আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেভিন কার্টার ও বর্তমান সাংবাদিকতা ........

কেভিন কার্টারের নামটা সবার পরিচিত না হলেও সেই দুর্ভিক্ষের ছবিটি নিশ্চয়ই মনে আছে। সুদানের আয়ুদ’র দুর্ভিক্ষতাড়িত­­­ এক কালো শিশু কন্যার ছবি। হামাগুড়ি দিয়ে আগাচ্ছে আর পেছনে শকুন অপেক্ষা করছে শিশুটির মৃত্যুর। পুলিৎজার জেতা এই ছবি কেভিন কার্টারের। কেভিন ছবিটি তুলে বিশ্ব পরিচিতি পেয়েছিলেন ঠিকই, তবে আত্মহত্যা করেছিলেন ৩ মাস পরই।

অনেক সংকটের ভেতর সবচেয়ে বড় সংকট ছিল মানবিক দায়বোধ এড়ানোর অনুশোচনা। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি শকুন ও শিশুর মধ্যে প্রত্যাশিত নৈকট্য পেতে প্রায় ২০ মিনিট সময় নিয়েছেন অর্থাৎ ইচ্ছে করলেই বাঁচাতে পারতেন মেয়েটিকে কিংবা ছবি তুলেই চলে এসেছেন, এরপর কী হয়েছিল? কেভিন কোন প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেন নি। একপর্যায়ে কেভিন অনুশোচনার কথা স্বীকার করেছেন কিন্তু নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারেনি। যে কারণে কেভিন কার্টারকে দিয়ে শুরু করেছিলাম সে প্রসঙ্গে আসি। বিশ্বজিৎ ঘটনার সময় কতজন সাংবাদিক ও ক্যামেরামান উপস্থিত ছিলেন? জানি, আপনাদের দায়িত্ব সত্যি ঘটনার পর্যবেক্ষণ এবং তা প্রচার করে মানুষকে জানানো।

এও জানি যে বিশ্বজিৎকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অফিসিয়াল ডিউটিতে পরে না কিন্তু মানবিক দায়িত্বে? সত্যি যে বিশ্বজিৎকে বাঁচানোর বিষয়ে পুলিশি কেস, রাজনৈতিক পরিচিতির ঝামেলা, এমনকি নিজেদের দুর্ঘটনার আশংকাকেও উপেক্ষা করা যায়না কিন্তু তারপর? কেউ কি পারতেন না আপনাদের অফিসের গাড়ি দিয়ে ছেলেটাকে অন্তত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে? যেটা পেরেছিল একজন রিকশাচালক। যদি বলি আমাদের সংবাদ প্রচারের পেছনে থাকে শুধুই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য। সেখানে কোন মানবিকতা নেই, তদন্ত নেই, ডেজ ইভেন্ট ছাড়া কোন ফলোআপ নেই, ক্ষমতাসীন নেতা-কর্মীদের মত সংবাদ কর্মীদের কাজের ধরণেই বিশ্বজিৎদের মৃত্যৃও তাই পরিণত হয় ঠাট্টায়, ভুল বললাম? কেভিন, আফসোস হচ্ছে আপনার জন্য। ভুল সময়ের মানুষ ছিলেন। এই সময়ে ছবিটি তুলে পাঠিয়ে দিলে পুলিৎজার পেয়ে যেতেন, হয়তো আপনার ছবি দেখে নোবেল কমিটি ভাবতো ফটোগ্রাফিতে নোবেল দেয়া উচিত কিন্তু কেউ মানবিক দায়িত্ব বোধ নিয়ে প্রশই তুলতো না আর আপনিও অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে আত্মহত্যা করতেন না।

এটি রিয়াসাত রুবেল পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। অন‍্য কারোর লেখা হলে আমি দায়ী নই। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.