আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাপড় চোপড়ে শালীন হওয়াটা কি নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক?

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মানুষের ইতিহাস আমি যদ্দুর আমি জানি তা থেকে বলা যায় মানুষ দিনকে দিন সভ্য হয়ে উঠেছে তার বিভিন্ন সামাজিক আচার আচরনে উন্নতি ঘটিয়ে। আগে মানুষ পশুর মতই যৌনাচারে অসংযমী ছিল। উলংগ এই মানুষগুলো তার সংগী বিচারে কোন বাছ বিচার করত বলে মনে হয় না। পরিবারেরই কোন অস্তিত্ব ছিল না তখন। ধীরে ধীরে মানুষ সভ্য আর সামাজিক হয়ে উঠে।

পরিবার নামক একটি প্রতিষ্ঠানের জন্ম নেয়। যৌনাচারে মানুষ হয়ে উঠে সংযমী। কাপড় চোপড়েও শালীন হতে শুরু করে। বিভিন্ন সামাজিক আচরনে আচরনে মানুষ আরও সভ্য হয়ে উঠে। কিছু বিধি নিষেধের প্রয়োজন বোধ করে মানুষ।

এই বিধি নিষেধের কতগুলান ছিল নির্দেশিত আর কতগুলান ছিল প্রাকৃতিক। এই বিধি নিষেদের কারনেই একজন মানুষ তার মা বা বোনকে বিয়ে করতে পারে না। এখন আর অন্য মানুষের উপস্থিতিতে উলংগ ভাবে নিজেকে উপস্থাপনে লজ্জাবোধ করে। তাই ধর্ম যখন যৌনাচার কিংবা কাপড়চোপড়ে মানুষকে সংযমী কিংবা শালীন হতে বলে সেটা মানুষের সভ্যতার ধারাবাহিকতার একটি দিক বললে ভুল বলা হয় না। আমেরিকা একটি শহরে কিছু কালোরা এমন একধরনের ব্যাগী প্যান্ট পড়ে যা নাভির অনেকদূর নীচে নেমে আসে।

যা আসলেই অশালীন। সেই শহরের মেয়র শেষ পর্যন্ত জেল জরিমানার আশ্রয় নিয়েছেন এটি রোধ করতে। তাই কেউ যদি মানুষের এই শালীনতা কিংবা সংযমকে তার নির্বুদ্ধিতা বলে ঠাউরে বসে তাহলে সেটি কি খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবে? একজন মানুষ যদি তার আচার আচরনে অশ্লীল হতে পারে ঠিক তেমনিভাবে তার কাপড়ে চোপড়েকিও অশ্লীল হতে পারে না। আরেকটি ব্যপার আমি বিশ্বাস করি যে দুনিয়ার যেসব সামাজিক আইন কানুন গড়ে উঠে তা গুটি কয়েক বিদ্যান আর সমজেওয়ালা মানুষদেরকে লক্ষ্য রেখে গড়ে উঠে না তা গড়ে উঠে দুনিয়ার তাবত মানুষদের কথাকেই মাথায় রেখে। ধরুন আপনার বোনটি খুব স্বল্পবসনে মার্কেটে গেল ঘুরতে।

যারা সমঝদার তাদের জন্য এটি কোন মাথাব্যথার কারন হবে না। কিন্তু ১০০জনের মধ্যে অন্তত দশজনকে পাওয়া যাবে যার এটির অপব্যবহারে মেতে উঠবে। আমার কেন জানি মনে দুনিয়ার সব কঠিন নিয়ম কানুনের সৃষ্টি এইসব সংখ্যালঘু বেয়াদপ মানুষদেরই জন্যই? আমি যদ্দুর জানি মানুষ তার যৌনাচারে তার পন্চইন্দ্রিয়ে প্রায় সবটুকুকেই কাজে লাগায়। যার মধ্যে একটি হল চোখ । তাই অপেক্ষাকৃতি দূর্বল চরিত্রের একজন মানুষ তার চোখটিকে কতটুকু সংযত রাখতে সক্ষম হবে যখন সে তার চোখের সামনে একজন বিপরীত লিংগের মানুষকে পাবে এমন এক অবস্থায় যাতে করে চোখ নামক ইন্দ্রিয়টি অসংযমী হয়ে উঠতে উতসাহ পায়।

আমি বহুবছর জাপানে ছিলাম। রাশ আওয়ারে ট্রেনে চাপলে অনেক সময় তট্স্থ থাকতাম আমি। কেননা মাঝে মাঝে মেয়েরা চিতকার করে বলে উঠত, এইসব নোংরামী বন্ধ কর। অনেক বিকৃত মনের মানুষ ট্রেনের এই ভিড়কে কাজে লাগাত মেয়েদেরকে যৌননির্যাতন করে। এই কারনে আশেপাশের অনেক সতজন বিব্রতবোধ করতেন।

তাইত মেক্সিকোর মেয়েদের দাবীর মুখে তাদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। ঠিক তেমনিভাবে ভারত কিংবা অন্য অনেক দেশেও মেয়েদেরকে নিরাপদ করতে তাদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।