সঞ্জয় মিঠু
ওরা যত বেশি জানে, তত কম মানে । ” এটা হীরক রাজার দেশে ছায়াছবির হীরক রাজার উক্তি। রাজারা বা শাসকরা কখনই চায় না দেশের নাগরিকরা সকল বিষয়ে জানুক। কিন্তু আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সঠিক তথ্য জানার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকারের পর্যায়ে পরে। আমাদের দেশে সচেনতার হার কম হওয়াতে, শাসক গোষ্ঠি সে সুযোগটি খুব ভাল নেয়।
গণতন্ত্র হল মানুষের মৌলিক অধিকার চর্চার সর্বাধিক জনপ্রিয় পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি মানুষ তার নিজের অধিকার সঠিক ভাবে প্রয়োগ, চর্চা এবং সংরক্ষণ করতে পারে। কিন্তু কথা হচ্ছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়, জনগণের মৌলিক অধিকার কি ? কতটুকু ? তাই-ই যদি না জানে তবে তা চর্চা অথবা সংরক্ষণ করবে কিভাবে? আমাদের সংবিধানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার কি? কতটুকু এবং সরকার কর্তৃক কিভাবে নিশ্চিত করা হবে, তা বলা আছে। দুঃখের বিষয় হল, সংবিধান কার্যকর হওয়ার এত বছর পর ও সাধারণ জনগণ তা ভালভাবে জানেই না। শাসক গোষ্ঠি আজ পর্যন্ত জানানোর কোন ব্যবস্থা করেনি।
এমনকি সংবিধান প্রনেতারাও আমাদের জানানো দায়িত্ব পালন করেনি। স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে এর কোন উল্লেখ নেই। ছাপা আকারে সংবিধান এর কপিও সহজলভ্য নয়। সুতরাং জনগণ তার অধিকারের জায়গাটা পরিপূর্ণ ভাবে বুঝে নিতে পারছেনা।
ব্লগে- সংবিধানের সকল ধারা উপধারা(ব্যাখ্যা)সহ নিয়মিত প্রকাশনা চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।