আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

۩۩۩ শিবির রিক্রুট সেন্টার ফোকাস, রেটিনা, কনক্রিট কোচিং ۩۩۩

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক এবার শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরে দাবি উঠেছে মওদুদীবদী ধর্মব্যবসায়ী জামাতের দোসর ছাত্রশিবির নিয়ন্ত্রিত সব কোচিং সেন্টার বন্ধের। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্যে পরিচালিত এসব কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়ায় বলে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব কোচিং থেকে উপার্জিত অর্থের বড় অংশ চলে যায় ছাত্রশিবিরের ফান্ডে। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্যে ফোকাস কোচিং সেন্টার, মেডিকেল কোচিং সেন্টারে ভর্তির জন্যে রেটিনা কোচিং ও প্রকোশলী ভর্তির জন্যে কনক্রিট কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছে ছাত্রশিবির। এসব কোচিংয়ে বিভিন্ন সময়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব সেন্টারে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি দলীয় আদর্শের বই সরবরাহ করা হয়।

এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনেণের জন্য বলা হয়। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিবিরের কর্মী বানাতে কোচিংয়ে পার্টটাইম ক্লাস নেয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন কাজে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। সংগঠন টিকিয়ে রাখা এবং কর্মী সমর্থক বাড়ানোর লক্ষ্যে ছাত্রশিবির এ কোচিং ব্যবসা চালিয়ে আসছে বছরের পর বছর। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে কর্মীদের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেলে ভর্তির লক্ষ্যে ১৯৮০ সালে শিবিরের তৎকালীন সভাপতি সোহরাব হোসেন রেটিনা কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফোকাস কোচিং সেন্টার।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে ২০০০ সালে গড়ে তোলা হয় ইনডেক্স কোচিং সেন্টার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে ১৯৮২ সালে গড়ে তোলা হয় কনক্রিট কোচিং সেন্টার। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে কনটেস্ট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে রেডিয়েন্ট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে সোনালিকা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে সাকসেস, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে রেডিয়াম কোচিং সেন্টার। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন নামিদামি কলেজকে ঘিরে গড়ে তোলা হয় কনসেপ্ট কোচিং সেন্টার। সূত্র জানায়, ছাত্রশিবিরের আয়ের অন্যতম উৎস হলো এসব কোচিং সেন্টার।

প্রতিবছর এসব কোচিং সেন্টারে প্রায় এক লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করে আয় হয় প্রায় ৮০ কোটি টাকা। এসব কোচিং সেন্টারের শিক্ষক হিসেবে থাকে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি কোচিং সেন্টারের প্রধান কার্যালয়সহ শাখাগুলোর পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। গতকাল সোমবার শরীফ সকালে রাজধানীর ফার্মগেট ও মৌচাকে এসব কোচিং সেন্টারের অফিসে গেলে সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মালেক ফাউন্ডেশন পরিচালনা করছে ফোকাস কোচিং সেন্টার।

১৯৬৯ সালের ১৫ আগস্ট ঢাবি’র রসায়ন বিভাগের ছাত্র আব্দুল মালেক প্রতিপক্ষ ছত্র-সংগঠনের হামলায় নিহত হয়। সে তৎকালীন ছাত্রসংঘ (বর্তমান ছাত্রশিবির) ঢাবি’র সভাপতি ছিলো। ফোকাসের প্রধান কার্যালয় ৩১/এ, সেন্টার পয়েন্ট কনকর্ড (৩য় তলা), ফার্মগেট। বেশ কয়েককদিন ধরেই কোচিং সেন্টারটি বন্ধ রয়েছে বলে জানান আশপাশের ব্যবসায়ীরা। তবে এইচএসসি পরীক্ষার সময় আবারো কোচিংটি শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করবে বলে ধারণা করেন তারা।

ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রধান কার্যালয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত গোলাম কায়সার বলে যে, “ফোকাস কোনো সাংগঠনিক কোচিং সেন্টার নয়। এখানে ছাত্রশিবিরের কোনো দাওয়াতি কার্যক্রম চলার প্রশ্নই উঠে না। ” শাহবাগে চলমান আন্দোলন এখন পর্যন্ত ফোকাসে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি বলে জানায় সে। ৩১/এ সেন্টার পয়েন্ট, কনকর্ড টাওয়ারে (৪র্থ তলা) গিয়ে দেখা যায়, রেটিনা কোচিং সেন্টারটিও বন্ধ রয়েছে। কোচিংয়ের একাধিক ফোন নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.