কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
একজন ক্রিকেট ভক্ত হিসাবে অনেক দিন ধরে খেলা দেখছি। স্যাটেলাইটেরে কল্যানে প্রায় নব্বইয়ের পর সব বিশ্বকাপ দেখেছি। কিন্তু আগামী আই,সি,সি বিশ্বকাপ আয়োজক হিসাবে আমাদের দেশে অনুষ্ঠিত হবে।
টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সমালোচনা করতে চাই নি। আমি প্রসংশা করতে চাই আইরিস ক্রিকেট দলের।
তারা বিশ্বকাপের আমেজে নিজেদের মেলে ধরতে পেরেছে।
ছোট হোক বড় হোক এইটি একটি বিশ্বকাপ। তার সম্মান মর্যাদা কোন অংশে অন্য বিশ্বকাপ হইতে কম নয়।
আমাদের বিশ্বকাপের অংশগ্রহনের পর ও সেই কমিটমেন্টের অভাব পরিলক্ষিত হলো।
প্রতিটি খেলোয়ার আন্তর্জাতিক মানের হওয়া সত্বেও তাদের কাছে আমরা প্রত্যাশিত খেলা পাইনি।
কাকে দায়ি করবো। জাতি হিসাবে আমরা খাটো। গায়ে গতরে ওদের চেয়ে অনেক কম। ভিটামিনের অভাব। বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত পেতে বিলম্ব।
নাকি কৌশলের কাছে বিপদ গ্রস্থ অবস্থায় নিজেদের ঠাই না পাওয়া।
এটাই ক্রিকেট, ক্রিকেটে সব কিছু সম্ভব। তাই বলে কি সুপার এইটে উঠতে পারবো না ।
আমি কখনো ক্রিকেট দেখে হতাশ হই না। যে কেউ ভালো খেললে তাকে বাহবা দেই।
আমি ক্রিকেটের সমর্থক । কোন দেশের নই। শুধু নিজের দেশ হিসাবে দূর্বল মাত্র।
বাংলাদেশ ভারতের সাথে ভালো খেলেছে। আয়ারল্যান্ডের সাথে মোটামুটি।
ভারতের সাথে ক্রিকেটাররা খেলার সময় কি একটুও মনে হয়নি আমাদের জাতিয়তাবাদের কথা। ওরা একর পর এক নদীতে বাধদিয়ে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার টুকু কেড়ে নিতে চায়।
তারা কি নিজেকে দেশের সৈনিক মনে করে না। অথবা এম্বেসেডর।
ক্রিকেট খেলা হিসাবে জয় পরাজয় থাকতে পারে।
তার সাথে এম্বেসেডর হিসাবে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরা জরুরী।
আমার মনে হলো আয়ারল্যান্ডের প্রতিটি খেলোয়ারের বয়স অনেক বেশী
অথবা অন্য কোন দেশ থেকে নাগরিকত্ব দিয়ে আমিরাতের মতো খেলিয়েছে। আমাদের দেশে এরকম কিছু মোটা তাজা উচা লাম্বা খেলোয়ারদের নাগরিকত্ব দিয়ে জাতিয় টিমে প্রবেশ করানো উচিত। খেলা দেখে সব সময় মনে হয়েছে আমাদের খেলোয়াররা এক কদম পিছে অথবা একফুট নিচে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।