পত্রিকাতে সোনারগায়ে বাংলার তাজমহল নিয়ে লেখা বের হবার পর থেকেই ইচ্ছা হচ্ছিল দেখে আসার জন্য। কিন্তু সময় ও সুযোগ কোনটাই ঠিক মতো মেলাতে না পারার কারণে যাওয়া হচ্ছিল না। গতকার স্বাধীনতা দিবসের বন্ধে সকাল এগারটার দিকে বউকে নিয়ে বের হয়ে যাই সোনারগাওয়ের উদ্দেশ্যে। তিনদিনে বন্ধ পাওয়ায় ঢাকার মানুষ সব শিকরের উদ্দেশ্যে নগরে ছারার হিরিক পরে যায়। ফলে যাত্রাবাড়ি থেকে কাচপুর ব্রীজ পর্যন্ত তৈরি হয় এক নজিরবিহীন এক ট্যাফিক জ্যাম।
এই জ্যাম ঠেলে দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘন্টায় গাড়িতে আমরা সোনারগায়ের লোকশিল্প জাদুঘরে পৌছি। বেচারা ড্রাইভারের গাড়ি ট্রাফিক জ্যামে গাড়ি চালাতে গিয়ে একদম হাত ব্যথা হয়ে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারি তাজমহলে আসলে অন্যদিকে। সোনারগায়ের মদনপুর থেকে উত্তর দিকে যেতে হয়, অথবা ঢাকা সিলেট রোডের ভরপা দিয়ে দক্ষিন দিকে ঢুকতে হয়। এরপর আমরা জাদুঘর ও পানাম নগরী দেখে তাজমহলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই।
এবং প্রায় আধা ঘন্টায় শেষ পর্যন্ত তাজমহলে পৌছি। তখন বাজে প্রায় বিকার পাঁচটা।
গত বছর সেপ্টেম্বরে আমরা আগ্রার শাহজাহানের গড়া পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি তাজমহল দেখে এসেছি। তাই বাংলাদেশের তাজমহল দেখার ইচ্ছাটা অনেক বেশি হচ্ছিল। কিন্তু একি আমি দেখলাম।
এটা তো বিরাট বড় একটা ধাপ্পাবাজি। এটাকে কোন ভাবেই তাজমহল নাম দেয়া ঠিক হয়নি। এর চেয়ে অনেক সুন্দর রেপ্লিকা আছে কনকর্ড হেরিটেইস পার্কে। তাজমহলকে এরকম ব্যবসা এবং মানুষ ঠকানো, চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করা যায়না। আমার বেড়ানোটাই মাটি হয়ে গেল।
রাগে দুঃখে কি যে করবো কিছুতেই বুঝতে পারছিলামনা।
বাংলার তাজমহল
আসল তাজমহল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।