্যতার শরীরভিত্তিক ধারণাগুলো মূলত আমাদের সমাজের আদিম বর্বরতার দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতগুলোর মধ্যে একটা । তবু নিজেকে সেই বুঝ আমি সবসময় দিতে পারিনা ।
সেই ঘটনা অনেক আগের । তোমার সাথে দেখা হওয়ারও কয়েক বছর আগের । তারপর প্রতিজ্ঞা করেছিলাম এইভাবে নিজের ভিতরে হলেও কখনো কারো প্রতি দুর্বল হবো না । তুমি এমনিতেও কোন সপ্রভ, চটপটে ছেলে ছিলে না । প্রথম দেখায়তো নয়ই এমনকি কয়েক দেখাতেও নাম মনে না থাকার মত ।
তারপরও কিভাবে কিভাবে দেবে গেলাম সেটা ভেবে এখন একটু উদ্ভট লাগে । আর নিজের উপর বিতৃষ্ণা জাগে, কেন একই ভুল আবার করলাম । কেন উপর দিকে তাকিয়ে হাঁটতে গেলাম ।
তাকে আমি
দেশে থাকতে দেশের উপর বিরক্তি ছিলো । এখন অনেকদূরে বসে সেইসব বিরক্তিগুলারেই ফিরত পাইতে মন চাইতাছে ।
কি ফাউল যন্ত্রণায় পড়া গেলো বলতো দেখি । তোমার উপরে অন্যায় নিয়া অপরাধবোধ ছিলো । সেইটা কখনো আরেকটু গভীর পর্যন্ত খোঁচাবে ভাবতে পারি নাই । বাইরে থেকে দেখা সমাজ, দেশ আর ভিতর থেকে দেখার মধ্যে অনেক পার্থক্য । শেষ পর্যন্ত মনে হৈতাছে , মানুষ আসলে নিজের গুরুত্বের জায়গা খুঁইজা না পাইলে বাঁচতে পারেনা ।
মানুষের কাছে আসতে হয় আবার হয়ত সেই কারণেই ।
শারীরিক যোগ্যতার বর্বরতা নিয়া আমার ধারণা এখনো আগের মতই আছে ।
আমাকে সে
বড় ভাইয়ের বিয়ে হয়ে গেলো সাদামাটাভাবে । ভাবী গ্রামের মেয়ে । বেশ ছটফটে স্বভাবের ।
আমার খুব ভালো লেগেছে । নিজে বোকার মত সারাক্ষণ চুপচাপ থাকলেও ছটফটে মানুষ আমার ভালোই লাগে । গ্রামে গিয়ে ছিলাম কয়েকদিন । এত চমৎকার চাঁদ উঠে এইখানে বলে বোঝাতে পারবো না । গভীর রাতে বেশ কয়েকদিন বেরিয়েছি হাঁটতে ।
এত সুন্দরেও কেবলি মন খারাপ হয়ে যায় । ভাবী বেশ খোঁচাখুঁচি করেছিলো কয়েকদিন । কি হয়েছে বলে । কিছু বলি নাই ।
ঢাকায় আসার পর বড় ভাইয়ার তিনচারজন বন্ধুসহ চাইনিজ খেতে গিয়েছিলাম ।
বিয়েতে তাড়াহুড়ার জন্য যাদের দাওয়াত দেয়া সম্ভব হয় নাই তাদের নিয়ে । ছোটকাল থেকে হিন্দি সিনেমা দেখে আমি যে গেছি সেটাতো তুমি প্রায়ই বলতে । সিনেমার নায়ক-নায়িকার মত তোমার সাথে চাইনিজে যাওয়ার শখ ছিলো । সাহস করি নাই কখনো তোমাকে বলার । আরতো কোনদিন সম্ভবও না ।
ভয় পেয়ো না । তোমাকে কোনরকম চাওয়ার চাপে ফেলার কোন ইচ্ছা আমার নাই । শুধু খারাপ লাগে এই কথাটাই বল্লাম ।
তাকে আমি
আচোদা কথা চোদাইয়ো না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।