যখন ছোট ছিলাম, তখন এমননি শালাও বলতাম না কাউকে, ছোটদের যে শালার অভাব আছে সে বাস্তব পটভুমির কারণে না যতটা, ততটা ঐ সব শব্দ "খারাপ" ছেলেদের লিজ নেয়া সম্পদ বিবেচনায়, নিজেকে "ভাল" রাখার প্রয়োজনে ও প্রলোভনে এবং কে না কে শুনে শেষে না কোন বিপত্তি ঘটায়, শেষমেষ সে ভয়ে। এ হল শৈশবের কাহিনী।
কাহিনী পাল্টে যাচ্ছে, টের পাই কলেজে আনাগোনার পর থেকে। দু একটা শব্দ তো বেরিয়ে আসেই মুখ থেকে, দেখি খারাপ লাগছে না। মজাই লাগছে।
অতএব চলুক না।
এরপর দেখি রাগ উঠলেই দেখি স্ত্রীর নিকটাত্মীয় বাচক সম্বোধনটা তথাকথিত "খারাপ" ছেলেদের আর একচেটিয়া অধিকারে নেই। এটা গণসম্পত্তি। অতএব চলুক।
এখন দেখি, ঘটনা এতটা নিরীহ নয়।
কত কারণেই তো রাগি...। আপন জনের উপর, পর জনের উপর। আপন জনের উপর রাগলে সে প্রকাশ করা যায়। কিন্তু পর জনের উপর রাগলে....
অতএব গালিই ভরসা। মনে মনে।
কে যে আবিষ্কার করেছিল এই মহৎ জিনিস।
মনে মনে গাল দিলে রাগটা পুষে রাখতে হয় না, রাগ পুষে রাখা শরীরের জন্য ভাল নয়, অনেকক্ষণ রেগে থাকলে মাথার পেছনের রগদুটো দপ দপ করে। আমার তো মনে হয় "শালা"র প্রেশারটাই বেড়ে গেল নাকি। তার চেয়ে ভাল দুটা গালি দিয়ে হালকা হয়ে নিই, পরে না হয় সব ভুলে যাব?
মানুষ রাগবেই, আমিও রাগবই। কিন্তু রাগের মতো এই মহাদানবকে এই শরীরে জায়গা দিতে পারব না, তাই মনে মনে গালি দিয়েই বের করে দিই।
রাগও ঝেড়ে ফেললাম, প্রেশারের হাত থেকেও বাঁচলাম।
রাগ পুষে রাখবেন না, নিজের শরীরকে ভালবাসুন। রাগ কমানোর এই পদ্ধতি বোধ হয় ব্যবহার করা যায়, গোপনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।