আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাত অফিস থনে ফিইররা আমার রিপোর্ট ( একটি রম্য রচনা)

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই এই এট্টু আগে আমি জামাত অফিস থনে ফেরত আইলাম, মুখে চাদর পেচাইয়া আচিলাম হেই লইজ্ঞা আমারে বুড়া জামাতিরা চিনবার পারে নাই। এক বুড়া ছাগলের মত নেতা অফিসে বইসা কতকুন পরপর দরজা দিয়া বাইরে চাইতে আছে, কতকুন পরপর কয়ডা কইরা চ্যাংড়া শিবির ডুকতাআছে আর পানি খাইবার আছে। বুড়াডায় খাতা কলম লইয়া হিসাব রাকতে আছে কয়ডা ছোড রাজাকার অফিসে আইছে।

চাইরো মুড়া থনে গাবুর বাড়ী খাইয়া শিবির গুলা দম লইতে আছে এর মইধ্যে কয়ডা আবার ভ্যা ভ্যা কইরা কাইন্দা হালাইছে পাবলিকের ধাওয়ানি খাইয়া। বুড়া ডায় উইড্ডা যাইয়া হেই গুলারে পানি পড়া দিতাছে আবার নিজের বুকে ও ফু মারতাছে। তোমরা কেডা? ও-অ-অ বরিশাল থাইক্যা আইছো বুঝি? কতজন ফেরত আইছো? অ্যাঃ ৭ জন। কেতাবের মাইদে তো দেখতাছি লেখা রইছে বরিশালে দেড় হাজার ছুড রাজাকার আছে ব্যস, ব্যস, আর কইতে হইব না—বুইজ্যা ফালাইছি। বরিশালের চ্যংড়া নাস্তিক রা বুঝি বাকিগুলার আটকাইয়া দিছে? এইডা কী? তোমরা মাত্র ৯ জন কীর লাইগ্যা? তোমরা কতজন আছলা? খাড়াও খাড়াও—এই যে পাইছি।

টাঙ্গাইল—১২৫০ জন। তা হইলে ১২৪১ জনের ইন্না লিল্লাহে ডট ডট ডট রাজিউন হইয়া গেছে, মানে জানের মায়ায় মালাউন গুলার লগে মিইশশা গ্যাছে? হউক, কোনো খেতি নাই। এই গুলা বেঈমান, এই গুলার খাওয়াইয়া পড়াইয়া এই লইজ্ঞা রাকছিলাম? চিটাগাং থেয়ে কয় জন? কি কইলা ওই মিয়া একজন ও চিটাগাং আহে নাই, কি ওই চ্যমড়া আমার চশমাডা দে খবরের কাগজ দেহি কি অরা আবার চ্যাংড়া গুলার লগে এক হইয়া আমাগো ফাসি চাইছে ( এই পর্যায়ে বুড়াডা লুঙ্গি ভিজাইয়া ফেলাইল) রংপুর-দিনাজপুর, বগুড়া-পাবনা মানে কি না বড় গাংয়ের উত্তর মুড়ার মছুয়া মহারাজগো কোনো খবর নাইক্যা। হেই সব এলাকায় এক শতে এক শর কারবার হইছে। আরে, এইগুলা কারা? যশুরা কই মাছের মতো চেহারা হইছে কীর লাইগ্যা? ও-অ-তোমরা বুঝি যশোর থাইক্যা ১৫৬ মাইল দৌড়াইয়া ভাগোয়াট হওনের গতিকে এই রকম লেড়-লেড়া হইয়া গেছো।

আহ্ হাঃ! তুমি একা খাড়াইয়া আছো কীর লাইগ্যা? কী কইল্যা? তুমি বুঝি মীরকাদিমের মাল? ও-অ-অ-অ বাকি হগ্গলগুলারে বুঝি বিচ্চুরা মেরামত করছে? গাংয়ের পাড়ে আলাদা না পাইয়া, আরামসে বুঝি চুবানি মারছে। কেইসডা কী? আমাগো বকশি বাজারের ছক্কু মিয়া কান্দে কীর লাইগ্যা? ছক্কু-উ, ও ছক্কু! কান্দিস না ছক্কু, কান্দিস না! কইছিলাম না, বঙ্গাল মুলুকের অসভ্য পোলাপান গুলা কোদো আর প্যাঁকের মাইদ্দে মছুয়াগো ‘মউত তেরা পুকর তা হ্যায়। ’ নাঃ—তখন কী চোট্পাট! হ্যান করেংগা, ত্যান করেংগা। আর অহন? অহন তো মওলবি সাবরা কপিকলের মাইদ্দে পড়ছে। সামনে বিচ্চু, পিছনে বিচ্চু, ডাইনে বিচ্চু, বাঁয়ে বিচ্চু।

অহন খালি মছুয়ারা চিল্লাইতাছে, ‘ইডা হামি কী করছুনুরে! হামি ক্যা নানির বাড়িত আচ্ছিনু রে! হামি ইয়া কী করনু রে!’ আত্কা আমাগো ছক্কু মিয়া কইল, ভাইসাব আমার বুকটা ফাইট্যা খালি কান্দন আইতাছে। ডাইনা মুড়া চাইয়া দেহেন। ওইগুলা কী খাড়াইয়া রইছে। কী লজ্জা! কী লজ্জা! মাথাডা অ্যাঙ্গেল কইরা তেরছি নজর মারতে দেহি কি, শও কয়েক মছুয়া অক্করে চাউয়ার বাপ—মানে কি না দিগম্বর সাধু হইয়া খাড়াইয়া রইছে। যশোরে সার্ট, মাগুরায় গেঞ্জি, গোয়ালন্দে ফুলপ্যান্ট আর আরিচায় আন্ডারওয়ার থুইয়া বাকি রাস্তা খালি চিল্লাইতে চিল্লাইতে আইছি, ‘হায়, ফাকিস্তান তুমনে কেয়া কিয়া?—হামলোগ তো আভি নাংগা মছুয়া বন গিয়া।

আত্কা ঠাস ঠাস কইরা আওয়াজ হইলো। ডরাইয়েন না, ডরাইয়েন না! ওইডা লাকী বেগমের গলার অওয়াজ। (চলবে) এম আর আখতার মুকুলের চরমপত্র অবলম্বনে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.