ট্রেন ষ্টেশনের সামনে:
ট্রেন স্টেশন থেকে বেরিয়েই মাথায় হাত, সামনে দেখি নদী, রাস্তা ঘাট কিছুই দেখি না। ভুল বললাম, রাস্তা না দেখা গেলেও ঘাট দেখা যাচ্ছে। ষ্টেশন এর ভেতরের টুরিষ্ট অফিস থেকে হোটেল বুকিং দিয়েছি, সাথে ম্যাপ আর শহরে চলাচলের নির্দেশিকা ফ্রি। বুড়ি মহিলা বলে দিয়েছে স্টেশন থেকে বের হয়ে বড় রাস্তা ধরে বাম দিকে কিছুদুর গেলে হোটেল দেখতে পাবো, নদীনালা পার হওয়ার কথা বলে নি কিছুই।
বাস স্টপেজ:
ওয়াটার বাস:
ট্যাক্সি ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড:
রাজপথ:
আবার ঢুকলাম ভেতরে, রাস্তা খুঁজে পাইনি জানাতে ফোকলা দাঁতে হাসি দিয়ে বলল স্টেশনের বাম দিক দিয়ে হেটে যেতে।
হাটা শুরু করে বুঝলাম এই চিপা রাস্তাই এখানে বড় রাস্তা। হোটেল দেখে তো মনে মনে গালি দিলাম বুড়ি কে, বলেছিলাম মাঝারি মানের হোটেল চাই যেখানে এটাচ বাথ ও ডাবল সাইজ বেড ওয়ালা রুম আছে, বেশ অনেকগুলো ইউরো গুনে এসেছি নগদ অথচ এখন দেখি পালেস্তারা খসা পুরান ঝরঝরে এক বাসার উপর হোটেলের নাম শোভা পাচ্ছে (চিৎ-কাত বোর্ডিং এর মত চেহারা)। কি আর করা মনে মনে নিজের কপাল কে গালি দিতে দিতে রুমে ব্যাগ রেখে বাইরে বের হলাম ঘুরতে, একটু পরে অবশ্য বুঝতে পারলাম এখানে সব ঘরবাড়িই সেই পুরানো আমলের, কোন কিছুই বদলান হয় নাই। পাঁচ তারা হোটেল থেকে শুরু করে ডিজনির শোরুম সবই ভাঙা দালানে।
রিয়ালটো সেতু
গ্রান্ড ক্যানাল:
সেন্ট মার্কোর পিয়াজা:
সেন্ট মার্কোর পিয়াজা:
ওয়াটার ফ্রন্ট:
স্হল পথের রাস্তা বলতে সরু সরু চিপা গলি, কিছু সাইকেল দেখলাম, বাকি সবাই হেটে হেটে উপভোগ করছে।
আর জলপথে পুরা শহরটাকে সাপের মত পেঁচিয়ে আছে অসংখ্য নদীনালা। একসময় এখানে জলপথেই যাতায়াত করতো ভেনিশিয়ান রা, প্রতিটা বাড়ির একটা করে গেট আছে এই নালার সাথে। এখানকার গনডোলা নামের বিশেষ নৌকা ছিল জনসাধারনের সহজলভ্য বাহন আর বর্তমানের পর্যটকদের মুল আকর্ষন, যদিও ভাড়া অনেক হওয়ায় আমি ছিলাম ছবি তুলেই সন্তুষ্ট।
গনডোলা:
জলপথ:
জলপথ:
এখানকার বেশিরভাগ বাড়ি তৈরী করা হয়েছিল বহুযুগ আগে পানির নিচে মাটিতে কাঠের লগ পুতে তার উপরে (পাইলিং এর মত করে), এই কাঠ লবন পানিতে থাকতে থাকতে সাথে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ জমে নাকি পাথরের মত শক্ত হয়ে গেছে। যদিও সময়ের সাথে সাথে নিচের মাটি সরে যাওয়ায় অনেক দালান হুমকির মুখে।
এইসব দালান কে বর্তমান প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত, কিন্তু সবই বাইরের চেহারা অক্ষত রেখে। দু:খ লাগে যখন দেখি ঢাকার শত বছরের পুরানো দালান ভেঙে ফেলা হচ্ছে ইচ্ছা করে। এই শহর কে রক্ষা করার জন্য ওদের সরকার অনেক রকম কাজ করছে জানতে পারলাম। মাঝে মাঝে জোয়ার এর সময় নাকি পথ ঘাটে পানি উঠে যায় হঠাৎ করে খুব দ্রুত, তাই ওখানে সাইরেন দিয়ে বিপদ সংকেত দেয়া হ্য় যেন সবাই নিরাপদে উচু স্হানে সরে যেতে পারে। পর্যটকদের জন্য অনেক জায়গায় ঐ সংকেত এর নির্দেশবলী লেখা আছে।
ঢাকাইয়া চিপা গলি:
রাতের সেন্ট মার্কো পিয়াজা
রিয়ালটো ব্রিজ:
জলপথ:
প্রথম দিন আর রাত হেঁটে হেঁটেয় দেখা শেষ শহর, পরের দিন কোন কাজ না থাকায় আবার একই যায়গা ঘুরতে বেরোলাম, কিন্তু এইবার জলপথে। ২৪ ঘন্টার জলপথের পাশ কিনে নিয়েছি, বোটে করে যতদুর যাওয়া যায় গেলাম, আবার ফিরতি বোটে চলে এলাম। মাঝখানে ঘন্টাখানেক ঘুমিয়েও নিলাম দুপুরে (হোটেল যেহেতু সকালেই ছেড়ে দিয়েছি)। রাতের ট্রেনে যাব রোম শহরে......
ইউরোস্টার রেল:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।