আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেভিন কার্টারের ছবি এবং রুদ্রের কবিতার শকুন

প্রথমেই আমি তাকে যাদু করতাম
১. বাতাস লাশের গন্ধ / রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই আজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি, ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে... এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময় ? বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ। এই রক্তমাখা মটির ললাট ছুঁয়ে একদিন যারা বুক বেঁধেছিলো। জীর্ণ জীবনের পুঁজে তারা খুঁজে নেয় নিষিদ্ধ আধাঁর, আজ তারা আলোহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে রাত্রির গুহায়। এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আরষ্ট কুমারী জননী, স্বাধীনতা - একি হবে নষ্ট জন্ম ? একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল ? জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন। বাতাশে লাশের গন্ধ নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দুলে মাংসের তুফান।

মাটিতে রক্তের দাগ - চালের গুদামে তবু জমা হয় অনাহারী মানুষের হাড় এ চোখে ঘুম আসেনা। সারারাত আমার ঘুম আসেনা- তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার, নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পচা লাশ মুন্ডহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বিভৎস্য শরীর ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে। আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি ঘুমুতে পারিনা... রক্তের কাফনে মোড়া - কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা। স্বাধীনতা, সে আমার - স্বজন, হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন - স্বাধীনতা - আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল। ধর্ষিতা বোনের শাড়ী ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা।

২. কেভিন কার্টার নামে এক অখ্যাত ফটোগ্রাফার একটি মাত্র ছবির জন্য সারা পৃথিবীতে আলোচিত হন এবং পুলিত্‍জার পুরষ্কার পান । ছবির ইতিহাস হল এরকম In March 1993 Carter made a trip to southern Sudan. The sound of soft, high-pitched whimpering near the village of Ayod attracted Carter to a young emaciated Sudanese toddler. The girl had stopped to rest while struggling to a feeding center, whereupon a vulture had landed nearby. He said that he waited about 20 minutes, hoping that the vulture would spread its wings. It didn't. Carter snapped the haunting photograph and chased the vulture away. এই শকুনটির সঙ্গে রুদ্রের কবিতার শকুন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটির মিল অনেক। কিন্তু সুদানের শকুনটি অপেক্ষা করছিল কখন শিশুটি মারা যাবে, আর ৭১ এর ঘাতক শকুনগুলো ছিল অধিকতর হিংস্র । নিরীহ লোক হত্যা, হত্যায় সহায়তা, বুদ্ধিজীবিদের চোখ উপড়ে, কলেজে ছিড়ে, নারীর সম্ভ্রম লুন্ঠন করে, দেহবিকৃতি করে মরণোত্‍সবে মেতেছিল। জামাত‌/শিবির/সাকা, এই ট্রোজান শকুনেরা যে কোন পশুদের চেয়ে অনেক বেশী বর্বর।

৭১ গণহত্যার ছবি: ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.