আলোচিত এই মামলায় রোববার ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন অনন্ত দাস। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দিয়েছিলেন নিহতের ভাই উত্তম কুমার দাস।
ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছেলের মৃত দেহের সৎকার ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনন্ত।
“আমার ছেলেকে বিনা দোষে হত্যা করা হয়েছে,” বলে আদালতের কাছে আসামিদের ফাঁসির দাবি জানান তিনি।
বিশ্বজিতের বাবার সাক্ষ্য নেয়ার সময় আসামির কাঠগড়ায় ছিলেন কারাবন্দি আটজন, যারা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধের সময় বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় পুরান ঢাকার দরজি দোকানি যুবক বিশ্বজিৎকে।
এই হত্যামামলায় ২১ জনের বিচার চলছে, যার মধ্যে আটজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আটজনের মধ্যে শাকিল, নাহিদ, এমদাদ ও শাওন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সাক্ষ্যে অনন্ত দাস মামলার আসামিদের ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনামধারী দুর্বৃত্ত’ বলে আখ্যায়িত করেন।
অনন্ত দাসকে নিয়ে এই পর্যন্ত মামলার ৬০ জনের মধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হল।
পরবর্তী সাক্ষ্য নেয়ার জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন বিচারক এবিএম নিজামুল হক।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের দিন অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদ। পরে ২১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হকের আদালতে গত ২ জুন এ মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।
আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, এইচ এম কিবরিয়া, কাইউম মিয়া টিপু, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার, খন্দকার মো. ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন ইমরান, আজিজুর রহমান আজিজ, মীর মো. নূরে আলম লিমন, আল-আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশারফ হোসেন।
আলোচিত এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে পরে সরকারের সিদ্ধান্তে তা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।