মহলদার
জন্মদিনে কবিকে সশ্রদ্ধ প্রণতি। কবিগুরুর নিজের কন্ঠের আবৃত্তি হয়ত আমাদের অনেকেরই শোনা নাই। এছাড়া এই কবিতাটির আবৃত্তি ও অনেকের শোনা না থাকতে পারে। আমার কাছে ছিল তাই শেয়ার করলাম সবার সাথে। কবিতাটি আবৃত্তি শুনে লেখা।
বানান বা অন্য ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থী। অডিওতে প্রথম একটি শব্দ কাটা পড়ে গেছে।
কবিতাটির অডিও লিঙ্ক
আজি হতে শত বর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি
আমার কবিতাখানি কৌতূহলভরে
আজি হতে শত বর্ষ পরে।
আজি নব বসন্তের প্রভাতে
আনন্দের লেশমাত্র ভার
আজিকার কোনফুল
বিহঙ্গের কোন গান
আজিকার কোন রক্তরাগ
অনুরাগে সিক্ত করি
পারিবনা পাঠাইতে তোমাদের তরে
আজি হতে শত বর্ষ পরে।
তবু তুমি একবার,
খুলিও দক্ষিণ দ্বার
বসে বাতায়নে
সুদূর দিগন্তে চাহি
কল্পনায় অবগাহি
ভেবে দেখ মনে
একদিন শতবর্ষ আগে
চঞ্চল পুলক রাশি
কোন স্বর্গ হতে ভাসি
নিখিলের মর্মে আসি লাগে
নবীন ফাল্গুন দিন
সকল বন্ধনহীন উন্মত্ত অধীর
উড়ায়ে চঞ্চল পাখা
পুষ্পরেনু ঘন্ধ মাখা দক্ষিণ সমীর
সহসা আসিয়া তারা
রাঙায়ে দিয়েছে ধরা
যৌবনের রাগে
তোমাদের শতবর্ষ আগে
সেদিন উতলা প্রাণে
হৃদয় মগন গানে
কবি এক জাগে
কত কথা পুষ্প প্রায়
বিকশি তুলিতে চায়
শত অনুরাগে
একদিন শতবর্ষ আগে
আজি হতে শত বর্ষ পরে
এখন করিছে গান সে কোন নুতন কবি
তোমাদের ধারে
আজিকার বসন্তের আনন্দ অভিবাদন
পাঠাইয়ে দিলেম তারি তরে
আমার বসন্ত গান তোমার বসন্ত দিনে
ধ্বণিত হউক ক্ষণতরে
হৃদয় স্পন্দনে তব
ভ্রমর গুঞ্জনে নব পল্লব মর্মরে
আজি হতে শত বর্ষ পরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।