আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিডিআরের জওয়ানদের যৌক্তিক দাবী: ঘটনা,শংকা এবং ভবিষ্যৎ



বিডিআর,যার উৎপত্তি ১৭৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন থেকে,পরবর্তীতে ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস থেকে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে নামধারণ করে বাংলাদেশ রাইফেলস। এই বাহিনীকে বলা হয় বাংলাদেশের "ফার্স্ট ডিফেন্স লাইন",সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী এই জওয়ানরা মুক্তিযু্দ্ধেও সত্যিকার অর্থেই "প্রথম প্রতিরোধ" গড়ে তুলেছিল ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে। আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত পাকিস্তানি ট্যাংকবহরের সামনে জীবনপণ রুখে দাঁড়িয়ে বীরবাঙ্গালিকে গর্বিত করেছিল পিলখানার ইপিআর জওয়ানরা,২ জন বীরশ্রেষ্ঠ,৮ জন বীরউত্তম,৪০ জন বীরবিক্রম আর ৯১ জন বীরপ্রতীক বিডিআরের বীরত্বের সাক্ষ্যই দিয়ে যাচ্ছে আমাদের সামনে। ব্যক্তিগতভাবে বিডিআরের দিকে একটা বাড়তি পক্ষপাত রয়েছে আমার,অস্বীকার করি না,তার কারণটা উগ্র জাতীয়তাবাদী বলে কারো কারো ভালো নাও লাগতে পারে,তবে সীমান্তে দাদাবাহিনীকে নিয়মিতই দৌড়ের উপর রাখে বলে বিডিআর জওয়ানদের সাহসের প্রশংসা না করে পারি না। কিছু অভিযোগ তাদের নামেও আছে,চোরাচালান বা টুকটাক,তবে সীমান্তের কঠিন পরিবেশে প্রতিনিয়ত বিএসএফের বুলেটের সামনে দাঁড়ানো এই নিবেদিতপ্রাণ সাহসী মানুষগুলোর জন্য সেটাকে স্বাভাবিক ত্রুটি বলে ধরতেও আমার বাঁধে না।

এইসব জওয়ানদের পারিবারিক প্রেক্ষাপট দেখলেও দেখা যাবে,অধিকাংশই উঠে এসেছে নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে,মূল যে বিডিআর,সেখানে কোন কমিশন্ড বা উচ্চপদস্থ অফিসার নেই। হয়তো সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মাঝ থেকে উঠে এসেছে বলেই জওয়ানরা এতটা কষ্টসহিষ্ণু,নানা অনিয়মের মাঝেও তাদের প্রতিবাদ সেরকম একটা শোনা যায় না। সত্যিকারের বাংলার সন্তান যদি বলতে হয়,এদেরকেই বলা যায়। কিন্তু নিরীহ মানুষকেও খেপিয়ে দিলে পরিণতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে,পুন্ঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ কিভাবে টলিয়ে দিতে পারে শাসকগোষ্ঠীকে,মুক্তিযুদ্ধের উদাহরণ থাকার পরেও এদেশের রাজনীতিবিদ বা সেনাবাহিনী সেটা কখনো উপলব্ধি করার চেষ্টা করেনি,এটাই দুর্ভাগ্যজনক। বিডিআর জওয়ানরা তাদের দীর্ঘদিনের দাবী মেনে নেয়ার জন্য যে অভিযোগনামা পেশ করতে যাচ্ছিল,সংবাদসূত্রে প্রকাশ যে সেই দাবীনামা সরকার পর্যন্ত পৌঁছানোর কোন সুযোগই তাদের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা,যারা সেনাবাহিনী থেকে আগত,দেয়নি।

বরং বিডিআর সদস্যরা মিডিয়াতে এমন দাবীও করেছেন যে তাদের উপর বিডিআরের ডিজি অস্ত্র তাক করেছেন এবং তার গানম্যানের গুলিবর্ষণে তাদের জওয়ান নিহত হবার পরই তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কোনটা সত্যি বুঝার উপায় নেই,হতেও পারে,এমনো হতে পারে এই বিদ্রোহের পরিকল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে,ডিজির গানম্যানের গুলিবর্ষণ বড়জোর বারুদে আগুন ধরানো। কিন্তু তাতে বিডিআর জওয়ানদের অভিযোগ এবং দাবীগুলোর গুরুত্ব কিছুমাত্র কমে না। কি সেই অভিযোগ? সবই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। মূলত শোষণ আর দুর্নীতির।

জওয়ানদের অভিযোগ,সেনা কর্তারা তাদের পাওনা মেরে দিয়েছেন,অপারেশন ডাল-ভাত কর্মসূচী থেকে গাপ করেছেন প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। এই অপারেশনে মজুতদারি করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর অভিযোগও রয়েছে। এখানে কাজ করার জন্য অনেক জওয়ানই ২ বছর ধরে কোন ছুটি পান না,আবার এই বাড়তি কাজের পাওনাও মেরে দেয়া হয়েছে,গায়েব করা হয়েছে তাদের নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনের ভাতাটুকুও। রাইফেলস স্কয়্যার আর দরবার হলের ব্যবস্থাপনা বাবদ সব আয়ই সেনা কর্তারা নিয়ে যান। জওয়ানরা সীমান্তে যাবার জন্য বাহন পায়না,এদিকে কর্তারা পরিবার নিয়ে বিলাসবহুল পাজেরোতে ঘুরে বেড়ান।

সাথে বাড়তি হিসেবে আছে ঊর্ধতনদের চরম দুর্ব্যবহার। দাবী খুব বেশি না,বেতন বাড়ানো,বিডিআরের উপর থেকে সেনা কর্তৃত্ব প্রত্যাহার,দুর্নীতির সঠিক বিচার,আর সাধারণ ক্ষমা। বিডিআরের অভিযোগের সত্যতা কতটুকু? খুব বেশি যুক্তি বা প্রমাণ না দিতে পারলেও ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ আর অভিজ্ঞতা থেকে যা বলতে পারি,দুর্নীতির অভিযোগ ১০০ ভাগ সত্য হওয়ার কথা। পেশাগত কারণে জানি,বিগত ২ বছরে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় সেনাবাহিনীর টাকা খেটেছে সবচেয়ে বেশি,বেশিরভাগ প্রোজেক্টও তাদের হাতে। ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের তালিকাতেও তাদের নাম সর্বাগ্রে(একবার দেখেছিলাম র্যাবের এক মেজরকে সস্ত্রীক এসে ৯০লাখ টাকার ফ্ল্যাট বুকিং দিতে)।

বলি,টাকাগুলো কি হাওয়া থেকে আসে? তার উপর বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাজেটের টাকা এদিক-ওদিক করার ব্যাপারেও অসমর্থিত কিছু অভিযোগ আছে,সেদিকে এখন না যাই। সেনা কর্তাদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের কথাও অজানা নেই,এক মেজরের সহধর্মিনীকে জানি গর্ব করে বলেন,প্রতি সপ্তাহে পার্টি না করলে আর প্রতি পার্টিতে নতুন শাড়ি না হলে নাকি তাদের সেনাধর্মিনীদের ইজ্জত থাকেনা। যতদূর জানা আছে,বাংলাদেশে টাকার গাছ চাষ করা হয়না,এসব খরচ তবে কি আমাদের মত আমজনতার সাথে সাথে এইসব জওয়ানদের ঘাম-রক্তে ভেজা টাকা থেকেই আসে? দুর্ব্যবহারের কথা বলায় ব্যক্তিগত দুঃখের কথা মনে পড়ে গেল,গত ২৫ দিন হলো এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তার দালান বানানোর কাজ করি,সেই কাঁদুনি আরেকদিন হবে,আপাতত এটুকু বলতে পারি,আমাদের সেনারা যতই মিডিয়াতে ভাই ভাই বলুন,সিভিলিয়ানদের মানুষ ভাবার মানসিকতা তাদের যেমন নেই,একই ভাবে নন-কমিশন্ড জওয়ানদের এরা কুকুর-বেড়ালেরও অধম পাবে। ব্যতিক্রম হয়তো আছে,তবে এই ক্ষুদ্র জীবনে যতজন সেনাকর্তা দেখেছি,সেই ব্যতিক্রম খুঁজে পাবার সৌভাগ্য হয়নি। মোটের উপর,দাবীগুলো আমার কাছে ভুল মনে হচ্ছে না,প্রকাশভঙ্গিটা অবশ্যই ভিন্ন হতে পারতো কিন্তু মনে রাখতে হবে,ন্যায্য উপায়ে দাবী পেশ করার সব চেষ্টাকেই ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে এর আগেই।

অসমর্থিত সূত্রে প্রকাশ যে (গুজবও হতে পারে) নিহত সেনা কর্নেল চরম দুর্ব্যবহার করেন জওয়ানদের সাথে দরবারের আগেই,এবং তাদের দাবী কোনভাবেই মানা হবে এমন আভাস জওয়ানরা পায়নি,ফলাফল হচ্ছে এই বিস্ফোরণ। পুরো ব্যাপারটাই মর্মান্তিক,মারা গেছেন অন্তত ৮ জন বিডিআর জওয়ান এবং ৪ জন সেনা কর্মকর্তা,সাথে ৩ জন নিরীহ পথচারী। খুব সম্ভবত ডিজি শাকিল আহমেদও গুরুতর আহত বা নিহত,নিখোঁজ আছেন আরো অনেকে। আতংকিত পুরো ঢাকা। পিলখানা এবং সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী অনেক সেনা অফিসারের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে জানা যায়,তাদের কেউ কেউ এবং পরিবারের কোন কোন সদস্যও মারা গেছেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।

সারাদিন এই যুদ্ধাবস্থা এবং বিডিআর সেনাবাহিনীর মুখোমুখী অবস্থান এবং সরকারের প্রচেষ্টার পর অবশেষে বিডিআর সদস্যরা পুলিশের কাছে অস্ত্র জমা দিতে রাজি হয়েছেন,তবে সেনাবাহিনীকে তারা বিশ্বাস করতে রাজি নয়। সেনাবাহিনীও আশপাশেই অবস্থান নিয়ে আছে,এবং অতীত অভিজ্ঞতা বলে যে এধরণের বিদ্রোহের পর সেনাবাহিনী খুব একটা নিরাপদ প্রতিষ্ঠান নয়। তাদের প্রতিশোধ পরাজিত পক্ষের দিকে খুবই নির্মম এবং গোপনীয়। ১৯৭৫ পরবর্তী ঘটনাবলীর দিকে দেখা যায় এক্ষেত্রে,একের পর এক অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের ফলাফল হিসেবে কয়েক হাজার সামরিক অফিসার রাতের আঁধারে স্রেফ বাতাসে মিলিয়ে গিয়েছিলেন,তাদের স্বজনরা কখনো জানতেও পারেনি তাদের কি হলো। আজকাল এখান-ওখান থেকে দু'-চার কথা বের হয়,অনুমান করা যায় কি নির্মম নিষ্ঠুরতায় তাদের হত্যা এবং গুম করা হয়েছিল।

বিডিআর জওয়ানরাও একই পরিণতির আশংকা করছেন,এমনকি সরকার কর্তৃক সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরেও। আশংকাটা অমূলক তাও নয়,সেনাবাহিনী এখনো কোন ইতিবাচক ঘোষণা দেয়নি। সাবেক সেনা কর্মকর্তারাও বারবার বিডিআরে "ডিসিপ্লিন" ফিরিয়ে আনার বুলি কপচে যাচ্ছেন। ভয় হয়,এই ডিসিপ্লিনের নামে আরো কতজন জওয়ানকে না গুম করে দেয়া হয়। আমরা কি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এবার সরকার বাহাদুরের কাছে একটা মাত্র দাবী জানাতে পারি? বিডিআরের এই জওয়ানরা আমাদেরই মাটির সন্তান,অনেক রক্তে তারা আমাদের সীমান্ত পাহারা দিয়ে আমাদের নিশ্চিন্ত নিদ্রার সুখ দিচ্ছে এই ছেলেরা।

বড় কষ্টে,বড় বেশি দুঃখে তাদের হাতে আজ অস্ত্র উঠে এসেছে। টিভি ক্যামেরায় তাদের কঠিন চোয়ালবদ্ধ মুখে কিন্তু সুশীল সেনাদের মত সিংহাসনের দাবী নেই,খুব সামান্য দাবী তাদের,তাদের ন্যায্য পাওনা তাদের দেয়া হোক,রাজপদ নয়,সাধারণ ক্ষমার সাথে সামান্য একটু স্বাচ্ছন্দ্য আর মর্যাদা তাদের দেয়া হোক। সরকার বাহাদুর কি তাদের এই দাবী মর্মে উপলব্ধি করতে পারছেন,নাকি চিরকালীন প্রতিশোধের রাজনীতির এই দেশে এইসব বীর জওয়ানদের ভাগ্যে হিমশীতল মৃত্যু আর জেলের ভাতই অপেক্ষা করছে? অধিকার আদায়ের জন্য ,শোষণের প্রতিবাদে,ঠিক এই ধরণের কিছু দাবী নিয়েই ৩৮ বছর আগে আমাদেরই পূর্বপুরুষ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল,তখন পাকিস্তানী বাহিনী হত্যা,বিচার আর খুনের মাধ্যমে এর জবাব দিয়েছিল। ৩৮ বছর পরে,এই দেশের সীমান্ত রক্ষার অতন্দ্র প্রহরীদের যদি একই ভাষায় জবাব দেয়া হয়,ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেই কলংকের জন্য আমাদের ক্ষমা করবে না। সেই কলংক এড়াতে সামান্য সুবিবেচনা, বিচক্ষণতা আর জওয়ানদের অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করে দেখার আশা যদি আমরা সরকার এবং সেনাবাহিনীর কাছ থেকে করেই থাকি,সেটা কি খুব বেশি হয়ে যায়? [পোস্টে খানিকটা যোগ করে দিই।

এতদিনে মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গেছে যে জওয়ানদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে কেউ বা কারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে,নানা ধরণের তদন্ত হচ্ছে,বিডিআরের লোকজনকে পাকড়াও করে ভেতরে ভরা হচ্ছে,জেল-ফাঁসিও হবে বিস্তর। তা হোক,রাষ্ট্রদ্রোহী এবং নরহত্যাকারীদের জন্য কোন সহানুভূতি নেই,তবে যেসব সদস্য এসে রিপোর্ট করছেন,তাদের অনেকেই নির্দোষ,পরিস্থিতির স্বীকার,আশা করি তাদের জন্য সুবিচার থাকবে। একই সাথে,মিডিয়া যেভাবে একদিনের মাঝে মওদুদ আহমেদ স্টাইলে পল্টি খেয়ে মেজর জেনারেল শাকিলকেও সৎ,ব্রিলিয়ান্ট অফিসার বানানোর খেলায় নেমেছে,সেটাও বন্ধ হবে বলে আশা রাখি। একই সাথে,সামরিক বাহিনীর কর্তাদেরও ভুলে যাওয়া উচিত হবে না,উদ্দেশ্য যাই থাকুক,দুর্নীতির অভিযোগ গুলো কিন্তু মিথ্যা ছিল না,নিজেদের ভাবমূর্তি এবং নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা এসব দুর্নীতির তদন্ত করে মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস ফিরিয়ে আনবেন,সেই আশা একজন "সিভিলিয়ান" হিসেবে করলে মনে হয় খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে না। এখানে বলে রাখা ভাল,সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে যেসব মামার বাড়ির আবদার করেছেন,যেমন কোটি টাকা,ফ্ল্যাট বাড়ি,প্রতি সন্তানের শিক্ষার জন্য মাসে ২৫ হাজার টাকা(এটা গৃহীত হয়েছে,যদিও যে দেশে বেশিরভাগ শিশুর পড়াশোনার জন্য বছরে ২৫ শত টাকাও পায় না সেখানে মাসে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে কি ধরণের শিক্ষা হবে সেটা বোধগম্য নয়) ইত্যাদি আব্দারগুলোকে এই মুহূর্তে আমরা আলোচনা থেকে বাদ রাখলাম,তবে নিজেদের দিকে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাবার সুযোগটাকে যে তারা এসব আব্দার দিয়ে হাতছাড়া করলেন তাতে সন্দেহ নেই।

]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.