আসুক যত ঝড় বিপতি বাধা.... উননত করি শির ,নোয়াবোনা মাথা লেজুরবৃত্তি কথাটির মানে কি ?
কয়েক দশক আগেও আমাদের গ্রাম বাংলায় মোড়ল কিংবা ভূস্বামীদের ব্যাপক প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল। তাদের কথায় গ্রাম চলত। তারাই ছিল গ্রামের সর্বসর্বা। কারন তারা ছিল অধিকাংশ সম্পত্তির মালিক। তখন তাদের ঘিরে একশ্রেনীর মানুষ থাকত যারা নিজস্বতাকে বিসর্জন দিয়ে তাদের চাটুকারিতা করত।
প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে এসব চাটুকাররা তাদের অন্ধভাবে সমর্থন করত। ন্যায় অন্যায় বিবেচনা বোধ থাকা স্বত্বেও তারা সবসময় জ্বি হুজুর জ্বি হুজুর করত। এর কারন ছিল এসব মোড়ল কিংবা ভূস্বামীদের প্রভাব প্রতিপত্তি কাজে লাগিয়ে তারা কিছু সামাজিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করত। তাই এসব চটুকাররা সাধারন মানুষের কাছে দালাল হিসেবেই আখ্যায়িত হতো।
শুরু করেছিলাম একটা প্রশ্ন দিয়ে,
লেজুরবৃত্তি কথাটির মানে কি ?
সাধারন কথা হলো লেজ থাকলে মাথা থাকবে।
আর মাথাকে লেজ অন্ধভাবে অনুসরন করবে এটাই স্বাভাবিক। এখন যদি মাথাকে মোড়ল আর লেজকে চাটুকার ধরি তাহলে আমরা স্পষ্ট ভাবে বলতে পারি যে লেজুড়বৃত্তি মানে দালালি। হ্যাঁ, অপ্রিয় হলেও সত্য এটাই যে লেজুড়বৃত্তি মানে অন্যের হয়ে দালালি করা।
এখন আসল কথায় আসা যাক।
লেজুড়বৃত্তিক ছাএ রাজনীতি রাজনৈতিক দলগুলোর হয়ে ছাএদের দালালি করা নয় কি?
আজ আমরা ছাএরা রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনের জন্য রাজপথে নামছি।
তাদের হুকুমে হরতাল করছি অবরোধ করছি। রাজপথে নেমে ভাংচুর করছি গাড়ি পোড়াচ্ছি। প্রকাশ্যে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করছি । তাদেরকে অন্ধভাবে সমর্থন করছি। নিজেদের বিবেক আর বিবেচনা বোধকে বিসর্জন দিয়ে সকল অন্যায় অনিয়ম দুর্নিতি মুখ বুজে সহ্য করছি।
তাদের ক্ষমতায় থাকার কিংবা ক্ষমতায় যাওয়ার ঢাল হিসাবে নিজেদের উৎসর্গ করছি।
এটাই কি ছাএরাজনীতি?
শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের ঝনঝনানি। ক্ষমতাসীনদের আধিপত্য বিস্তার। হল দখল। সন্ত্রাস চাঁদাবাজি মাদক ।
সাধারন ছাএদের উপর চোখ রাঙ্গানি। তাজা রক্তে রক্তাক্ত ক্যম্পাস। সন্তান হারা মা্যের কান্না। প্রিয়ার চোখের জল।
এটাই কি আমাদের কাজ ?
আমাদের চারপাশে হাজারো সমস্যা।
জীবন যাত্রার ব্যায় বৃদ্বি। ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার। সর্বহারাদের অসহায় মুখ। ন্যায় বিচারের অভাব। দুর্নিতিবাজদের সম্পদের পাহাড়।
ক্ষমতা লিপ্সুদের দৈরাত্ব। শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য। শিক্ষা ব্যায় বৃদ্বি। বৈষম্যমূলক শিক্ষ ব্যাবস্থা। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক শোষন।
জাতীয় স্বর্থ বিসর্জন। এসবে আমাদের মোটেও ভাবায় না।
তাহলে আমাদের শিক্ষার মূল্য কি?
আমাদের আদর্শ কি?
আমাদের বিবেক কোথায় ?
আমাদের মূল্যবোধ কোথায় ?
এই আমরাইতো দেশের ভবিষ্যত কর্নধার। আমাদের হাতেই আসবে দেশ পরিচালনার ভার। মুক্তিযুদ্বের চেতনায় সন্ত্রাস দুর্নিতিমুক্ত শ্রেনীবৈষম্যহীন একটি আধুনিক সুখী সমৃদ্বশালী বাংলাদেশ গড়ার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আমরাইতো বাস্তবায়ন করব।
এই আদর্শহীন আমরা কি তা পারব?
বিবেক মূল্যবোধ হীন আমরা কি তা পারব ?
দালালি করে যে দাসত্বের মানসিকতা তৈরি করছি আমরা সেই আমাদের দ্বারা কি তা সম্ভব ??????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।