সত্যের সন্ধানে নির্ভীক বলে রাখা ভাল আমি রাজনীতি থেকে কয়েক হাজার কিমি দুরের মানুষ। তাই আমাকে আ,লীগ বা ছাগু বানাবেন না। কারন আমি রাজনীতির এই সচারাচর ধারনাকে প্রাধান্য দেই না। তাই ছাগু ছালীগ বা ছাদল এর মতের সাথে বিস্তর ফারাক।
জামাত-শিবির হরতাল ডেকেছে যা নিয়ে অনলাইন বা অফলাইনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তাদের এই ঝড়ে কখন যে জড়িয়ে গেলাম বুঝতে পারিনি। নিজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই কিছু লেখার চেষ্টা করলাম।
হরতাল একটি রাজনৈতিক অধিকার। কোন রাজনৈতিক দল বা মতাদর্শের মানুষ একত্রিত হয়ে সরকারের অবৈধ কাজের বিরোধীতা করা ও জনমত ঘঠন করাই হরতালের মুখ্য উদ্দেশ্য। কাজেই সরকারের কোন কাজের বিরোধীতা করে স্বার্থ হাসিল করাই হল হরতাল।
একে অনেকে বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭ অনুযায়ী একে সাংবিধানিক অধিকার বলেও দাবি করে। কিন্তু তারা বুঝতে চায় না বা পারে না যে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭ অনুযায়ী জনশৃংখলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইন দারা বিধি-নিষেধ আরোপ করা যায়। তাছাড়া জনসভাটি সম্পুর্ন নিরস্ত্র অবস্থায় এবং সান্তিপুর্নভাবে পালন করতে হ্য়।
কিন্তু প্রশ্ন হল সব দল তা মেনে চলে না বা চলতে চায়না। বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ হরতাল ডেকেছে, সেখানে জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে,
১৯৯১ পরবর্তী সরকার ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের হরতালের বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত বিএনপি সরকারে থাকাকালে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল পালন করে।
(সূত্রঃআওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিভাগ থেকে ২০০৫ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত)
১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বিরোধী দল বিএনপি জাতীয় পর্যায়ে ৫৯ দিন হরতাল পালন করেছে। সেখানেও জালাও-পোড়াও হয়ছে (সূত্র : আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিভাগ থেকে ২০০৫ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত)
সুতরাং কম-বেশি হরতাল সব রাজনৈতিক দলই করে থাকে। জালাও-পোরাও করে থাকে। কিন্তু তাদের এই জালাও-পোড়াও হত্যা কোন ধরনের অধিকার তা বোধহয় সেই দলের নেত্রী বা নেতাও জানেন না। !!!
অন্যান্য দল যে কারনেই হরতাল ডাকুক, কোন রাজাকারকে বাচানোর জন্য হরতাল ডাকেনি।
কিন্তু ছাগু বাছাধনেরা সেই মহত কার্য সম্পাদন করেছে। তাদেরকে স্বাধুবাধ জানাই। কারন তাদের পিতাধনেরা বিচারে ফাসি হবে অথবা বৃদ্ধ, তাই মারা যাবে অচিরেই । তখন রাজাকারের বংশধ্র রক্ষার্থে তাদের এই মহত কার্য। সাবাশ ছাগুগন!!!
া আরেকটি মজার বিষয় , এই ছাগুরা কয়দিন আগেই হরতাল করেছিল ট্রাইবুনাল বন্ধের দাবিতে, সেই ছাগুরাই এখন শাহবাগের আন্দোলনের বিরোধীতা করে বলছে, এই অকর্মাগুলার খাইয়া কাম নাই।
দেশের বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান না করে আন্দোলন করছে। !!! বড়ই সম্মান দেখাস তোরা বিচার ব্যবস্থাকে তাহলে হরতাল দিয়েছিলিস কেন?? তোর বাপজানকে বাচাতে?? যেই তোর বাপজানের ফাসি হয় নাই তারপরই ভোল পাল্টাইছস। তোদের চরিত্র রকম পানির মত কেন রে?? যখন যেখানে সেখানেই তাদের রুপ ধরিস কেন??
তোরা নাকি ইসলামী দল। তাহলে নারীর আচলের নিছে লোকাইছিস কেন?? ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম। তাহলে ৯৬তে হাসিনা আর ২০০১থেকে খালেদা জিয়ার আচল তলে থাকিস কেন?? নারী কি তোদের কাছে মিঠআ লাগে, তাহলে খুলে বল, ধর্মের লেবাশ পরিস কেন??
চট্রগ্রামে হরতাল দিয়েছিস, মানুষ লাথি মেরে প্রত্যাক্ষান করেছে।
অপেক্ষা কর দিন আসছে যখন জায়গামত লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে পিশে মারবে। কোন মানষের কাছে দাম পাবি না।
তাই বলছি, ইসলাম নামের শান্তির ধর্মের নামের সাথে তোদের জড়াবি না। কারন তোরা নিজেরাই ইসলামী আইন মেনে চলিস না। যদি এই অপচেষ্টা করিস তবে মানুষ তোদের মাফ করবে না।
কোন মুসলিম তোদের মাফ করবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।