"অতি অপরিচিত " রাজনীতি বিষয়টা এখন বুড়িগঙ্গার জলের মত হয়ে গেছে । ময়লা হতে হতে এমন অবস্থা দাঁড়িয়ে গেছে , যে এখন দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে । খুব সম্ভবত ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে যাচ্ছে রাজনীতির দূষণ। একটা ছেলে যখন দেখবে সে উপরের ক্ষমতা জোরে অন্য ছেলের উপর সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে, তখন সে একটা সময় তাঁর পেয়ে যাওয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করতে শুরু করবে।
ছাত্ররাজনীতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এটা অগণতান্ত্রিক।
কোন জবাবদিহিতা নেই। কাজেই এটাকে ব্যবহার করে ফায়দা লোটা খুব সহজ। ছাত্র রাজনীতি ক্যাম্পাসে কোন উন্নয়ন তো করতেই পারে না, বরং নিজ ব্যাচমেটদের বা সিনিয়র ও জুনিয়রের মাঝে একটা বিভাজন রেখা তৈরি করে দেয়। একজন হয়ে যায় আরেকজনের অলিখিত শত্রু। ক্যাম্পাসের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয় মারামারি, হানাহানি।
যে ছেলেটাকে বা মেয়েটাকে বাবা মা অনেক সখ করে পড়তে পাঠায়, সে এই হানাহানির জালে জড়িয়ে যায়। আজকে বাংলাদেশের সবগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। অনেক জায়গায় তো এমন অবস্থা, কবে পড়াশুনা শেষ করতে পারবে এই চিন্তায় তারা অস্থির হয়ে পড়ছে।
ছাত্র রাজনীতি অনেক দেশে নিষিদ্ধ। কই সেসব দেশ তো পিছিয়ে নেই? সেসব দেশে কি নেতা তৈরি হচ্ছে না? বরং বাংলাদেশে যে অগ্রগতিতে উন্নয়ন হবার কথা ছিল, এই রাজনীতির কারনেই তা হচ্ছে না।
একজন ছাত্রের গায়ে রাজনৈতিক ট্যাগ থাকলেই সে রাজনৈতিক দলের মদদে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, কিন্তু সেই ছাত্রের জন্য অন্য সাধারণ ছাত্ররা যে কতটা দুরাবস্থার স্বীকার হল তা কেউ ভেবে দেখে না। সাধারণ ছাত্ররা শুধু নির্মমভাবে ব্যবহৃত হয়। বিনিময়ে তাদের কপালে জুটে সংঘাত, হানাহানি, সেশন জট, জীবনের নিরাপত্তাহীনতা। রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই প্রশাসনে জায়গা করে নেয়। দূষণ ছড়াতে শুরু করে সব জায়গায় ।
আমি ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে । অনেকেই আমার সাথে একমত হবে না । এটাই স্বাভাবিক । যার যার মত , তার তার কাছে । তবে আমি এখনও ছাত্র রাজনীতির সুফল খুঁজে পেলাম না ।
কেউ খুঁজে পেলে জানাবেন , আমার মতামত পরিবর্তন করব । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।