আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্ররাজনীতি(!) আমাদের কি দিচ্ছে?

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০০৮ এর সংশোধন ও সংযোজন করে বর্তমান সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০০৯ পাশ করেছে তাতে নতুন ও ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে: "কোন ছাত্র, পেশাজীবি ও অন্যঅঙ্গ সংগঠন থাকতে পারবে না" রাখা হয়েছে। এটা একদিক দিয়ে একটা ইতিবাচক আইন বলে মনে হচ্ছে আপাত দৃষ্টিতে। যদিও এই আইন নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষন আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবে বর্তমান বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটে ছাত্ররাজনীতি কতটুকু প্রয়োজন সেটা চিন্তা করে দেখার প্রয়োজন এসেছে।

অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, অতীতের অনেক অনেক সংগ্রাম, প্রতিবাদ সর্বপ্রথমে করেছে এদেশের সচেতন ছাত্র সমাজ। সেখান থেকেই একটা প্রতিবাদী কন্ঠ এসেছে। যেটার নিকট অতীতে উজ্জল দৃষ্টান্ত ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন। তখন পুরো ছাত্রসমাজ একলক্ষ্য নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। আর স্বাধীনতার আগের প্রতিটি আন্দোলন যে ছাত্ররাই আগে শুরু করেছিল সেগুলো এখন শুধু ইতিহাস।

এখনকার ছাত্ররানীতির গুণাবলীর কাছে সেগুলো চাপা পড়েছে। আগে ছাত্ররা লেখাপড়ার পাশাপাশি অত্যন্ত রাজনৈতিক সচেতন ছিল। যার ফলে দেশের ক্রান্তিকালে তারা সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে পেরেছে। কিন্তু এখনকার চিত্র পুরোপুরি আলাদা। এখন ছাত্রনেতা মনেই হলো দুই থেকে তিন সন্তানের বাবা, বিশাল ব্যাংক ব্যালেন্স, প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী, পেশীশক্তি, অস্ত্র-কালো টাকার ছড়াছড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি।

পড়াশোনার বালাই নেই। দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর আজ বেহাল দশা। যার মূলে রয়েছে এই ছাত্ররাজনীতি। সেটা এখন নোংরা। হল দখল, মারামারি, খুন করাই এখন তাদের কাজ।

দ্বিমুখী-ত্রিমুখী গন্ডোগোলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা নাজেহাল হচ্ছে। সেশনজট বাড়ছে। আরও যা হচ্ছে তা তো সবারই জানা। এই নোংরা রাজনীতি আমাদের কি দিচ্ছে? কি প্রয়োজন এটার? দেশের বৃহৎ দলের নেতারা ভেবে দেখুন, বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই ছাত্ররাজনীতি(!) আমাদের কন্টিনিউ করা কি উচিত? শিক্ষাঙ্গনে এই রাজনীতির কি কোন অবদান রাখছে? এই ব্যাপার গুলো আপনারা সিদ্ধান্ত নেন। ঐক্যমতে পৌঁছান।

একটা সুন্দর দেশ উপহার দেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.