আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্ররাজনীতি কাদের জন্যে ?



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য আনোয়ার স্যার বাংলানিউজে এক কলামে দাবি করেছেন জাকসু নির্বাচন দিবেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে। এই নির্বাচনের পর যদি দলীয় ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হতো তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু সেটা হবে না, যা হবে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তা হলো - ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণা চালাবে যখন,তখন দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হবে। হলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হবে এবং গত চার-পাঁচ বছরে যা হয় নাই, তাই হবে - হল ভ্যাকান্ট করে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ হবে। কোন জনপ্রিয় ভাল প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়ালে তার ঠ্যাং ভেঙে হাতে ধরিয়ে দেয়া হবে।

পাওয়ার পলিটিক্সের এই বৃত্ত ভাঙা সম্ভব নয় কারও। ছাত্ররাজনীতি পাঁচ বছরের জন্যে বন্ধ করে তারপর যদি জাকসু নির্বাচন দেয়া হয় তাহলেই কেবল তা গ্রহণযোগ্য হবে। দলীয় ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ না হলে কখনই এই বিশ্ববিদ্যালয় ভাল জায়গায় পৌঁছুতে পারবে না। আরেকটা কথা না বলে পারলাম না, যুবায়ের নামে যে ছেলেটি বছর দুই-তিন আগে মারা যায় - সে ছাত্রলীগ করতো। মারও খেয়েছে ছাত্রলীগের কাছে।

এই ইস্যু নিয়ে তৎকালীন উপাচার্য শরীফ এনামুল কবীরকে অপসারণ ছিল একটা অসম্পূর্ণ পদক্ষেপ বরং, যে লক্ষ্যে আন্দোলন ওই সময় হতে পারতো তা হল এই লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা। উপাচার্য বদলাবে, তারপরেও যুবায়েররা মারা যাবে কেননা দলীয় ছাত্ররাজনীতি কিন্তু বন্ধ হয় নি। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ করে বুয়েট ও শাহজালালে ছাত্রলীগ কর্মী কোপানোর খবরে কেউ মাথা ঘামাচ্ছে না অথচ বাস্তবতা হল এরা আমাদের মতই তরুণ যারা জীবনে কিছু করার আগেই ঝরে যাচ্ছে। তাই উপাচার্য বা প্রশাসনের বদল কোন সমাধান নয়, সমাধান একটাই - ফ্রেমওয়ার্ক বা সিস্টেম বদল। এটা ছাড়া কোন উপায় নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে মানে নামছে দিন দিন তাতে দেশকে নেতৃত্ব দেবার আর কিছুই থাকবে না। আমি আশাবাদী নই,আমি বাস্তববাদী। এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে গরীবের টাক্সের টাকায়, এখানে হরিলুটের রাজনীতি বন্ধ করে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.