শুধুই দেখি...
যখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যক্তির মৃত্যুর সময় নিকটবর্তী হবে, তখন তাকে এমনভাবে উত্তর শিয়রে শোয়াতে হবে যেনো কেবলা তার ডানদিকে হয়। তার
মাথা ডান দিকে কাত করে কেবলামুখী করানোর চেষ্টা করলে ভালো হয়।
এ সম্পর্কে যে সব নিয়ম জেনে নেয়া প্রয়োজন সেগুলো হচ্ছেঃ
১. মৃত্যুযন্ত্রণার সময় রোগীর পাশে বসে সূরা ইয়াসিন পড়লে মৃত্যুকষ্ট কম হয়।
২. এই সময় মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির কাছে বসে দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়
এমন কোনো কথা বলা উচিত নয়।
৩. মুমুর্ষু ব্যক্তিকে কলেমা শরীফ (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্)
পড়াবার জন্য জোর-জবরদস্তি করা উচিত নয়।
বরং নিজেরা শব্দ করে কলেমা
শরীফ পড়বে এবং অপেক্ষা করতে থাকবে যেনো মুমুর্ষু ব্যক্তি আপনা আপনি
কলেমা উচ্চারণ করে। একবার কলেমা উচ্চারণ করলেই যথেষ্ট মনে করবে। বার
বার উচ্চারণ করার জন্য পীড়াপীড়ি করবে না।
৪. আল্লাহ্ না করুক মৃত্যুর সময় যদি কারো মুখ দিয়ে কোনো কুফরী কথা
উচ্চারিত হয়, তবে এই কথা প্রচার না করে গোপন রাখা উচিত। মনে করবে
কঠিন রোগযন্ত্রণার কারণেই তার মুখ দিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে এরকম কথা বের
হয়েছে।
আর বেহুঁশ অবস্থার অপরাধ তো আল্লাহ্পাক ক্ষমা করে দিয়েই থাকেন।
৫. রূহ্ বের হবার পর পরই উপস্থিত সবাই নিচের দোয়া পড়বেঃ
‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি
ওয়াখলুফলি খইরম্ মিন্না।
অর্থঃ নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহ্র জন্য এবং আল্লাহ্র নিকটই আমাদের
প্রত্যাবর্তন। হে আল্লাহ! বিপদের সময়ের প্রতিদান এবং বিপদের বিনিময় স্বরূপ
আমাদেরকে কল্যাণ দান করো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।