মায়ার চাঁন্দের মায়া এমন, কান্দাইল সারা জনম.....
কৌশলগত পরিকল্পনা (Strategic Plan) for New 7 Wonder of Nature
নতুন ৭ প্রাকৃতিক আশ্চর্য এর বাছাই প্রক্রিয়া
২২২ টি দেশ থেকে সর্বমোট ২৬১ টি স্থান এর নাম প্রাথমিক তালিকাতে স্থান পেয়েছে। এই স্থানগুলোকে ৭ টি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ-এ থেকে গ্রুপ-জি পর্যন্ত। প্রতিটি গ্রুপ এর স্থানগুলোর মধ্য থেকে প্রথম ১১টিকে করে মোট ৭৭টি স্থানকে হাইলাইট করে রাখা হয়েছে। ৭ই জুলাই ২০০৯ পর্যন্ত ভোট দেওয়ার পর এই ৭৭ টি স্থান থেকে বাছাই করে টপর্যাঙ্কিং ২১টি স্থান কে বেছে নেওয়া যাবে।
এই ২১টি স্থান এর ঘোষনা দেওয়া হবে ২১শে জুলাই ২০০৯। প্রতি গ্রুপ থেকে ৩টি করে স্থান কে পরবর্তি ধাপ এ নেওয়া হবে। তারপর আবার ভোট দেওয়া শুরু হবে আর তা চলবে ২০১০ এবং ২০১১ সাল জুড়ে। এই ভোট এর পাশাপাশি তখন থাকবে একদল বিশেষজ্ঞ কমিটি। ২০১১ সালে জনগনের ভোট বিশেষজ্ঞ কমিটির সিদ্বান্ত মোতাবেক প্রতিটি গ্রুপ থেকে প্রথম স্থানটি বেছে নিয়ে চুড়ান্ত ৭টি স্থান ঘোষনা করা হবে।
আর এরাই হবে নতুন ৭ প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য।
আমাদের প্রার্থী এবং বর্তমান র্যাঙ্কিং (২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০০৯ পর্যন্ত)
বাংলাদেশ এর মনোনয়নপ্রাপ্ত স্থানগুলো হলো
১) কক্সবাজার, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত (গ্রুপ-জি এ ১ম)
২) সুন্দরবন, পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন (গ্রুপ-ই এ ৩য়)
৩) গঙ্গা নদী, বৃহত্তম নদী যার উপর পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মানুষ নির্ভর করে (গ্রুপ-এফ এ ২য়)
গ্রুপ-জি এর বিশ্লেষন
এই দল এ এই মুহুর্তে প্রথম ৩টি দল হলো, কক্সবাজার, গ্রেট বেরিয়ার রীফ, আর হাওলং বে। আমাদের কক্সবাজার এই মুহুর্তে এগিয়ে আছে, তার একটা উল্লেখযোগ্য কারন হলো, আমাদের দেশের সবাই খুব সতস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিচ্ছে, সবাই এগিয়ে আসছে, ঠিক একইরকম ভাবে সব দেশের নাগরিকরাই তাদের প্রার্থী স্থানদেরকে ভোট দিচ্ছে। ঠিক এই জন্যই আমরা তেমন প্রতিযোগিতার মুখে পরছি না। আসল প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে যখন প্রতিযোগির সংখা কমে যাবে, অর্থাৎ ২১শে জুলাই এর পরে।
তখন অনেক দেশের স্থান এ বাদ পড়ে যাবে। যে সমস্ত দেশের প্রার্থী স্থান গুলো বাদ পড়ে যাবে, ঐ সমস্ত দেশের লোকরা যদি ভোট দিতে চায়, তারা সাধারনত ভোট দিবে, সে সমস্ত স্থানকে, যেগুলোকে তারা ব্যাক্তিগতভাবে চিনে বা নাম শুনেছে। সে হিসাবে গ্রেট বেরিয়ার রীফ, আর হাওলং বে অবশ্যই এগিয়ে থাকবে। গ্রেট বেরিয়ার রীফ অস্ট্রেলীয়াতে অবস্থিত আর এটি খুব জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ লোক গ্রেট বেরিয়ার রীফ দেখতে যায়।
আর হাওলং বে ও খুব বিখ্যাত টুরিস্ট স্পট। জেমস বন্ড ছিনেমার (টুমোরো নেভার ডাইস) শুটিং ও ঐ স্থান এ হয়েছিল। সে হিসাবে, তুলনামুলক ভাবে আমাদের দেশ এর কক্সবাজার কথা বাইরের মানুশ তেমন জানেই না। তাই ২১শে জুলাই এর পরে যখন অন্য দেশের লোকেরা ভোট দিতে যাবে, তখন তারা ভোট দিবেকক্সবাজার কে হয়ত দিবেই না। আর বিশেষজ্ঞ কমিটির ভোট তো আছেই।
কিন্তু এই প্রতিযোগীতায় শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হলে আমরা যদি একটা কৌশল গ্রহন করি, তাহলে কিছুটা আশা থাকলে ও থাকতে পারে। এই কৌশল হল, বেশি পরিচিত বা বিখ্যাত স্থানগুলোকে প্রথম ৩ স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া। তাহলে তারা আর পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেনা। এটা সম্ভব হবে যদি আমরা অখ্যাত স্থান দের কে ভোট দেই তাহলে। যেমন আমরা গ্রুপ-এ, গ্রুপ-বি, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি থেকে কাউকে ভোট না দিয়ে ৭টি ভোট এ গ্রুপ-ই, গ্রুপ-এফ, গ্রুপ-জি থেকে দেই।
৭টি ভোট এর ৩টি ভোট আমাদের স্থানগুলোকে দিয়ে, অন্য ৪ টি ভোট দিতে হবে অখ্যাত স্থান কে, যেমন (Marovo Lagoon, Loch Noss, Conchi, Curonian Spit, ইত্যাদি)। এর ফলে একটা কাজ হতে পারে, যেমন, এই অখ্যাত স্থানগুলো বিখ্যাত স্থানগুলোকে হটিয়ে প্রথম ৩টি স্থান এ চলে আসতে পারে। আর আমরা যেহেতু আমাদের স্থানগুলোকে ভোট দিচ্ছিই, তাই আমাদের স্থানগুলো প্রথম ৩টি স্থান এ এম্নিতেই থাকবে।
কিন্তু এটা করতে পারাটা খুব এ কঠিন। এতে কিছু ঝুঁকিও আছে।
আসলে মারাত্মক ধরনের ঝুঁকি ই বলা যায়। যেমন, New7Wonders of Nature কমিটি যদি জানতে পারে যে আমরা এইরকম এর কৌশল নিচ্ছি, তাহলে আমাদের প্রার্থীদের কে বাদ দিয়ে দিতে পারে। অনেকে হয়ত বলতে পারে আমরা ২-নাম্বারি করছি। কিন্তু আসলে কি তাই? একটি খেলাতে খেলোয়ারদের কে অনেক রকম এর কৌশল নিতে হয়, দেশ চালাতে রাস্ট্রপ্রধানদের অনেক কৌশল নিতে হয়, ঠিক একই রকমভাবে আমরা ও কিছু কৌশল নিচ্ছি মাত্র, বাংলাদেশ কে বিশ্বের কাছে পরিচিত করার জন্য। আর আমরাতো প্রতারনা করছিনা, আমরা একজন মাত্র একটি ভোট এ দিব।
আমাদের সাপোর্টিং কমিটি কে এইজন্য খুব শক্তিশালী মনোভাব সম্পন্ন হতে হবে। আমরা শুধু চাই আমাদের দেশের কক্সবাজার ৭টির একটি হোক।
অন্যান্য গ্রুপ এর প্রার্থী যেমন সুন্দরবন আর গঙ্গা নদীর জন্য ও একই রকম বিশ্লেষন করা যায়। এই লেখাটা সম্পুর্ন আমার ব্যাক্তিগত মতামত। কেউ চাইলে আরো পরামর্শ দিতে পারেন বা তাদের মতামত জানাতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।